Monday, March 22, 2010

ইন্টারনেটের প্রকৃত ইতিহাস - ৪র্থ ও শেষ পর্ব (ওয়েব বিপ্লব)

ওয়েব বিপ্লব:

বলুনতো আজ এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে আমি, আপনি, আমরা সবাই প্রতিটি মূহুর্ত কিসের আসায় থাকি? কি সেই জিনিস যা আমরা প্রতিনিয়ত খুঁজে ফিরি, যাকে আমরা আর সবকিছুর চেয়ে বেশি প্রাধান্য দেই? একজন আদর্শবাদী হয়তো বলবেন এর জবাব হলো - "প্রেম" অথবা হয়তো "সুখ"। একজন রাজনীতিবীদ হয়তো উত্তরে বলবেন - "ক্ষমতা" বা "টাকা"। কিন্তু আমি উত্তরে বলবো মানব জাতির সবচেয়ে বড় আকাঙ্ক্ষা হলো - "যোগাযোগ"।

আজ একবিংশ শতাব্দীর সূচনালগ্নে এসে যোগাযোগ ব্যবস্থা আর যোগাযোগের ধরন এ সব কিছুরই পরিবর্তন ঘটছে প্রতি মূহুর্তে। আজ থেকে ২০ বছর আগেও আমাদের সভ্যতা, আচার, ব্যবহার, আমাদের ওঠা-বসা, আমরা কি দেখবো, পড়বো বা শুনবো এসবই পুরোটাই নিয়ন্ত্রিত হতো টেলিভিশন, সংবাদপত্র, চলচ্চিত্র আর মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির বিগ বসদের দ্বারা। শুধু তাই নয়, এই বিগ বসদের হাতেই নির্ধারিত হতো আপনি কতটুকু তথ্য পাবেন, কখন ও কোথায় পাবেন এবং তার জন্য আপনাকে কতো খরচ করতে হবে। কিন্তু আজ ২০০৮ এ এসে এ সব কিছুরই হিসেব পাল্টে গিয়েছে। আর এই হিসেব পাল্টানো নির্নায়কটির নাম হলো - "ইন্টারনেট"। বর্তমান ইন্টারনেট হলো সেই মিডিয়া - "যা কারো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়, কিন্তু গড়ে উঠছে সবার সহায়তায় (Controlled by no one and shaped by everyone)", আরেক কথায় - "আমাদের মিডিয়া"। আজ ইন্টারনেট আমাদের যোগাযোগের পন্থায় আর ধরনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে, নিয়ন্ত্রন করছে আমাদের সভ্যতাকে, আমাদের হাঁটা-চলা, ওঠা-বসা সবকিছু। তথ্য-যোগাযোগ আজ আর শুধু কতিপয় ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হাতে মুষ্ঠিবদ্ধ কোন ক্ষমতা নয়, বরং সবার জন্য বিনামূল্যে বিতরণকৃত এক উপযোগিতা।

এখন পর্যন্ত আমরা জেনেছি কিভাবে ইন্টারনেট আমাদের জীবনে পরিবর্তন এনেছে, কিন্তু আজ আমরা জানবো কিভাবে আমরা মানুষরা, ইন্টারনেটে পরিবর্তন এনেছি। আসুন প্রথমে কয়েক জন মানুষের সাথে পরিচিত হই - চ্যাড হার্লি (Chad Hurley) , জাওয়েদ করিম (Jawed Karim) , স্টিভ চেন (Steve Shih Chen) , কেভিন রোজ (Kevin Rose) , জে. এডেলসন (Jay Adelson) । নিশ্চিতভাবে বলতে পারি আপনাদের অনেকেই আজ প্রথমবারের এদের নাম শুনছেন। এদের মধ্যে কেভিন রোজ আর জে. এডেলসন হলেন বিখ্যাত সোস্যাল নিউজ ওয়েবসাইট digg এর সহপ্রতিষ্ঠাতা।


