Saturday, March 27, 2010

আসুন সহজে পিসি-টু-পিসি LAN করি (পর্ব – ৫)


আজকের পর্ব : নেটওয়ার্কিং ডিভাইস পরিচিতি

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক তৈরী করার জন্য কম্পিউটার এবং ক্যাবল ছাড়াও আরও বেশ কিছু ডিভাইসের প্রয়োজন হয়। নেটওয়ার্ক তৈরী করার জন্য কোন ডিভাইসের কি কাজ, কোন ক্ষেত্রে কোন ডিভাইস ব্যবহার করতে হবে এবং ডিভাইসগুলোর মধ্যে পার্থক্য জানা প্রয়োজন। এ কারনে আমি অল্প কথায় সহজ ভাষায় নেটওয়ার্কিং ডিভাইসগুলোর পরিচিতি তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

প্রথমে OSI Layer সম্পর্কে কিছুটা ধারনা দেয়া প্রয়োজন, কারন এই লেয়ারগুলোর উপর ভিত্তি করেই নেটওয়ার্কিং ডিভাইসগুলো কাজ করে।



উপরের চিত্রে OSI Layer এর মডেল দেয়া আছে, যা ৭ টি স্তরে বিভক্ত। কোনো প্রেরক (Sender) ডিভাইস (যেমন: কম্পিউটার) থেকে ডাটা প্রবাহিত হওয়ার সময়, প্রেরক ডিভাইসের ডাটা উপরের লেয়ার থেকে নিচের লেয়ারের দিকে প্রবাহিত হতে থাকে। প্রতিটি লেয়ারে সেই ডাটাকে নিয়ে কিছু কাজ হয়, তারপর পরবর্তী লেয়ারে পঠিয়ে দেয়। এভাবে কোন ইউজার যখন কোন ডাটা পাঠায় তখন সেটি প্রথমে আসে এপ্লিকেশন লেয়ারে, এরপর প্রেজেন্টেশন, সেশন .... এভাবে চলতে চলতে ফিজিক্যাল লেয়ার পর্যন্ত। ফিজিক্যাল লেয়ারে এসে ডাটা পুরোপুরি মেশিন কোডে রুপান্তরিত হয়, যা ক্যাবলের মধ্যে দিয়ে গন্তব্যে পাঠানো হয়। গন্তব্যে পৌছে প্রাপক (Receiver) ডিভাইসটি ফিজিক্যাল লেয়ারে ডাটাটি গ্রহন করে উপরের দিকের লেয়ারে পাঠাতে থাকে এবং এপ্লিকেশন লেয়ারে পৌছানোর পর আমরা সেই ডাটাটি দেখতে পারি। এটাই মূলত OSI Layer এর কাজ। এখানে মনে রাখতে হবে, নেটওয়ার্কিং ডিভাইসগুলো শুধুমাত্র ফিজিক্যাল, ডাটা লিংক এবং নেটওয়ার্ক এই ৩ টি লেয়ারে কাজ করতে পারে।

NIC Card বা ল্যান কার্ড : NIC Card বা ল্যান কার্ডের সাথে আমরা সবাই পরিচিত, এটি কম্পিউটারের সাথে লাগানো থাকে এবং প্রতিটি ল্যান কার্ড দিয়ে একটি মাত্র কানেকশন লাগানো যায়। একাধিক কানেকশন ব্যবহারের প্রয়োজন হলে একই কম্পিউটারে একাধিক ল্যান কার্ডও চাইলে ব্যবহার করতে পারবেন। প্রতিটি ল্যান কার্ডে একটি নির্দিষ্ট ফিজিক্যাল এড্রেস থাকে যাকে ম্যাক এড্রেস (MAC Address) বলা হয়। এই ম্যাক এড্রেস প্রতিটি ল্যান কার্ডের জন্য তৈরী করার সময়ই নিদিষ্ট করে দেয়া থাকে, যা পরিবর্তন করা যায় না। এই ম্যাক এড্রেস ব্যবহার করা হয় OSI Layer এর ফিজিক্যাল লেয়ারে। রাউটিং এর জন্য এই ম্যাক এড্রেস খুবই গুরুত্বপূর্ন। এছাড়া ল্যান কার্ডে একটি লজিক্যাল এড্রেস বা আইপি এড্রেস বসাতে হয় যা নেটওয়ার্ক লেয়ারে কাজ করে।

হাব (Hub) : হাব একটি নেটওয়ার্ক ইন্টারকানেক্টিং ডিভাইস, যা ব্যবহার করে স্টার টপোলজি তৈরী করা যায়। হাব OSI Layer লেয়ারের শুধুমাত্র ফিজিক্যাল লেয়ারে কাজ করে।



হাব দামে সস্তা এবং সহজে ব্যবহার করা যায় তাই অনেকেই ছোট নেটওয়ার্কের জন্য হাব ব্যবহার করেন। কিন্তু সুবিধার পাশাপশি হাব ব্যবহারের বেশ কিছু অসুবিধাও আছে। যেমন : হাবের কোন নিজস্ব রাউটিং টেবিল নেই, যার কারনে সে তার সাথে সরাসরি যুক্ত নেটওয়ার্ক বা ডিভাইস চিনতে পারে না। তাই হাব যখন কোন ডাটা পায় তখন সে তার সাথে পোর্টে যুক্ত সবগুলো ডিভাইসকে সেই একই ডাটা কপি করে পাঠিয়ে দেয়। এরপর প্রাপক কম্পিউটারটি ছাড়া বাকি কম্পিউটারগুলো ডাটাটি পরীক্ষা করে যখন দেখে যে, এটি তার জন্য পাঠানো হয়নি তখন ডাটাটি ডিলিট করে দেয়। এভাবেই হাব যত ডাটা পায় তা তার সাথে পোর্টে যুক্ত সবাইকে পঠিয়ে দেয়, যা ডাটার সিকিউরিটি এবং মূল্যবান ব্যান্ডউইথ নষ্ট করে। বড় নেটওয়ার্কের মাঝে একটি হাব পুরো নেটওয়ার্কের ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। একারনে বর্তমানে হাবের ব্যবহার কিছুটা কমে এসেছে এবং এর বদলে কম দামের এক ধরনের সুইচের ব্যবহার বেড়েছে। এই সব সুইচের দাম ১০০০-১২০০ টাকার মধ্যে এবং হাবের চাইতে কিছুটা ভাল কাজ করে। তাই যারা ছোট নেটওয়ার্ক তৈরী করবেন তাদের জন্য এই সুইচ কেনাই সবচেয়ে ভাল হবে, ডি-লিংক এবং আসুস ব্রান্ডর সুইচগুলো বেশ ভাল কাজ করে দেখেছি।

সুইচ (Switch): সুইচ এবং হাব একই কাজ করলেও, সুইচ হাবের চাইতে উন্নত। সুইচ আর হাবের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে সুইচের নিজস্ব রাউটিং টেবিল আছে। এই টেবিলে সে তার সাথে যুক্ত সকল নেটওয়ার্ক এবং নেটওয়ার্কে সংযুক্ত কম্পিউটারগুলোর ডাটা সংরক্ষন করে রাখে।



সুইচ যেহেতু ফিজিক্যাল এবং ডাটালিংক লেয়ারে কাজ করে তাই তার সাথে যুক্ত কম্পিউটারের ডাটা হিসেবে সে ল্যান কার্ডের MAC Address ব্যবহার করে। যখন একটি ডাটা সুইচের কাছে আসে সে তখন সেই ডাটাটির প্রাপক কম্পিউটারের MAC Address তার রাউটিং টেবিলের সাথে মিলিয়ে দেখে। মিলে গেলে প্রাপক কম্পিউটারটি সুইচের যে পোর্টের সাথে যুক্ত সেই পোর্ট দিয়ে ডাটাটি পাঠিয়ে দেয়। যার ফলে যেকোন ডাটা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট প্রাপক কম্পিউটারের কাছেই পৌছায়। সাধারন মানের সুইচ সবসময় একটি নেটওয়ার্ক নিয়েই কাজ করতে পারে। তবে ম্যানেজেবল সুইচকে VLAN (Virtual LAN) করে ভাগ করে একাধিক নেটওয়ার্কে কাজ করানো যায়। ম্যানেজেবল সুইচের দাম সাধারন সুইচের চাইতে অনেক বেশি, যেমন Cisco কোম্পানীর একটি ৮ পোর্টের ম্যানেজেবল সুইচের দাম ১৫ হাজার টাকার মত। তাই এগুলো শুধুমাত্র বড় এবং গুরুত্বপূর্ন নেটওয়ার্কে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে কিছু উন্নত প্রযুক্তির ৩ লেয়ারের সুইচ রয়েছে, যা নেটওয়ার্ক লেয়ার পর্যন্ত সরাসরি IP Address নিয়ে কাজ করতে পারে।

