হ্যাকিং করাকে অনেকে সহজ মনে করে।তারা নিজেদেরকে অনেক চালাক ভাবে
হ্যাকারদেরকে অতি চালাক ভাবা হলেও তারাও কিন্তু অনেক সময় ফাঁদে পড়ে যায়। বিশেষ করে নবীন হ্যাকারদের ক্ষেত্রে এমনটি ঘটে থাকে। আমরা যখন ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করি তখন প্রত্যেকটি সংযোগের পেছনেই কাজ করে একটি করে নির্দিষ্ট আইপি অ্যাড্রেস। অর্থ্যাৎ যখনই আপনি ইন্টারনেটে সংযুক্ত হচ্ছেন তখন এই আইপি এড্রেসের মাধ্যমে একটি বিশেষ নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত আপনি। তাই ওই নেটওয়ার্কের পথ ধরে আপনাকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
হ্যাকারদের প্রধান হাতিয়ারই হলো ইন্টারনেট। তাই তারাও এই বিশেষ নেটওয়ার্কের আওতার বাইরে নয়। ইন্টারনেট সংযোগের ক্ষেত্রে যে আইপি অ্যাড্রেসগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে তা হয় ইউনিক। অর্থ্যাৎ একই আইপি অ্যাড্রেস একাধিক থাকে না। একে বলা হয় স্ট্যাটিক আইপি অ্যাড্রেস। এটাকে তুলনা করা যেতে পারে একটি আইএসডি টেলিফোন/মোবাইল নাম্বারের সাথে। সাধারণত ইন্টারনেটে সংযুক্ত থাকা যে কোন কম্পিউটার থেকেই এই স্ট্যাটিক আইপিকে খুঁজে পাওয়া যায়। ইন্টারনিক নামক একটি প্রতিষ্ঠান এই আইপি অ্যাড্রেস বন্টন করে থাকে। বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশের জন্যই রয়েছে আলাদা আলাদা আইপি অ্যাড্রেসের বান্ডিল। তাই আইপি অ্যাড্রেসের রেঞ্জ দেখলেই বলে দেওয়া সম্ভব এটি কোন দেশের আইপি। যাহোক ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ কেনার সময় প্রত্যেকটি আইএসপি একাধিক আইপি এড্রেস পেয়ে থাকে। আর আইএসপিগুলো তাদের গ্রাহকদের মধ্যে তা বন্টন করে থাকে। অনেক আইএসপি আবার আইপি স্বল্পতার কারণে গ্রাহকদের প্রাইভেট আইপিও (যেটা ইউনিক নয়) দিয়েও থাকে। প্রাইভেট আইপি ইউনিক নয়, একই আইপি একাধিকজন ব্যবহার করতে পারেন। কিন’ ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাইরে থেকে এই আইপিকে খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে যে আইপি অ্যাড্রেসই হোক না কেন ইন্টারনেটে সংযুক্ত হওয়ার জন্য যে কোন একটি স্ট্যাটিক আইপি অ্যাড্রেস এর মাধ্যমেই যেতে হয়।
যখন একজন হ্যাকার কোন একটি সার্ভারে প্রবেশ করে তখন তারা উক্ত সার্ভারে কোন আইপি থেকে কোন সময় প্রবেশ করলো তার সব তথ্যই সেখানে থাকে। একে বলা ‘এক্সেস লগ’। এবং সেই তথ্য অনুযায়ী খুঁজে বের করা হয় হ্যাকারকে।
তবে চালাক হ্যাকারদের ক্ষেত্রে এই টেকনিক খুব বেশি ফলপ্রসু হয় না। কারণ ঐসব হ্যাকাররা তাদের কাজ শেষে সার্ভার থেকে বের হওয়ার সময় উক্ত ‘এক্সেস লগ’ মুছে দেয়। ফলে কোন তথ্যই অবশিষ্ট থাকে না। আবার চালাক সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেটররাও তাদের এই এক্সেস লগ এবং সার্ভিস পোর্টগুলোকে এমনভাবে সাজিয়ে নেয় যেখানে চালাক হ্যাকারদের চালাকিও কাজ করে না।
কাজেই হ্যাকিং রোধে সার্ভারের নিয়ন্ত্রণ কর্তাদেরও হতে হয় হ্যাকারদের মতোই অভিজ্ঞ।
আসুন সহজ পদ্ধতিতে একটি আইপি এড্রেস এর অবস্থান কীভাবে খুঁজে বের করা যায় তা দেখি-