কেভিন রোজ


জে. এডেলসন

digg এর শীর্ষ খবরগুলো নির্ধারিত হয় digg এর নিবেদিত প্রাণ ভক্তকূল ও পাঠকদের দ্বারা অনেকটা ভোটিং সিস্টেমের মধ্য দিয়ে। আরকে কথায় digg এর পাঠকরাই এর সম্পাদক। অন্যদিকে চ্যাড হার্লি, জাওয়েদ করিম ও স্টিভ চেন হলেন পৃথিবীর তুমুল জনপ্রিয় ওয়েবসাইটগুলোর একটি ইউটিউব (Youtube) এর সহপ্রতিষ্ঠাতা, যা ২০০৬ সালে গুগোল ১.৬৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে কিনে নেয়।


ছবির বাম থেকে ডানে ক্রমানুসারে- চ্যাড হার্লি, স্টিভ চেন ও জাওয়েদ করিম

Youtube এ পৃথিবীর কোটি মানুষ তাদের নিজস্ব ভিডিও আপলোড করেন ও শেয়ার করেন সাইটটির কোটি কোটি ব্যবহারকারী আর দর্শকদের সাথে। গুগোলের মতো বিচক্ষণ কোম্পানীর ইউটিউবের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আঁচ করতে খুব বেশি সময় লাগেনি।

উপরে চ্যাড হার্লি, কেভিন রোজ বা অন্যান্যদের ছবিগুলো দেখে প্রথমেই আপনাকে যে ভাবনাটা ভাবাবে তা হলো এদের বয়স। অত্যন্ত তরুণ বয়সেই অপরিসীম সাফল্যের মুখ দেখেছেন এরা। এদেরকে দেখে আপনার আর দশজন টাকার লোভে শুরু হওয়া স্টার্টআপার তরুণ বলে মনে হতেই পারে, মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে ভাবনাটা শুধু টাকা আয়ের চেয়ে একটু বেশি ভেবেছিলেন বলেই আজ এই অবস্থানে পৌঁছেছেন তারা। আর সেই অতিরিক্ত ভাবনাটা ছিলো তাদের আবিষ্কার দিয়ে আর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ইন্টারনেট তথা পুরো পৃথিবীকে পরিবর্তনের ভাবনা। আর এইসব তরুণরাই হচ্ছেন Web 2.0 (ওয়েব টু পয়েন্ট ও) বিপ্লবের কর্ণধার।

Web 2.0 এর মূল কথাটাই হচ্ছে শেয়ারিং - হোক তা কোন ঘটনা বা আপনার জীবনের কোন মূহুর্ত। Web 2.0 একমুখী ওয়েবকে দ্বিমুখী করেছ - শুধু যে আপনি কোন কিছু নিজেই উপভোগ করে সন্তুষ্ট থাকবেন তাই নয়, অন্য কারো সাথে শেয়ার করে আপনি তাকেও সমান বিনোদিত করার ক্ষমতা পাচ্ছেন। এইতো মাত্র কয়েক বছর আগের কথা। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠানগুলো পূর্ণ ছিলো বহু বছরের পুরাতন ঐতিহ্য আর প্রথায়। কিন্তু এখন আর নয়। Youtube এর মতো সার্ভিস আমাদেরকে সুযোগ করে দিয়েছে অনলাইনে প্রত্যেকের নিজের ভিডিও চ্যানেল খোলার। আজ আমরা নিজেরাই একেকটি টিভি চ্যানেলের মালিক। বহু বছর ধরে সম্প্রচারের যে ক্ষমতা সীমাবদ্ধ ছিলো শুধুমাত্র কতিপয় ব্যাক্তির হাতে আজ সেই ক্ষমতা সবার হাতে। একটু আগে যে digg এর কথা বললাম, digg ও অনেকটা Youtube এর মতোই সেবা আমাদেরকে দিয়ে যাচ্ছে। শুধু digg এর এক্ষেত্রে পার্থক্যটা হলো কন্টেন্ট। Youtube যেখানে ভিডিও সম্প্রচার আর শেয়ার করবার ক্ষমতা দিচ্ছে সেখানে digg দিচ্ছে খবর বা সংবাদ শেয়ার করার ক্ষমতা। তবে কোন সংবাদপত্রের ন্যায় digg এ কোন খবর স্থান করে নেবে কি নেবে না এ সিদ্ধান্তটা নেয় পাঠকরা নিজেরাই। যতো বেশি বার ইন্টারনেটে একটি পেইজকে digg করা হয়, অর্থাৎ কিনা ভোট দেয়া হয়, সে সংবাদটি ততো গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। ব্যাপারটা এভাবে কল্পনা করা যেতে পারে - digg এর মাধ্যমে একই বিষয়ে New York Times এ প্রকাশিত একটি খবর এবং ইন্টারনেটে কোন ব্লগে প্রকাশিত কোন একটি পোস্ট একই কাতারে চলে আসছে। আর সিদ্ধান্ত পাঠকের হাতেই কোনটাকে তারা বেশি গুরুত্ব দেবেন, বিশ্বাস করবেন।