রাউটার (Router): রাউটার একটি ৩ লেয়ার ডিভাইস, অর্থাৎ এটি OSI Layer এর ফিজিক্যাল, ডাটালিংক এবং নেটওয়ার্ক লেয়ার নিয়ে কাজ করতে পারে। একারনে রাউটার নেটওয়ার্ক লেয়ারে IP Address নিয়ে কাজ করতে পারে।



রাউটার সাধারনত অনেকগুলো LAN (Local Area Network) কে যুক্ত করে WAN (Wide Area Network) তৈরী করতে সাহায্য করে। রাউটার Wired এবং Wireless এই দুই ধরনের হয়। ছবিতে একটি Wireless Router দেখানো হয়েছে। রাউটারের রাউটিং টেবিলে MAC Address এর বদলে থাকে IP Address এবং তার সাথে যুক্ত নেটওয়ার্কগুলোর সম্পর্কে সমস্ত রেকর্ড তার কাছে থাকে, যা দেখে সে সহজেই একটি ডাটা কোন পথ দিয়ে বা কোন পোর্ট দিয়ে যাবে তা নির্দেশ করতে পারে। শুধু তার সাথে সরাসরি যুক্ত নেটওয়ার্কগুলোই নয়, বরং দূরের কোন নেটওয়ার্কে ডাটা পৌছানোর জন্য কোন পথ দিয়ে ডাটাটি পাঠাতে হবে তাও রাউটার ঠিক করে দেয়। প্রতিটি রাউটার কিছু সেকেন্ড পর পর নিজেকে আপডেট করে নেয় এবং তার পার্শ্ববর্তী রাউটারগুলোকে সেই আপডেট মেসেজ পাঠায়, যা দেখে অন্য রাউটারগুলোও নিজেদের আপডেট করে নেয়। যেমন ধরুন একটি নেটওয়ার্ক বা ল্যান কোন কারনে রাউটার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল, সেক্ষেত্রে রাউটারটি প্রথমে তার নিজের রাউটিং টেবিলটিকে আপডেট করে নেবে এবং তার পার্শ্ববর্তী রাউটারগুলোকে মেসেজ সেন্ড করে জানিয়ে দেবে যে এই ল্যানটি বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এ পুরো পক্রিয়াটি চালু রাখার জন্য বেশকিছু রাউটিং প্রোটোকল (Routing Protocol) রয়েছে যেমন : RIPv2, EIGRP, OSPF ইত্যাদি। প্রোটোকল হচ্ছে কিছু নিয়মের সমন্বয় যা ওই প্রোটোকলের আওতাধীন রাউটারগুলোকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন রাউটার একটি অত্যান্ত বুদ্ধিমান এবং উন্নতমানের ডিভাইস, এ কারনে এর দামটাও কিঞ্চিত বেশি।



সার্ভার (Server) : সার্ভার হচ্ছে একটি তথ্য ভান্ডার যেখানে তথ্য জমা থাকে এবং যখন কোন ক্লায়েন্ট তথ্য চায় তখন সাথে সাথে তাকে সেই তথ্য বা ডাটা সরবরাহ করা সার্ভারের কাজ। বর্তমানে অনেক ধরনের সার্ভার রয়েছে যেমন : ফাইল সার্ভার, ইমেইল সার্ভার, ডাটাবেজ সার্ভার, প্রক্সি সার্ভার, প্রিন্ট সার্ভার, ওয়েব সার্ভার ইত্যাদি।



নেটওয়ার্কের আকার বৃদ্ধির সাথে সাথে সার্ভারের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। প্রতিটি সার্ভার একটি নিদিষ্ট বিশেষ ধরনের কাজের জন্য। যেমন : ফাইল সার্ভারের কাজ হলো নেটওয়ার্ক ইউজারদের জন্য বিভিন্ন ফাইল শেয়ার করা যাতে ইউজাররা সহজে যেকোন সময় তাদের প্রয়োজনীয় ফাইলে প্রবেশ করতে পারে। ফাইল সার্ভারে চলে এমন এক নেটওয়ার্ক সার্ভিস যার মাধ্যমে কোন সার্ভার ডাটা স্টোর করা যায়, সেই ডাটা পড়া যায় এবং প্রয়োজনে অন্যত্র স্থানান্তর করা যায়। যেকোন সার্ভারের দুটি গুরুত্বপূর্ন অংশ স্টোরেজ মেমোরী এবং RAM। এ দুটো অংশ কতটা শক্তিশালী হবে তা নির্ভর করে এটি কি ধরনের কাজ করবে এবং কতজন ক্লায়েন্ট এটি ব্যবহার করবে তার উপর।

সূত্র

আসুন সহজে পিসি-টু-পিসি LAN করি (পর্ব – ৪)



আজকের পর্ব সাবনেটিং

আমার আগের কয়েকটি লেখায় বলেছিলাম কিভাবে ছোট আকারের নেটওয়ার্ক তৈরী করতে হয়। এবার আমি আলোচনা করব বড় আকারের নেটওয়ার্ক নিয়ে। বড় আকারের নেটওয়ার্ক তৈরীর সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রতিটি কম্পিউটারের জন্য একটি করে IP Address বরাদ্দ করা। কারন IPv4 এ IP Address এর সংখ্যা সীমিত। প্রথম যখন ইন্টারনেট আবিস্কার হয় তখন কেউ কল্পনা করতে পারেনি যে এটি এতটা জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হবে, তখন ইন্টারনেট শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন ধরনের গবেষনার কাজে ব্যবহার করা হত। তাই ৩২ বিটের IPv4 Address কেই তারা ভেবেছিল যথেষ্ট। কিন্তু বর্তমানে সারা পৃথিবীতে ইন্টারনেট বিস্তৃত হওয়ায় IP Address সংকট দেখা দিয়েছে। তাই এই অল্প সংখ্যক IP Address নিয়েই আমাদের নেটওয়ার্ক তৈরী করতে হবে। এ কারনেই আমাদের সাবনেটিং এর প্রয়োজন হচ্ছে।

প্রথমে আমারা জানি যে, IPv4 Address কে ৪ টি ক্লাসে ভাগ করা হয়েছে, যা হলো :

CLASS A শুরু 0.0.0.0 থেকে 127.0.0.0 পর্যন্ত এবং সাবনেট মাস্ক 255.0.0.0
CLASS B শুরু 128.0.0.0 থেকে 191.0.0.0 পর্যন্ত এবং সাবনেট মাস্ক 255.255.0.0
CLASS C শুরু 192.0.0.0 থেকে 223.0.0.0 পর্যন্ত এবং সাবনেট মাস্ক 255.255.255.0
CLASS D শুরু 224.0.0.0 থেকে 239.0.0.0 পর্যন্ত [মাল্টিকাস্টের জন্য সংরক্ষিত]
CLASS E শুরু 240.0.0.0 থেকে 255.0.0.0 পর্যন্ত [রিসার্চের জন্য সংরক্ষিত]

এর মধ্যে Class A এড্রেস শেষ হয়ে গেছে এবং Class B এড্রেস প্রায় নিঃশেষ হয়ে গেছে, ইন্টারনিকের কাছে আবেদন করে সেই আবেদনের যথার্থতা প্রমান করতে পারলেই কেবল এই ক্লাসের IP পাওয়া যায়।

এর মধ্যে কিছু এড্রেস রাখা হয়েছে Private IP Address হিসেবে সেগুলো হচ্ছে :

CLASS A শুরু 10.0.0.0 থেকে 10.255.255.255 পর্যন্ত
CLASS B শুরু 172.16.0.0 থেকে 172.31.255.255 পর্যন্ত
CLASS C শুরু 192.168.0.0 থেকে 192.168.255.255 পর্যন্ত

বড় একটি নেটওয়ার্কের জন্য যদি আপনি প্রতিটি পিসির জন্য আলাদা আলাদা আইপি এড্রেস কিনতে চান তাহলে আপনার নেটওয়ার্কটি হবে অনেক ব্যায়বহুল এবং ইন্টারনিক আপনাকে এতগুলো আইপি দেবেও না। তাই বড় নেটওয়ার্ককে যদি ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত করতে চান তাহলে প্রথমে বড় নেটওয়ার্কটিকে ছোট ছোট নেটওয়ার্কে (সাবনেটে) ভাগ করুন এবং IP Address হিসেবে Private IP Address Range ব্যবহার করুন। কারন Private IP Address ফ্রি এবং Private Address দিয়ে আপনি হাজার হাজার কম্পিউটারে আইপি এড্রেস বসাতে পারবেন। তবে এই প্রক্রিয়ায় ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গেলে আপনাকে Router ব্যবহার করতে হবে। কারন প্রাইভেট আইপি দিয়ে সরাসরি ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হওয়া যায় না, রাউটার ব্যবহার করলেই প্রাইভেট আইপির সব কম্পিউটার রাউটারের গেইটওয়ে এড্রেস ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে।