পরীক্ষামূলকভাবে যে কোন একটি স্ট্যাটিক আইপি এড্রেস নির্বাচন করুন। এবার www.whatismyipaddress.com সাইটটিতে যান ip lookup লিঙ্কে ক্লিক করুন। এবার নির্বাচিত আইপি এড্রেসটি বসিয়ে lookup ip address এ ক্লিক করুন। অল্প সময়ের মধ্যেই হাতে পেয়ে যাবেন উক্ত আইপি এড্রেসের অবস্থান এমনকি এর ব্যবহারকারির ঠিকানাও।
হয়তো কেউ নিজেকে চালাক মনে করে ভাবতে পারে মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করলে হয়তো তা সনাক্ত করা সম্ভব হবে না। এটাও একটি ভ্রান্ত ধারণা। অনেক সময় ভাবতে পারেন কোন ভুয়া ঠিকানায় সীম কার্ড রেজিস্ট্রেশন করে সেই সীমের মাধ্যমে হ্যাকিং করবেন। এখানেও ধরা পড়ে যাবে সব চালাকি! মোবাইলের নাম্বার ট্রেসআউট করে খুঁজে বের করা হবে অপরাধীকে। ভাবছেন ঐ সীমটিই ফেলে দিবেন? আশা করি অন্তত মোবাইল সেটটি তো আর ফেলবেন না! এরপর যে প্রতিষ্ঠানের সিম কার্ডই ব্যবহার করা হোক না কেন ঐ সেটটি চালু করলেই অপরাধী ধরা পড়ে যেতে পারে। কারণ প্রত্যেকটি মোবাইল সেটেই থাকে একটি বিশেষ প্রোডাক্ট নাম্বার যাকে বলা হয় IMEI নাম্বার। সাধারণত একটি সেটের IMEI নাম্বারের সাথে আরেকটির নাম্বার মিলে না। তদন-কারীরা অপরাধী সনাক্ত করার জন্য এই আইএমই নাম্বারটি দিয়ে দিতে পারে সবগুলো টেলিফোন প্রোভাইডার প্রতিষ্ঠানে। আর যখনই উক্ত আইএমই যুক্ত সেটটি চালু তৎক্ষণাত তাকে খুঁজে বের করা সম্ভব হবে কাহার দ্বারা হ্যাকিং করা হইয়াছিল।অতএব হ্যাকিং করার সময় বুঝিয়া শুনিয়া হ্যাকিং করিয়েন।আশা করি টিউনটি ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ সবাইকে।ভালো থাকবেন।
হ্যাকারদেরকে অতি চালাক ভাবা হলেও তারাও কিন্তু অনেক সময় ফাঁদে পড়ে যায়। বিশেষ করে নবীন হ্যাকারদের ক্ষেত্রে এমনটি ঘটে থাকে। আমরা যখন ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করি তখন প্রত্যেকটি সংযোগের পেছনেই কাজ করে একটি করে নির্দিষ্ট আইপি অ্যাড্রেস। অর্থ্যাৎ যখনই আপনি ইন্টারনেটে সংযুক্ত হচ্ছেন তখন এই আইপি এড্রেসের মাধ্যমে একটি বিশেষ নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত আপনি। তাই ওই নেটওয়ার্কের পথ ধরে আপনাকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
হ্যাকারদের প্রধান হাতিয়ারই হলো ইন্টারনেট। তাই তারাও এই বিশেষ নেটওয়ার্কের আওতার বাইরে নয়। ইন্টারনেট সংযোগের ক্ষেত্রে যে আইপি অ্যাড্রেসগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে তা হয় ইউনিক। অর্থ্যাৎ একই আইপি অ্যাড্রেস একাধিক থাকে না। একে বলা হয় স্ট্যাটিক আইপি অ্যাড্রেস। এটাকে তুলনা করা যেতে পারে একটি আইএসডি টেলিফোন/মোবাইল নাম্বারের সাথে। সাধারণত ইন্টারনেটে সংযুক্ত থাকা যে কোন কম্পিউটার থেকেই এই স্ট্যাটিক আইপিকে খুঁজে পাওয়া যায়। ইন্টারনিক নামক একটি প্রতিষ্ঠান এই আইপি অ্যাড্রেস বন্টন করে থাকে। বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশের জন্যই রয়েছে আলাদা আলাদা আইপি অ্যাড্রেসের বান্ডিল। তাই আইপি অ্যাড্রেসের রেঞ্জ দেখলেই বলে দেওয়া সম্ভব এটি কোন দেশের আইপি। যাহোক ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ কেনার সময় প্রত্যেকটি আইএসপি