Youtube আর digg এর মতো সার্ভিসগুলো একটি সুনির্দিষ্ট নীতির ওপর ভর করে গড়ে উঠেছে, আর তা হলো - "জনসমর্থন নীতি"। মানুষ হিসেবে প্রকৃতিগতভাবেই আমরা নিজেদের প্রচার ভালোবাসি, আর এই সুযোগটাই Youtube আর digg কাজে লাগিয়েছে। তবে এই প্রচারের ব্যাপারটা বোধ করি আমাদের পরবর্তী আলোচ্য ব্যাক্তিটির চাইতে ভালো করে কেউ জানেন না - মার্ক জাকারবার্গ (Mark Zuckerberg)।


মার্ক জাকারবার্গ

মার্ক জাকারবার্গ হচ্ছেন বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় সোস্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক ফেইসবুকের (Facebook) প্রতিষ্ঠাতা। Web 2.0 এর যুগেও ফেইসবুকের জনপ্রিয়তা প্রায় অবিশ্বাস্য। বর্তমানে Facebook এর ব্যবহারকারী প্রতি সপ্তাহে ৩% করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ২ লক্ষ নতুন ব্যবহারকারী Facebook এ যোগ দিচ্ছেন। Facebook এর বাজার মূল্য এখন আন্দাজ লাগানোও কষ্টকর। ২০০৭ সালের অক্টোবরে মাইক্রোসফট (Microsoft) Facebook এর মাত্র ১.৬% শেয়ার কেনে ২৪৬ মিলিয়ন ডলার খরচ করে। আর এটাই বলে দেয় Facebook এর মূল্য এখন কত! Facebook কে অভিহিত করা হয়ে থাকে পরবর্তী গুগোল হিসেবে আর মার্ক জাকারবার্গকে দেখা হয় ভবিষ্যৎ বিল গেটস রূপে। Facebook এর মতোই আরো একটি জনপ্রিয় সোস্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক হচ্ছে মাইস্পেস (Myspace) যার জন্ম ২০০৩ এ। কয়েক বছরের মধ্যেই Myspace তুমুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। একটা সময় ছিলো যখন Myspace ভিসিটের দিক দিয়ে গুগোলকেও ছাড়িয়ে যায়। এটাই সম্ভবত Web 2.0 এর সবচেয়ে মজাদার দিক, আজ আপনাকে এমন একটি কোম্পানী বা ব্যাক্তির নাম বলা হলো যার নাম আপনি আগে কোনোদিন শোনেননি, আর পরের দিনই দেখবেন সেই কোম্পানী বা ব্যাক্তিরই চারিদিকে জয়জয়কার।

কিন্তু সত্য কথা বলতে গেলে কি - Youtube, digg, Facebook বা Myspace এর উত্থানটা কিন্তু পুরোপুরি শূণ্য থেকে নয়। বরং এই কোম্পানীগুলোর উত্থানের পেছনে রয়েছে আরো একটি যুগান্তকারী প্রযুক্তির অবদান যার বয়সও খুব বেশি নয় - এইতো হবে বছর দশেক। আর তারাই অনলাইন শেয়ারিং ধারণার প্রবর্তক। যার কথা এখন বলবো তিনি শুধু প্রোগামারই ছিলেন না, একইসাথে ছিলেন সঙ্গীতপ্রেমী। আমরা বলছি বিখ্যাত অনলাইন মিউজিক ফাইল শেয়ারিং নেটওয়ার্ক ন্যাপস্টার (Napster) আর এর প্রতিষ্ঠাতা শন ফ্যানিং (Shawn Fanning) এর কথা।