এখন ছোট ছোট নেটওয়ার্কগুলোকে রাউটারের সাথে যুক্ত করলেই একটি বড় নেটওয়ার্ক দাড়িয়ে গেল। ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য রাউটারের আউটগোয়িং পোর্টে ইন্টারনিক থেকে কেনা Public IP Address বসিয়ে দিন। তাতে আপনার নেটওয়ার্কের জন্য এতগুলো Public IP কিনতে হচ্ছে না, জাস্ট একটি Public IP হলেই চলছে এবং নেটওয়ার্কের সিকিউরিটিও বাড়বে। কারন Public IP Address দিয়ে বাইরের কেউ Private Network এ ঢুকতে পারে না।

ছোট নেটওয়ার্কে (সাবনেট) ভাগ করা ছাড়া যেকোন হোস্ট এড্রেস হয় নিম্নরুপ :

নেটওয়ার্ক আইডি + হোস্ট আইডি

এখানে মনে রাখা প্রয়োজন যে ইন্টারনিক আমাদেরকে যে নেটওয়ার্ক আইডি দিচ্ছে সেটিকে আমরা পরিবর্তন করতে পারবো না। কিন্তু আমরা যেসব ছোট নেটওয়ার্ক (সাবনেট) তৈরী করব সেগুলোকে ভিন্নভাবে চিহ্নিত করা দরকার। তাই আমরা নেটওয়ার্কের বিটগুলোকে অপরিবর্তিত রেখে হোস্ট আইডির কিছু বিটকে ব্যবহার করতে হবে। সাবনেট যুক্ত যেকোন নেটওয়ার্কের আইপি এড্রেস হবে নিম্নরুপ :

নেটওয়ার্ক আইডি + সাবনেট আইডি + হোস্ট আইডি

এখানে হোস্ট আইডিকে ভেঙ্গে কিছু বিট সাবনেট আইডি হিসেবে নেয়া হয়েছে। কিন্তু নেটওয়ার্ক আইডি অপরিবর্তিত রয়েছে।

সাব-নেটওয়ার্ক এড্রেস বের করার একটি পদ্ধতি হচ্ছে Binary ANDing। ANDing করার নিয়ম হচ্ছে :

1 AND 1 = 1
1 AND 0 = 0
0 AND 1 = 0
0 AND 0 = 0

একটি আইপি এড্রেস কোন সাবনেটের অন্তর্ভুক্ত তা বের করার জন্য Binary ANDing ব্যবহার করা হয়। নিচের ছবিটি লক্ষ করুন :



উপরের ছবিতে IP Address দেয়া হয়েছে 192.100.10.33 এবং সাবনেট মাস্ক দেয়া হয়েছে 255.255.255.0 এরপর আইপি এড্রেস আর সাবনেট মাস্ককে বাইনারি নম্বরে পরিবর্তন করে ANDing করতেই রেজাল্টে সাব-নেটওয়ার্ক এড্রেস 192.100.10.0 বের হয়ে এসেছে। এই ফর্মুলা ব্যবহার করে যে কোন আইপি কোন সাবনেট বা নেটের অন্তর্ভূক্ত তা বের করা সম্ভব।

এবারে আসুন দেখা যাক কিভাবে একটি বড় নেটওয়ার্কের জন্য IP Address সরবরাহ করবেন। প্রথমে কিছু প্রশ্নের উত্তর খুজুন।

১। আপনি কতগুলো কম্পিউটারের জন্য IP Address খুজছেন?
২। আপনার বড় নেটওয়ার্কটিকে কতগুলো ছোট নেটওয়ার্কে (সাবনেট) ভাগ করতে চান?
৩। আপনার নেটওয়ার্কে কি ইন্টারনেট থাকবে নাকি শুধুমাত্র অভ্যন্তরীন কাজে ব্যবহার হবে?

উত্তরগুলো জেনে নিন। এখানে একটি বড় নেটওয়ার্ককে ছোট ছোট নেটওয়ার্কে ভাগ করে নেয়া সুবিধাজনক, কারন ধরুন আপনি একটি বিল্ডিং এর সবগুলো তলা নিয়ে বড় নেটওয়ার্ক তৈরী করছেন। এখানে যদি প্রতিটি তলা ছোট ছোট নেটওয়ার্কে ভাগ করা থাকে তবে তা আপনার জন্য সেটাপ+মেইনটেইন করা সুবিধাজনক।

ধরুন, আপনি 180 টি কম্পিউটার নিয়ে বড় একটি নেটওয়ার্ক তৈরী করতে চান। যেখানে সাবনেট থাকবে 6 টি এবং প্রতিটি সাবনেটে হোস্ট কম্পিউটার থাকবে কমপক্ষে 30 টি। IP Address দেয়া হলো 192.168.16.0 এবং সাবনেট 255.255.255.0। কিভাবে করবেন?

কাগজ কলম নিয়ে হাতে সাবনেট ক্যালকুলেশন করার প্রকিয়া কিছুটা জটিল এবং নতুনদের জন্য সমস্যার। তাই আমি আপনাদের সাবনেট ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে সাবনেট হিসাব করার জন্য বলছি। এখান থেকে Subnet Calculator Software টি ডাউনলোড করে নিন। ইন্সটল করুন এবং রান করান, নিচের উইন্ডোটি আসবে।



এখানে IP বক্সে 192.168.16.0 লিখুন। এবার Max Subnets এ 6 দিন এবং Max hosts এ 30 বসান।



এবার সার্চ বাটনটিতে ক্লিক করুন। নিচের উইন্ডোটি পাবেন।



এখানে 6 টি নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক এড্রেস, ওই সাবনেটের রেঞ্জ এবং ব্রডকাস্ট এড্রেস দেয়া আছে। এখান থেকে টুকে নিয়ে কম্পিউটারে এড্রেসগুলো বসিয়ে দিলেই হবে। তবে মনে রাখতে হবে, নেটওয়ার্ক এড্রেস অর্থাৎ প্রথম আইপি এড্রেসটি এবং ব্রডকাস্ট এড্রেস অর্থাৎ শেষের আইপি এড্রেসটি আপনি কোন কম্পিউটারে ব্যবহার করতে পারবেন না। মাঝের সাবনেট রেঞ্জ এ যে এড্রেসগুলো দেয়া আছে ওগুলোই শুধু ব্যবহার করা যাবে।

এভাবে যেকোন আইপির জন্য সাবনেট তৈরী করা সম্ভব।

হাতে-কলমে সাবনেটিং শিখতে চাইলে, একটি বই আছে যা পড়ে দেখতে পারেন। ডাউনলোড লিংক : Click This Link

সূত্র

আসুন সহজে পিসি-টু-পিসি LAN করি (পর্ব – ৩)


আমি আগে ২টি পর্বে আপনাদেরকে দেখিয়েছি কিভাবে নেটওয়ার্কিং করার জন্য হার্ডওয়্যার প্রস্তুত করতে হয় এবং IP Addressing এর নিয়মাবলী। এবার দেখাবো নেটওয়ার্কের জন্য ওয়ার্কগ্রুপ তৈরী করার নিয়ম এবং সার্ভার কম্পিউটারটির ইন্টারনেট শেয়ারিং, যাতে অন্য কম্পিউটারগুলো ইন্টারনেট ব্যবহার এবং ফাইল শেয়ারিং করতে পারে। সার্ভার (Server) শব্দটি শুনে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, এই সার্ভার আর ওয়েব সার্ভার এক জিনিষ নয়। এখানে সার্ভার হচ্ছে শুধুমাত্র ইন্টারনেট গেইটওয়ে সার্ভার যা যেকোন সাধারন কম্পিউটার হতে পারে।

এখানে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, ইন্টারনেট যুক্ত নেটওয়ার্কে যে কম্পিউটারটি সরাসরি ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত সেই কম্পিউটারটিকে Server হিসেবে ব্যবহার করব এবং বাকি সকল কম্পিউটারকে Client হিসেবে ব্যবহার করব। সকল কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য সার্ভার কম্পিউটারটি সব সময় চালু রাখতে হবে। সার্ভার কম্পিউটারটি বন্ধ করলে নেটওয়ার্কের অন্যান্য কম্পিউটার ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে না, তবে নিজেদের মধ্যে নেটওয়ার্কিং/ফাইল শেয়ারিং চালু থাকবে। যদি ইন্টারনেট সংযোগ না থাকে তবে নেটওয়ার্কে সার্ভারের কোন প্রয়োজন নেই, তখন সব পিসিই হবে ক্লায়েন্ট।