একাধিক আইপি এড্রেস পেয়ে থাকে। আর আইএসপিগুলো তাদের গ্রাহকদের মধ্যে তা বন্টন করে থাকে। অনেক আইএসপি আবার আইপি স্বল্পতার কারণে গ্রাহকদের প্রাইভেট আইপিও (যেটা ইউনিক নয়) দিয়েও থাকে। প্রাইভেট আইপি ইউনিক নয়, একই আইপি একাধিকজন ব্যবহার করতে পারেন। কিন’ ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাইরে থেকে এই আইপিকে খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে যে আইপি অ্যাড্রেসই হোক না কেন ইন্টারনেটে সংযুক্ত হওয়ার জন্য যে কোন একটি স্ট্যাটিক আইপি অ্যাড্রেস এর মাধ্যমেই যেতে হয়।
যখন একজন হ্যাকার কোন একটি সার্ভারে প্রবেশ করে তখন তারা উক্ত সার্ভারে কোন আইপি থেকে কোন সময় প্রবেশ করলো তার সব তথ্যই সেখানে থাকে। একে বলা ‘এক্সেস লগ’। এবং সেই তথ্য অনুযায়ী খুঁজে বের করা হয় হ্যাকারকে।
তবে চালাক হ্যাকারদের ক্ষেত্রে এই টেকনিক খুব বেশি ফলপ্রসু হয় না। কারণ ঐসব হ্যাকাররা তাদের কাজ শেষে সার্ভার থেকে বের হওয়ার সময় উক্ত ‘এক্সেস লগ’ মুছে দেয়। ফলে কোন তথ্যই অবশিষ্ট থাকে না। আবার চালাক সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেটররাও তাদের এই এক্সেস লগ এবং সার্ভিস পোর্টগুলোকে এমনভাবে সাজিয়ে নেয় যেখানে চালাক হ্যাকারদের চালাকিও কাজ করে না।
কাজেই হ্যাকিং রোধে সার্ভারের নিয়ন্ত্রণ কর্তাদেরও হতে হয় হ্যাকারদের মতোই অভিজ্ঞ।
আসুন সহজ পদ্ধতিতে একটি আইপি এড্রেস এর অবস্থান কীভাবে খুঁজে বের করা যায় তা দেখি-
পরীক্ষামূলকভাবে যে কোন একটি স্ট্যাটিক আইপি এড্রেস নির্বাচন করুন। এবার www.whatismyipaddress.com সাইটটিতে যান ip lookup লিঙ্কে ক্লিক করুন। এবার নির্বাচিত আইপি এড্রেসটি বসিয়ে lookup ip address এ ক্লিক করুন। অল্প সময়ের মধ্যেই হাতে পেয়ে যাবেন উক্ত আইপি এড্রেসের অবস্থান এমনকি এর ব্যবহারকারির ঠিকানাও।
হয়তো কেউ নিজেকে চালাক মনে করে ভাবতে পারে মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করলে হয়তো তা সনাক্ত করা সম্ভব হবে না। এটাও একটি ভ্রান্ত ধারণা। অনেক সময় ভাবতে পারেন কোন ভুয়া ঠিকানায় সীম কার্ড রেজিস্ট্রেশন করে সেই সীমের মাধ্যমে হ্যাকিং করবেন। এখানেও ধরা পড়ে যাবে সব চালাকি! মোবাইলের নাম্বার ট্রেসআউট করে খুঁজে বের করা হবে অপরাধীকে। ভাবছেন ঐ সীমটিই ফেলে দিবেন? আশা করি অন্তত মোবাইল সেটটি তো আর ফেলবেন না! এরপর যে প্রতিষ্ঠানের সিম কার্ডই ব্যবহার করা হোক না কেন ঐ সেটটি চালু করলেই অপরাধী ধরা পড়ে যেতে পারে। কারণ প্রত্যেকটি মোবাইল সেটেই থাকে একটি বিশেষ প্রোডাক্ট নাম্বার যাকে বলা হয় IMEI নাম্বার। সাধারণত একটি সেটের IMEI নাম্বারের সাথে আরেকটির নাম্বার মিলে না। তদন-কারীরা অপরাধী সনাক্ত করার জন্য এই আইএমই নাম্বারটি দিয়ে দিতে পারে সবগুলো টেলিফোন প্রোভাইডার প্রতিষ্ঠানে। আর যখনই উক্ত আইএমই যুক্ত সেটটি চালু তৎক্ষণাত তাকে খুঁজে বের করা সম্ভব হবে কাহার দ্বারা হ্যাকিং করা হইয়াছিল।অতএব হ্যাকিং করার সময় বুঝিয়া শুনিয়া হ্যাকিং করিয়েন।আশা করি টিউনটি ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ সবাইকে।ভালো থাকবেন।
No comments:
Post a Comment