শন ফ্যানিং

আজ থেকে ১০ বছর আগেও ইন্টারনেট ছিলো অনেকটাই নিরস একটা মিডিয়া। সংবাদপত্র বা টেলিভিশনের মতো আর ১০টা মিডিয়ার থেকে ভিন্ন ছিলো না কোনো দিক দিয়েই। ইন্টারনেটে তখনও মানুষ তখন শুধু তথ্য পেতো যেমনটা সংবাদপত্র বা টেলিভিশন থেকে পেয়ে থাকি আমরা - পার্থক্য শুধু এই যে তথ্যগুলো দেখা যেতো কম্পিউটারের পর্দায়। এমন একটি সময়েই Napster এর আবির্ভাব। তখনকার একজন এ্যামেরিকান সঙ্গীতপ্রেমীর জীবনটা ছিলো অনেকটা এমন। ধরুন আপনার একটা গান রেডিওতে শুনে খুব ভালো লাগলো। আপনি কষ্ট করে দোকানে গিয়ে সেই এ্যালবামের সিডি কিনে আনলেন, যে গানটি ভালো রেগেছিলো তাও শুনলেন। কিন্তু মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো যখন দেখলেন যে ঐ এ্যালবামের আর একটা গানও ভালো না - অর্থাৎ পুরো টাকাটাই জলে। প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই অবস্থাটা এমনই ছিলো এবং কারোরই কিছুই করার ছিলো না। Napster প্রথমবারের মতো ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদেরকে সুযোগ করে দিয়েছিলো অনলাইনে কোন এ্যালবামের সব গান ডাউনলোড করে শোনবার অথবা পছন্দ মতো গান বেছে নিয়ে শোনবার, আর এর সবই বিনামূল্যে! প্রায় ঐ সময়ই বিখ্যাত কোম্পানী আইবিএম (IBM) একটি বেশ ব্যয়সাপেক্ষ জরিপ চালিয়েছিলো এটা যাচাই করতে যে মানুষ ইন্টারনেট থেকে গান ডাউনলোড করে শুনতে বা সিডিতে বার্ন করার ব্যাপারে কতোটা আগ্রহী। আর এই জরিপের ফলাফল যা এসেছিলো তা ছিলো প্রায় অবিশ্বাস্য! IBM এর জরিপের ফল ছিলো যে মানুষ এমন কোন কিছু করতে মোটেও আগ্রহী নয়। আর এর ফলাফল যা হবার তাই হয়েছিলো - প্রথম থেকেই Napster প্রতি মিউজিক কোম্পানীর কপিরাইট আইন ভঙ্গ করার অভিযোগের আগুনে এই জরিপের ফল যেন তুষ ছড়িয়ে দিলো, ফলস্বরূপ Napster বন্ধ হয়ে গেলো। Napster বন্ধ হয়ে গেলেও পাইরেসি কি বন্ধ হয়েছে? বিট টরেন্ট (BitTorrent) , কাজা (Kazaa) , লাইমওয়্যার (LimeWire) এর মতো ফাইল শেয়ারিং সার্ভিসগুলো Napster এর অসম্পূর্ণ প্রজেক্টকেই যেন পূর্ণতা দিয়েছে এবং তাও ব্যাপক আকারে। Youtube এর মতো ওয়েবসাইটে কপিরাইটেড ভিডিওর ছড়াছড়ি। IBM সেই জরিপের ফল কতোটা হাস্যকর ছিলো তা আমরা বুঝি যখন দেখি বাজার ছেয়ে গিয়েছে ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোডকৃত গানের MP3 এ। আর Apple এর মতো প্রতিষ্ঠান iTunes Store এর মতো সার্ভিস থেকে কোটি কোটি ডলার আয় করছে যেখানে প্রতিটি গান শক্ত কপিরাইট নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ ০.৯৯ ডলারে বিক্রি হচ্ছে।