Control Panel > Network Connections এ গিয়ে সাইড ম্যানু থেকে Setup a home or small office network লিংকে ক্লিক করুন।


Network Setup Wizard উইন্ডোটি ওপেন হবে।


Network Setup Wizard এ Next বাটন প্রেস করুন। নিচের উইন্ডোটি আসবে।


এখানে Select a connection method অংশে আপনি কি ধরনের Connection Setup করতে চান তা সিলেক্ট করে দিতে হবে। যেমন : আপনার এই কম্পিউটারটি যদি সার্ভার (Server) করতে চান তবে প্রথম অপশনটি (This Computer connects directly to the internet…..) সিলেক্ট করুন, আর ক্লায়েন্ট (Client) করতে চাইলে দ্বিতীয় অপশনটি (This computer connects to the internet through a residential gateway…..) সিলেক্ট করুন। এরপর Next দিন। নিচের উইন্ডোটি আসবে :


এটি শুধু সার্ভার সেটাপের সময় আসবে ক্লায়েন্ট সেটাপে আসবে না। সার্ভার হিসেবে আমরা যে কম্পিউটারটি নিয়েছি তার ইন্টারনেট কানেকশনটি এখানে দেখিয়ে দিতে হবে। যেমন : আমি Nokia EDGE Modem দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করি বলে Nokia Bluetooth Modem সিলেক্ট করেছি। আবার Next ক্লিক করুন, নিচের উইন্ডো আসবে :


এখানে আপনি আপনার কম্পিউটারের জন্য একটি নাম দিয়ে দিতে পারেন। কম্পিউটারের নাম দিয়ে Next দিন।


এখানে Workgroup Name অংশে Workgroup এর জন্য একটি নাম দিন, প্রতিটি কম্পিউটারের জন্য আলাদা আলাদা নাম দেয়া ভালো। তাতে করে পরে My Network Places এ গিয়ে ঔ কম্পিউটারটি খুজে বের করতে সুবিধে হবে। Next ক্লিক করুন।


এখানে আপনার কাছে জানতে চাইবে আপনি নেটওয়ার্কের অন্য কম্পিউটারগুলোর সাথে ফাইল এবং প্রিন্টার শেয়ার করতে চান কিনা। যদি চান তবে Turn On File & Printer Sharing সিলেক্ট করুন অথবা Turn off করে রাখুন। এরপর Next দিতে থাকুন এবং শেষে Finish দিয়ে বের হয়ে আসুন।

ব্যাস্..... এ পর্যন্ত এসে Workgroup তৈরী এবং ইন্টারনেট শেয়ারিং শেষ।

এখানে একটি বিষয় মনে রাখবেন, অনেক সময় Windows Firewall অন থাকলে আপনাকে নেটওয়ার্কের ফাইল শেয়ারিং করতে দেবে না। উইন্ডোজের এই ফায়ারওয়াল জঘন্য, এটি চোখ বন্ধ করে নেটওয়ার্কের সব শেয়ারিং বন্ধ করে দেয়। ফায়ারওয়াল ব্যবহার করতে চাইলে আলাদাভাবে ফায়ারওয়াল সফটওয়্যার ব্যবহার করুন।

এখন নেটওয়ার্কে যদি Printer যুক্ত থাকে এবং সেই প্রিন্টারটি যদি নেটওয়ার্কে যুক্ত সব কম্পিউটার ব্যবহার করতে চায় তাহলে সেই প্রিন্টারটিকে শেয়ার করে দিতে হবে। বাজারে এখন আধুনিক IP Address যুক্ত প্রিন্টার পাওয়া যায়। এই প্রিন্টারগুলোকে IP Address দিয়ে দিলেই নেটওয়ার্কের সব কম্পিউটার প্রিন্টারটিকে প্রিন্ট কমান্ড দিতে পারে। শেয়ারিং করার দরকার হয় না।
তবে সাধারন লেজার, বাবল জেট বা ডটমেট্রিক্স প্রিন্টারগুলোতে IP Address সেট করা যায় না তাই এগুলোকে শেয়ারিং করতে হয় সরাসরি যুক্ত কম্পিউটারটির সাহায্যে। যেমন : আপনার লেজার কম্পিউটারটি যে কম্পিউটারটির সাথে সরাসরি যুক্ত সেই কম্পিউটারটির Control Panel > Printers & Faxes এ গিয়ে আপনি যে প্রিন্টারটি শেয়ার করবেন সেই প্রিন্টারটি সিলেক্ট করুন।


এবার সাইড ম্যানু থেকে থেকে Share this printer ক্লিক করুন। নিচের উইন্ডোটি আসবে :


এখানে Share Name এ প্রিন্টারটির নাম দিন। Apply দিয়ে বের হয়ে আসুন। এতেই প্রিন্টারটি নেটওয়ার্কের সব কম্পিউটারের জন্য শেয়ার হয়ে যাবে। এখন অন্যান্য কম্পিউটারগুলোতে Control Panel > Printers & Faxes এ গিয়ে Add a Printer এ ক্লিক করুন। Next দিয়ে নিচের উইন্ডোটি পাবেন :


এখান থেকে A network printer, or a printer attached to another computer সিলেক্ট করে Next দিন। নিচের উইন্ডোটি আসবে :


এখানে Browse for a printer সিলেক্ট করে Next দিন এবং ব্রাউজ করে আপনার নেটওয়ার্কে যুক্ত প্রিন্টারটি দেখিয়ে দিন। ব্যাস... এতেই আপনি ওই প্রিন্টারটি ব্যবহার করতে পারবেন।

ফাইল শেয়ারিং করার জন্য যেকোন ফোল্ডার, ড্রাইভার বা সিডি/ডিভিডি রম (যেটি আপনি শেয়ার করতে চান) সিলেক্ট করে Mouse Right Button ক্লিক করে Properties এ যান। নিচের উইন্ডোটি আসবে :


এখানে Share this folder on the network এ টিক দিন এবং ফোল্ডারটির নাম দিন। এতে এই ফোল্ডারটি নেটওয়ার্কের সব কম্পিউটারের জন্য Read Only হিসেবে দেখাবে অর্থাৎ নেটওয়ার্কের সবাই ফোল্ডারটি দেখতে পারবে, Copy করতে পারবে কিন্তু Delete, Cut বা Edit করতে পারবে না। যদি আপনি অন্য কম্পিউটারগুলোকেও ফোল্ডারটি Delete, Cut, Edit করার পারমিশন দিতে চান তাহলে Allow Network users to change my files এ টিক দিয়ে দিন। ব্যাস... ফাইল/ফোল্ডার শেয়ারিং শেষ।

এবার দেখাবো কিভাবে শেয়ারিং ফোল্ডার নেটওয়ার্কের অন্য কম্পিউটার থেকে খুজে বের করবেন। Start Menu থেকে My Network Places এ ক্লিক করুন।


এরপর সাইড ম্যানু থেকে View Workgroup Computers এ ক্লিক করুন। Up দিয়ে Microsoft Windows Network এ যান। সেখানে আপনার নেটওয়ার্কে যুক্ত সব কম্পিউটারগুলোর ওয়ার্কগ্রুপ দেখাবে, ওয়ার্কগ্রুপগুলোর নাম হবে আপনি ওয়ার্কগ্রুপ সেটআপের সময় যে নাম দিয়েছেন সেই নামটি। এবার যেকোন ওয়ার্কগ্রুপে ঢুকলে ওই কম্পিউটারের সব শেয়ারিং ফাইল/ফোল্ডার দেখতে পাবেন।


সূত্র

আসুন সহজে পিসি-টু-পিসি LAN করি (পর্ব – ২)

প্রথম পর্বে আমি বিস্তারিত আলোচনা করেছিলাম কিভাবে ল্যান নেটওয়ার্কিং এর জন্য ক্যাবল এবং স্টার টপোলজি প্রস্তুত করতে হয় অর্থাৎ আমরা হার্ডওয়্যার অংশ প্রস্তুত করা শিখেছি, এবার ইন্সটলেশনের পালা। UTP ক্যাবলগুলো পিসিগুলোতে কানেক্ট করে কম্পিউটারগুলো চালু করুন। এখন ইন্সটলেশনের প্রথম ধাপে প্রতিটি কম্পিউটারের জন্য একটি করে IP Address দিতে হবে। আমরা সাধারনত IP Address হিসেবে IPv4 ব্যবহার করি এটি ৩২ বিটের একটি বাইনারি (Binary) নম্বর। প্রতিটি ওয়ার্কগ্রুপের (Workgroup) সকল কম্পিউটারের জন্য আলাদা আলাদ IP Address দিতে হবে। একই এড্রেসের দুটি কম্পিউটার একই নেটওয়ার্কে কখনও থাকতে পারবে না।

আসুন এবার IP Address নিয়ে কিছুটা আলোচনা করি। ৩২ বিটের IP Address এর উদাহরন নিচে দিলাম :

11000000.10101000.00000000.00000001 (বাইনারি ফরমেট)

তবে আমাদের সহজে বোঝা এবং লেখার সুবিধার জন্য IP Address কে বাইনারি ফরমেটে না লিখে ডেসিমেল ফরমেটে লিখা হয়। যা নিম্নরুপ :

192.168.0.1 (ডেসিমেল ফরমেট)

উপরে এই পুরোটা নিয়ে একটি এড্রেস। এখানে যে ডট (.) দিয়ে আলাদা করা ৪ টি সংখ্যা দেখছেন, প্রতিটি সংখ্যা ৮ বিটের বাইনারি সংখ্যাকে প্রকাশ করছে। IP address এর সর্বত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে একে ৫টি ক্লাসে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে :

CLASS A শুরু 0.0.0.0 থেকে 127.0.0.0 পর্যন্ত এবং সাবনেট মাস্ক 255.0.0.0
CLASS B শুরু 128.0.0.0 থেকে 191.0.0.0 পর্যন্ত এবং সাবনেট মাস্ক 255.255.0.0
CLASS C শুরু 192.0.0.0 থেকে 223.0.0.0 পর্যন্ত এবং সাবনেট মাস্ক 255.255.255.0
CLASS D শুরু 224.0.0.0 থেকে 239.0.0.0 পর্যন্ত [মাল্টিকাস্টের জন্য সংরক্ষিত]
CLASS E শুরু 240.0.0.0 থেকে 255.0.0.0 পর্যন্ত [রিসার্চের জন্য সংরক্ষিত]

এখানে 127.0.0.0 কে লুপ ব্যাক এড্রেস বলা হয়, অর্থাৎ এটি কম্পিউটারকে নিজের নেটওয়ার্কই নির্দেশ করে যা টেস্টিং এর জন্য ব্যাবহৃত হয়।

এর মধ্যে প্রাইভেট IP Address গুলো হচ্ছে :
CLASS A শুরু 10.0.0.0 থেকে 10.255.255.255 পর্যন্ত
CLASS B শুরু 172.16.0.0 থেকে 172.31.255.255 পর্যন্ত
CLASS C শুরু 192.168.0.0 থেকে 192.168.255.255 পর্যন্ত

এই এড্রেসগুলো শুধুমাত্র অভ্যন্তরীন নেটওয়ার্ক তৈরীর জন্য রাখা হয়েছে। তাই এইসব প্রাইভেট IP Address গুলো দিয়ে আমরা আমাদের নিজেদের মধ্যে অভ্যন্তরীন নেটওয়ার্ক তৈরী করতে পারব কিন্তু এই Address গুলো দিয়ে সরাসরি ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হওয়া যাবে না।

খুব বেশী কি জটিল মনে হচ্ছে? তাহলে একটু সহজ করে দেই.... প্রথমে Control Panel > Network Connections > Local Area Connection (ল্যান কার্ড ইন্সটল থাকতে হবে) এ ক্লিক করুন। নিচের উইন্ডোটি আসবে।


এখান থেকে Internet Protocol (TCP/IP) সিলেক্ট করে Properties বাটন ক্লিক করুন। সেখানে নিচের উইন্ডোটি পাবেন:


এবার IP Address এবং Subnet Mask বসান। আপনি যদি নিজেদের মধ্যে নেটওয়ার্কিং করতে চান সেক্ষেত্রে প্রাইভেট IP Address ব্যবহার করা উচিত। তাই প্রথম কম্পিউটারটির IP Address দিন 192.168.0.1, তারপরেরটি 192.168.0.2,...... এভাবে 192.168.0.254 পর্যন্ত ক্রমানুসারে প্রতিটি কম্পিউটারে IP Address বসাতে থাকুন। এক্ষেত্রে সাবনেট মাস্ক (Subnet Mask) সব কম্পিউটারে হবে একই 255.255.255.0 । ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত না হতে চাইলে IP Address এবং Subnet Mask বসানোই যথেষ্ট।

তবে আপনার নেটওয়ার্কটিকে যদি ইন্টারনেটের সথে যুক্ত করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অতিরিক্ত Gateway Address এবং DNS Server Address বসাতে হবে। যে কম্পিউটারটি সরাসরি ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত, সেই কম্পিউটারটির জন্য ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডারদের দেয়া Gateway Address এবং DNS Server Address বসাতে হবে (যদি GPRS Modem ব্যবহার করেন তবে Gateway Address বা DNS Server Address বসাতে হবে না)। ইন্টারনেট যুক্ত এই কম্পিউটারটিকে সার্ভার হিসেবে ব্যবহার করে অন্য কম্পিউটারগুলো ইন্টারনেট ব্যবহার করবে তাই অন্য কম্পিউটারগুলোর (Client) জন্য Gateway Address এবং DNS Server Address হবে সার্ভার কম্পিউটারের IP Address। বোঝাতে পারলাম কি??

এখানে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, ইন্টারনেট যুক্ত নেটওয়ার্কে যে কম্পিউটারটি সরাসরি ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত সেই কম্পিউটারটিকে Server হিসেবে ব্যবহার করব এবং বাকি সকল কম্পিউটারকে Client হিসেবে ব্যবহার করব। সকল কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য সার্ভার কম্পিউটারটি সব সময় চালু রাখতে হবে। সার্ভার কম্পিউটারটি বন্ধ করলে নেটওয়ার্কের অন্যান্য কম্পিউটার ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে না, তবে নিজেদের মধ্যে নেটওয়ার্কিং/ফাইল শেয়ারিং চালু থাকবে। যদি ইন্টারনেট সংযোগ না থাকে তবে নেটওয়ার্কে সার্ভারের কোন প্রয়োজন নেই, তখন সব পিসিই হবে ক্লায়েন্ট

সূত্র

আসুন সহজে পিসি-টু-পিসি LAN করি (পর্ব – ১)



LAN বলতে Local Area Network বোঝানো হয়। এই LAN দুটি পিসি থেকে শুরু করে ছোট পরিসরে অসংখ্য পিসির মধ্যে হতে পারে। শুধু পিসিই নয় LAN এ যুক্ত হতে পারে প্রিন্টার, আইপি ফোন, সার্ভারসহ IP সাপোর্ট করে এমন যেকোন ডিভাইস। আপনি এই LAN কে চাইলে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত করতে পারেন অথবা শুধুমাত্র নিজেদের মধ্যে ফাইল বা কন্টেন্ট শেয়ারিং এর মধ্যেও সীমাবদ্ধ রাখতে পারেন। এখন অনেকেই মাল্টিপ্লেয়ার গেমসের সাথে পরিচিত, ল্যান করে মাল্টিপ্লেয়ার গেমস খেলার মজাই আলাদা।

আসুন এবারে দেখা যাক LAN তৈরী করার জন্য আপনার কি কি জিনিষ লাগবে :
১। UTP LAN Cable (CAT6 হলে ভালো, না হলে CAT5 হলেও চলবে)।



২। RJ45 Connector (Micronet এরটা বেশ ভালো)।



৩। ক্রিমপার (Crimper)।



৪। মাদারবোর্ডের বিল্ট-ইন LAN পোর্ট অথবা LAN Card।



৫। হাব (HUB) অথবা সুইচ (Switch) [যদি দুই এর অধিক পিসির মধ্যে LAN করতে চান]।

প্রথমে ধরে নিচ্ছি আপনি দুটি পিসির ভেতরে ল্যান করবেন। সেক্ষেত্রে আপনি প্রথমে আপনার দুটি পিসির মধ্যে দূরত্ব অনুযায়ী UTP Cable কেটে নিন। UTP Cable এর সবোচ্চ দূরত্ব ১০০ মিটার। এর বেশী দূরত্ব হলে মাঝে ১০০ মিটার পরপর হাব অথবা সুইচ ব্যবহার করতে হবে। Cable এর মাপ নেয়া হয়ে গেলে ক্যাবল কাটার জন্য Crimper ব্যবহার করুন। Cable কাটার পরে কভারটি সরালেই ভেতরে আরও ৪ জোড়া চিকন ক্যাবল দেখতে পাবেন। এদের রং হচ্ছে কমলা, নীল, সবুজ, খয়েরী। এটি যদি CAT6 ক্যাবল হয় তবে এর ভেতরে বাড়তি একটি প্লাস্টিকের দন্ড থাকে।