মাইস্পেসের প্রথম দিককার জনপ্রিয়তার পেছনেও কিন্তু ছিলো এই অনলাইন মিউজিক শেয়ারিং সিস্টেম। ২০০৫ এ প্রায় ৫৮০ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে নিউজ কর্প (News Corp) গ্রুপ কিনে নেয়। কিন্তু শীঘ্রই Facebook এর জনপ্রিয়তার কাছে Myspace ম্লান হয়ে যায়। Web 2.0 এর যুগে আসলে যুদ্ধটা নতুন আর পুরাতনের মধ্যে নয়, বরং নতুন বনাম নতুন।

আসলে Youtube, digg, Facebook বা Myspace এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের আন্দাজের চাইতেও অনেক বেশি শক্তিশালী। আর এই শক্তিটাই স্বাভাবিকভাবে অনেকের কাছে ভয়ের কারন। ২০০৭ এ Youtube এর বিরুদ্ধে কপিরাইটেড ভিডিও সাইটে দেয়ার অভিযোগ এনে ১ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ দাবী করে মামলা করে বিখ্যাত মিডিয়া প্রতিষ্ঠান ভায়াকম (Viacom)। কিন্তু Napster কে ভূপাতিত করা যতোটা সোজা ছিলো, Youtube এর ক্ষেত্রে তা অতোটা সোজা নয়। কারন Youtube এর মালিক আর কেউ নয়, গুগোলের মতো একটি প্রতিষ্ঠান। একই রকম একটি শঙ্কা আছে উইকিপিডিয়ার (Wikipedia) মতো ওপেন এনসাইক্লোপিডিয়াকে প্রজেক্টকে নিয়েও। এই এনসাইক্লোপিডিয়ার অধিকাংশ তথ্যই এর ব্যবহারকারী আর পাঠকদের দেয়া তথ্য নির্ভর। আর তাই তথ্য বিকৃতির অভিযোগ প্রায়ই ওঠে। তবে শক্ত মোডারেশনের জন্য কখনোই বেশিদূর যায়নি এই ব্যাপারগুলো। Myspace এর মাধ্যমেই যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ বছর বয়সী তরুনী মেগান মাইয়ারকে (Megan Meier) আত্মহত্যার জন্য প্ররোচিত করে আত্মহত্যায় বাধ্য করানোর মতো ঘটনাও ঘটেছে।


ইংরেজীতে যে একটা কথা আছে - "With great power comes great responsibility (ক্ষমতা যতো বড় হয়, দায়িত্বও ততো বেড়ে যায়)"। Web 2.0 বিপ্লবের এই যুগে এই বিপ্লবের কর্ণধার যারা তারা এই কথাটার যাতে প্রতিফলন ঘটাবে তাদের কর্মকান্ডে এটাই সবার প্রত্যাশা।


* ডিসকভারি চ্যানেলে প্রচারিত Download - The True History of Internet অনুষ্ঠান অবলম্বনে রচিত।

কৃতজ্ঞতা:

এই পোস্টের কিছু ছবি ও সকল বহির্গামী লিংক উইকিপিডিয়া থেকে সংগৃহীত

এই ধারাবাহিক প্রবন্ধের সকল নিয়মিত আর অনিয়িমিত পাঠককে অসীম ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়ে এই লেখাগুলো পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনাদের প্রেরণা ছাড়া এই দীর্ঘ লেখাগুলো রচনার ধৈর্য্য আমার হয়তো জন্মাতো না। শীঘ্রই লেখাটার ৪ পর্ব পিডিএফ করে পোস্ট দিবো ভাবছি।

অন্যান্য পর্বসমূহ:

১ম পর্ব: ব্রাউসার যুদ্ধ
২য় পর্ব: সার্চ ইন্ঞ্জিন
৩য় পর্ব: ইন্টারনেট ব্যবসা - ডট কম বাবল

No comments:

Post a Comment