এবার ক্যাবলের দুই প্রান্তে কানেক্টর লাগানোর পালা, 8B RJ45 Connector দুভাবে সাজিয়ে লাগানো যায়। একটি হচ্ছে T568A এবং অন্যটি T568B। নিচের চিত্রটি লক্ষ করুন।



চিত্রে ১ নং পিন থেকে ৮ নং পিন পর্যন্ত ক্যাবল সাজানোর কৌশল দেয়া আছে। আপনি যদি একই ধরনের ডিভাইস (যেমন : পিসি টু পিসি অর্থাৎ দুটি কম্পিউটারের মধ্যে) LAN করেন, তাহলে আপনাকে Crossover Cable করে ডিভাইস দুটি কানেক্ট করতে হবে। অর্থাৎ ক্যাবলের একপ্রান্তে কানেক্টরের বিন্যাস হবে T568A এর মত এবং অন্যপ্রান্তের কানেক্টরটির বিন্যাস হবে T568B এর মত। নিচের চিত্রে Crossover Cable তৈরী করার একটি উদাহরন দেয়া হলো।



কিন্তু আপনি যদি ভিন্ন ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করেন (যেমন: পিসি টু সুইচ) সেক্ষেত্রে Straight Through Cable দিয়ে ডিভাইসগুলোকে কানেক্ট করতে হবে। অর্থাৎ তখন ক্যাবলের দুই প্রান্তের কানেক্টরেরই বিন্যাস হবে T568A অথবা T568B যেকোন এক ধরনের। নিচের চিত্রের Straight Through Cable এর উদাহরনটি লক্ষ্য করুন।



কখন Straight Though আর কখন Crossover ব্যবহার করবেন এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমি নিচে একটি তালিকা দিচ্ছি :

straight-through cables ব্যবহার করুন :
১। Switch to router
২। Computer to switch
৩। Computer to hub

Crossover cables ব্যবহার করুন :
১। Switch to switch
২। Switch to hub
৩। Hub to hub
৪। Router to router
৫। Computer to computer
৬। Computer to router

৮টি চিকন ক্যাবল চিত্রের মত করে সাজানো হয়ে গেলে ক্যাবলগুলোর মাথা Crimper এর সাহায্যে কেটে সমান করে নিন। এবার ধীরে যত্নসহকারে ক্যাবলগুলোকে একই সাথে কানেক্টরে ঢোকান, খেয়াল রাখবেন কানেক্টরের ভেতরে একটি ক্যাবল যেন অন্য আর একটির ওপর ওভারল্যাপ না করে। ঢোকানো হয়ে গেলে কানেক্টরের ওপর দিক থেকে তাকিয়ে দেখুন সবগুলো তার জায়গামত বসেছে কিনা এবং শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পৌছেছে কিনা। যদি সবকিছু ঠিক থাকে তবে কানেক্টরটিকে Crimper এর 8B Connector ছিদ্রে বসিয়ে লিভারে চাপ দিন। কট্ করে একটি শব্দ শোনার আগ পর্যন্ত চাপ দিতে থাকুন। ব্যাস, আপনার ক্যবলে কানেক্টর লাগানো শেষ।

এখন আপনি যদি দুইয়ের অধিক কম্পিউটার ল্যানে যুক্ত করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে হাব অথবা সুইচ ব্যবহার করতে হবে। হাব এবং সুইচ দুটিই প্রায় একই কাজ করে যদিও সুইচ হাব অপেক্ষা দ্রুত এবং নিরাপদ। কিন্তু হাবের দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় এবং ছোট নেটওয়ার্কে হাব এবং সুইচের পারফরমেন্স প্রায় একই হওয়ায় অনেকেই এখনও হাব ব্যবহার করেন। বাজারে ৮ পোর্টের DLink সুইচের দাম পড়বে ১২০০/= টাকার মত। এটি সাধারন মানের Switch, এর চাইতে ভালো পারফরমেন্স চাইলে Manageable Switch ব্যবহার করতে হবে যার দাম ১৫,০০০/= টাকা যা ব্যাবসাপ্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়। ৮ পোর্টের সুইচ দিয়ে আপনি ৮ টি পিসিকে কানেক্ট করে নেটওয়ার্ক তৈরী করতে পারবেন। এর চাইতেও বেশী কম্পিউটার নেটওয়ার্কে কানেক্ট করার প্রয়োজন হলে অধিক পোর্টের সুইচ অথবা একাধিক সুইচ ব্যবহার করতে পারবেন। সুইচ ব্যবহার করে স্টার টপোলজি নেটওয়ার্কের চিত্র নিচে দেয়া হলো।



উপরের চিত্রটি লক্ষ্য করুন, এখানে মাঝখানে যে ডিভাইসটি ব্যবহার করা হয়েছে সেটি হচ্ছে Switch আর তার চারপাশে পিসি এবং অন্যান্য IP Device গুলো রয়েছে। স্টার টপোলজিতে কম্পিউটার বা অন্যান্য ডিভাইসগুলো সুইচ বা হাবকে কেন্দ্রে রেখে পুরো নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে। নেটওয়ার্কের একটি পিসি থেকে অন্য পিসিতে ডাটা পাঠাতে গেলে ডাটাটি প্রথমে সুইচে যাবে তারপর সুইচ বলে দেবে কোন পোর্ট দিয়ে গেলে গন্তব্যের (Destination) পিসিতে পৌছানো যাবে, তখন ডাটাটি সেই পোর্ট দিয়ে গন্তব্যের (Destination) কম্পিউটারে পৌছে যাবে। অর্থাৎ স্টার টপোলজিতে সুইচ বা হাব সবসময় ভায়া হিসেবে কাজ করছে। সুতরাং যদি আপনি সুইচ বা হাবটি বন্ধ করে রাখেন, তাহলে আপনার পুরো নেটওয়ার্কই বন্ধ হয়ে থাকবে। কারন সুইচ দিয়েই পিসিগুলো কমিউনিকেট করছে।এখানে মনে রাখবেন, পিসি থেকে সুইচ পর্যন্ত Straight-through Cable ব্যবহার করতে হবে। কারন সুইচ এবং পিসি ভিন্ন ধরনের ডিভাইস। সাধারন সুইচে কোন ধরনের কনফিগারেশনের প্রয়োজন হয় না।

সূত্র

নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্টের টুল

সব নেটওয়ার্ক ম্যানেজারকে একসেট কৌশলী টুল রাখতে হয়, যা প্রতিদিনের কাজগুলো যেমন নেটওয়ার্ক মনিটরিং ও ম্যানেজমেন্ট, হার্ডওয়্যার ট্রাবলশূটিং ও ইনভেন্টরি ইত্যাদি পারফর্ম করতে পারে৷ এবার নেটওয়ার্ক বিভাগে এ ধরনের প্রয়োজনীয় কিছু টুল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে৷

কিছু কিছু বিষয় রয়েছে, যেগুলো নেটওয়ার্ক ম্যানেজিংয়ের ক্ষেত্রে অবহেলা করা উচিত নয়৷ যেমন- সিকিউরিটি, সফটওয়্যার বা হার্ডওয়্যার ফেইল্যুর এবং ইনভেন্টরির পরিবর্তন৷ উপরোল্লিখিত বিষয়গুলো যথাযথভাবে ম্যানেজ করার জন্য দরকার একসেট টুল৷ ভালো মানের কার্যকর একসেট টুল দিয়ে নেটওয়ার্ক ম্যানেজার তার নেটওয়ার্ক সিস্টেমকে অত্যন্ত কার্যকর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারেন৷ এসব টুল নেটওয়ার্ক ম্যানেজারকে বিভিন্ন ঝামেলা থেকে রক্ষা করতে পারবে৷ এই টুলগুলো যথাযথভাবে ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক ম্যানেজার তাদের সিস্টেমের ব্যাপারে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন৷

নেটওয়ার্ক মনিটরিং

অজানা কারণে হার্ডওয়্যার/সফটওয়্যার ফেইল্যুরের মুখোমুখি হবেন না, এমনটি নিশ্চিত হতে পারবেন নিয়মিতভাবে সেগুলো মনিটর করে এবং এর কার্যকারিতা স্থবির হবার আগে ত্রুটিপূর্ণ মেশিনারিগুলোকে সংশোধন বা প্রতিস্থাপন করার মাধ্যমে৷ এছাড়া আপনার নেটওয়ার্কের ব্যবহারকারী ও তাদের কার্যকলাপও ট্র্যাক করতে হবে৷ নিচে বর্ণিত টুল দুটি আপনাকে একাজে সহায়তা করতে পারবে৷

এনটপ :

ইন্টারনেট গেটওয়ের মাধ্যমে যে ডাটা প্রবাহ হয়, সেগুলো এই টুল ক্যাপচার করে এবং তা উপস্থাপন করে খুবই সমন্বিত গ্রাফ ও চার্টে৷ এনটপ টুল দিয়ে মনিটর করতে পারবেন সর্বমোট ব্যবহার হওয়া ব্যান্ডউইডথ, প্রোটকল লেভেল এবং ইউজার লেভেলে ব্যবহার হওয়া ব্যান্ডউইডথ৷ এনটপ ব্যবহার করা যেতে পারে উইন্ডোজ বা লিনআক্সে৷ তবে মনে রাখতে হবে, সবচেয়ে ভালো ফলাফল পেতে হলে গেটওয়েতে এনটপ ইনস্টল করতে হবে৷ গেটওয়ে যেই অপারেটিং সিস্টেমেই রান করুক না কেন এনটপ ভার্সন যেনো হয়, তা খেয়াল রাখতে হবে৷


চিত্র-১ : এনটপ নেটওয়ার্ক সিস্টেমের ডিটেইল ভিউ

এনটপের ইনস্টলেশন প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ৷ উইন্ডোজ ভার্সনে ইনস্টলার রান করে কয়েকবার নেক্সট-এ ক্লিক করলেই হবে৷ সিস্টেম ইনস্টল হবার পরপরই ক্লক সিস্টেম বার-এর পাশে NTop xtra -এর আইকন দেখা যাবে৷ এই আইকনে ডবল ক্লিক করলে একটি উইন্ডো খুলবে৷

এবার Start NTop Service -এ ক্লিক করে এনটপ অপশন রান করুন৷ এর ফলে http://localhost:3000 অ্যাড্রেসসহ একটি আইই উইন্ডো ওপেন হবে৷ এটি হচ্ছে সেই লোকেশন যেখান থেকে ভবিষ্যতে এনটপ পেজে এক্সেস করা যাবে৷ এ সিস্টেমটি অত্যন্ত স্বব্যাখ্যামূলক এবং কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে৷ এটি ফ্রি ডাউনলোড করা যাবে http://openextra.co.uk সাইট থেকে৷

ওপেনএনএমএস :

ওপেনএনএমএস হচ্ছে একটি ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, যা যেকোনো অপারেটিং সিস্টেমে রান করে৷ এটি জাভা ও টমক্যাট সাপোর্ট করে৷ এই সফটওয়্যারটি এসএনএমপি (SNMP) সার্ভিস জরিপ, ডাটা সংগ্রহ, বিজ্ঞপ্তি প্রদান এবং ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট করতে পারে৷


চিত্র-২ : ওপেনএনএমএস প্রদর্শিত সার্ভিসের স্ট্যাটাস

এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ সার্ভার এবং স্বতন্ত্র সার্ভিসকে মনিটর করতে পারবেন যেগুলো এইচটিটিপি, এফটিপি, মাইএসকিউএলে রান করে৷

ওপেনএনএমএসের ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া কিছুটা বিরক্তিকর এবং আপনাকে কয়েকটি কম্পোনেন্ট যেমন জাভা ও টমক্যাট কনফিগার করতে হবে কাজ করার জন্য৷ এটি ফ্রি ডাউনলোড করা যাবে http://openNMS.org সাইট থেকে৷

হার্ডওয়্যার ইনভেন্টরি

নেটওয়ার্ক মনিটরিং ছাড়া নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট টুলের পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনার মালিকানাধীন সম্পদকে মনিটর করা৷ যেকোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য হার্ডওয়্যার/সফটওয়্যার এবং তাদের পরিবর্তনকে ট্র্যাক করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ এর ফলে গুরুত্বপূর্ণ ডাটা অনাকাঙিক্ষত ব্যক্তিদের হাত থেকে রক্ষা পাবে, শুধু তাই নয় রিসোর্সের অপব্যবহারকেও দমন করা যাবে৷ এটি ত্রুটিপূর্ণ ইক্যুইপমেন্টকে ট্র্যাক করে এবং ক্ষেত্রবিশেষ সতর্কও করে ফেইল্যুরের আগে৷

নিচে বর্ণিত টুলগুলো দিয়ে এ কাজগুলো সহজেই করা যায় :

সিসএইড :

এটি একটি পরিপূর্ণ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট এবং আইটি হেল্প ডেস্ক ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার৷ এই সফটওয়্যার ও সহযোগী এজেন্ট দিয়ে আপনার নেটওয়ার্কের সব রানিং মেশিনের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার কম্পোনেন্টকে ট্র্যাক করা যাবে৷


চিত্র-৩ : সিসএইড দিয়ে এরর সাবমিট করা

এই অ্যাপ্লিকেশনের বাড়তি সুবিধা হলো এটিকে হেল্প ডেস্ক সিস্টেম হিসেবে ব্যবহার করা যায়৷ সিসএইড সফটওয়্যারের ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া খুব সহজ এবং ব্যবহারকারীরা তাদের অভিযোগ সরাসরি একই এজেন্টে উইজার্ড ম্যানেজারে জানাতে পারেন৷ সিসএইড সার্ভারের ইনস্টলেশন প্রক্রিয়াটি খুব সহজ৷ এজন্য ইনস্টলার স্টার্ট করে উইজার্ড অনুসরণ করুন৷ এখানে আপনাকে একমাত্র ভ্যালু উইজার্ডে দিতে হবে৷ আর তা হচ্ছে মেইল সার্ভার এবং অ্যাড্রেস ও পোর্টে রিপ্লাই করতে হবে, যা সিসএইড পোর্টালে এক্সেসযোগ্য হবে৷

এজেন্ট ইনস্টলেশন প্রক্রিয়াও সহজ৷ এজন্য সার্ভার মেশিনে ম্যানুয়ালভাবে এজেন্ট সেটআপ ফাইল ইনস্টল করতে হবে৷ এখানে আপনার কাছে কেবল সার্ভারের আইপি অ্যাড্রেস এবং এজেন্ট ইনস্টলেশন ফাইলের সিরিয়াল নম্বর জানতে চাইবে৷ যদি আপনি ফ্রি ভার্সন সফটওয়্যার ব্যবহার করেন, তাহলে সিরিয়াল নম্বরও ফ্রি পাবেন৷ তবে এই সেটআপ শুধু ১০০ ব্যবহারকারীর জন্য প্রযোজ্য হবে বা তিন অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের জন্য প্রযোজ্য৷ এটি ফ্রি ডাউনলোড করা যাবে http://ilient.com সাইট থেকে৷

আলকেমি আই :

এই অ্যাপ্লিকেশনটি সার্ভার ও হার্ডওয়্যার কম্পোনেন্টের পর্যাপ্ততার প্রতি লক্ষ রাখে৷ যদি কোনো কারণে ফেইল্যুর হয় বা হার্ডওয়্যার কম্পোনেন্টের পরিবর্তন করা হয়, তখন এটি তাত্ক্ষণিকভাবে ই-মেইলের মাধ্যমে অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের কাছে সতর্ক বার্তা পাঠিয়ে বা এসএমএস করে৷

উইজার্ড অনুসরণ করে খুব সহজেই আলকেমি আই ইনস্টল করা যায়৷ ইনস্টলেশনের পর অ্যাপ্লিকেশন রান করুন৷ এজন্য ফাইল মেনুতে গিয়ে Scan Network অপশনে ক্লিক করুন৷ স্ক্যান নেটওয়ার্ক উইজার্ড আবির্ভূত হবার পর যে মেশিন শনাক্ত করতে চান তার আইপি রেঞ্জ দিন৷

আইপি রেঞ্জ দেয়ার পর সার্ভিস সিলেক্ট করুন, যার জন্য স্ক্যান করতে চান৷ Start বাটনে ক্লিক করে সার্চ প্রসেস শুরু করুন৷ নেটওয়ার্কে কয়টি মেশিন রয়েছে, তার ওপর ভিত্তি করে কিছু সময় লাগবে এর জন্য৷ স্ক্যান সম্পন্ন হবার পর নেটওয়ার্কের সব সচল মেশিনের লিস্ট প্রদর্শিত হবে৷ ওএসসহ রানিং সার্ভিসের লিস্টও প্রদর্শন করবে৷ এরপর কাঙিক্ষত সার্ভিসের জন্য মেশিনে নজরদারিও সেট করতে পারেন৷ ICMP-ping বাইডিফল্ট সব মেশিনের জন্য এনাবল থাকে৷ এ কাজটি সম্পন্ন করার পর ওকে করলে মেইন উইন্ডো আবির্ভূত হবে৷ এর ফলে মেইন উইন্ডো থেকে মেশিনের স্ট্যাটাস দেখতে পারবেন এবং লক্ষ রাখতে পারবেন সার্ভিসের প্রতি৷ ওয়েবসাইট : http:/ www.alchemy-lab.com/products/eye ৷

নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট

মনিটরিং গুরুত্বপূর্ণ, তবে তথ্য মনিটরিংয়ের পর কি করবেন বা যদি কোনো এরর থাকে তাহলে কী কী উচিত, এ বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ৷ সুতরাং পরবর্তী ধাপটি হচ্ছে এসব তথ্যকে ভালোভাবে ম্যানেজ করা এবং ত্রুটিপূর্ণ ডিভাইসকে ম্যানেজ করা৷

নিচে বর্ণিত সফটওয়্যারটি এব্যাপারে সহায়তা করতে পারে :

ল্যান সার্ভেয়র :

এটি আপনার নেটওয়ার্ক ম্যাপিংয়ের জন্য একটি চমত্কার ফিচারসমৃদ্ধ অ্যাপ্লিকেশন৷ এর ৩০ দিনের ট্রায়াল ভার্সন ফ্রি পাওয়া যাবে http://neon.com সাইট থেকে৷


চিত্র-৪ : ল্যান সার্ভেয়রে তৈরি করা নেটওয়ার্ক ম্যাপ

এর ইনস্টলেশন প্রক্রিয়াটি খুব সহজ৷ উইজার্ড অনুসরণ করে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ইনস্টল করতে পারবেন৷ ইনস্টলেশনের পর এটি একটি উইজার্ড স্টার্ট করবে৷

এখানে আপনাকে নেটওয়ার্ক সাবনেটের বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে৷ উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আপনি ক্লাস C নেটওয়ার্ক 192.168.0.X ব্যবহার করছেন৷ সুতরাং আপনি 192.168.0.1 থেকে 192.168.0.254-এর মধ্যে সব মেশিনে সার্চ করতে চাইতে পারেন৷ সিস্টেমে এই ভ্যালু প্রদান করুন এবং LANSurveyor -এ আপনার কাঙিক্ষত নম্বরটি উল্লেখ করুন যেটি আপনি সার্চ করতে চাচ্ছেন৷
এই পেজের নিচে উল্লেখ করতে পারেন, আপনার নেটওয়ার্কের কোন ধরনের নোড খুঁজে পেতে চান৷ যেমন ICPM রেসপন নোড, নেটবায়োস ক্লায়েন্ট, SIP ক্লায়েন্ট ইত্যাদি৷

এরপর Ok -তে ক্লিক করলে সার্চ প্রসেস শুরু হবে৷ নেটওয়ার্কের সাইজের ওপর নির্ভর করে এবং সাবনেট ক্লাসের ওপর ভিত্তি করে সার্চ কার্যক্রম শুরু হবে, যা কয়েক মিনিট থেকে শুরু করে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সম্পন্ন হবে৷ সার্চ সম্পন্ন হলে এটি লিঙ্ক কানেকশনসহ আপনার নেটওয়ার্কের ম্যাপসহ উপস্থিত হবে৷ এই ম্যাপে সিলেক্ট করতে পারবেন এবং যেকোনো মেশিনের ত্রুটির জন্য বা লিঙ্ক রেসপন্সের জন্য সতর্কতা সৃষ্টি করতে পারবেন৷ এমনকি নিয়ন এজেন্টকে তাদের ওয়েবসাইট থেকে কিনতে বা ডাউনলোড করতে পারবেন৷

তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ

ড্রাইভার ট্রাবলশূটিং

যখন উইন্ডোজ রি-ইনস্টল করা হয়, তখন কখনো কখনো দেখা যায় যে, কোনো কোনো কম্পোনেন্টের ড্রাইভার ডিস্ক ড্যামেজ হয়েছে বা ভুল জায়গায় অবস্থান নিয়েছে, যা রীতিমতো এক বিরক্তিকর অবস্থায় ফেলে দেয়৷ এমন অবস্থায় সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনার সিস্টেমের ব্যাকআপ ডিভিডি বা সিডি হাতের নাগালে থাকে৷ সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন এসে যায় সিস্টেম রি-ইনস্টলের ব্যাপারটি৷ এক্ষেত্রে হাতের কাছেই থাকতে হবে বিভিন্ন ড্রাইভার ডিস্ক৷





ইন্টারনেটে বিভিন্ন ইউটিলিটি রয়েছে যেগুলো হার্ডওয়্যার ডিভাইসের জন্য কমপিউটার স্ক্যান করে৷ এগুলো ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য ড্রাইভে বিদ্যমান ড্রাইভারের ব্যাকআপ তৈরি করতে পারে৷ যখনই উইন্ডোজ রি-ইনস্টল করা হয়, তখনই আপনাকে ডাটা ব্যাকআপ, রুট পার্টিশন, উইন্ডোজ ইনস্টল এবং ড্রাইভারসমূহ রিস্টোর করতে হয়৷ এ ধরনের কাজ কত সহজে কিভাবে করা যায় ব্যবহারকারীদের উদ্দেশে নিচে তা বর্ণিত হলো :

ড্রাইভারম্যাক্স

এই অ্যাপ্লিকেশনটি দ্রুত রিট্রাইভলের জন্য কমপিউটার থেকে ড্রাইভারসমূহ ব্যাকআপ করে এবং সেই সঙ্গে অন্যান্য প্রয়োজনীয় ফিচারও অফার করে৷ ড্রাইভারম্যাক্স-এর ইন্টারফেসটি বেশ সহজ ও সাবলীল৷ বর্ণিত ধাপগুলো অনুসরণ করে ড্রাইভার ব্যাকআপ ও রিস্টোর করা যায়৷

ধাপ-১ :

ড্রাইভারম্যাক্স ইনস্টলেশন ফাইলে ডবল ক্লিক করে ইনস্টল করুন এবং স্ক্রিনের সহজ ইনস্ট্রাকশনগুলো অনুসরণ করুন৷

ধাপ-২ :

মূল স্ক্রিনের প্রথম অপশন Driver operations সিলেক্ট করে Export drivers-এ ক্লিক করুন এবং Wizard-এর ইনস্ট্রাকশন অনুসরণ করে এগিয়ে যান৷ এরপর যে ড্রাইভারগুলো ব্যাকআপ করা দরকার সেগুলো সিলেক্ট করুন (চিত্র-১)৷

ধাপ-৩ :

এই স্ক্রিনে Drivers অপশনে সিস্টেমে ইনস্টল করা ড্রাইভারগুলোর লিস্ট প্রদর্শন করে৷ এখানে প্রতিটি এন্ট্রির ব্যাখ্যা দেয়া থাকে৷ যদি আপনি কোনো বিশেষ ড্রাইভারের বিস্তারিত তথ্য জানতে চান, তাহলে Details-এ ক্লিক করলে দেখতে পাবেন, কোন ড্রাইভার ফাইল এবং ডিভাইস সেগুলো ব্যবহার করছে৷ এখানে সংশ্লিষ্ট বক্স চেক করে ড্রাইভারগুলো ব্যাকআপের জন্য সিলেক্ট করতে হবে৷ ব্যাকআপের জন্য পুরো লিস্ট রান করার পরিবর্তে সরাসরি নির্দিষ্ট কোনো ড্রাইভার বেছে নেয়ার অপশন এতে রয়েছে, যেমন ডিসপ্লে৷ স্ক্রিনের নিচে ডান প্রান্তের ড্রপডাউন মেনু রয়েছে এ কাজের জন্য৷ এবার কাঙ্ক্ষিত অপশন সিলেক্ট করে নেক্সট-এ ক্লিক করুন৷

ধাপ-৪ :

এ স্ক্রিনে পাথ এন্টার করুন যেখানে ড্রাইভার সেভ করতে চান৷ এর নেক্সট-এ ক্লিক করে সিস্টেম পার্টিশন ড্রাইভ ছাড়া যেকোনো ড্রাইভ সিলেক্ট করুন৷ এর ফলে যে ডিভাইসের জন্য ড্রাইভার সিলেক্ট করা হয়েছিল, তা সেভ হবে৷ এবার ক্লোজ বাটনে ক্লিক করুন৷

লক্ষণীয় :
ইচ্ছে করলে সব ড্রাইভার সিলেক্ট করতে পারেন৷ এমনকি সেগুলো যদি থার্ডপার্টি হার্ডওয়্যার ড্রাইভার না হয়৷

ধাপ-৫ :

এভাবেই ড্রাইভারের রিস্টোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায় উইন্ডোজ ইনস্টল করার পর৷ ইনস্টল করা শেষ হলে ১নং ধাপ পুনরাবৃত্তি করুন এবং ড্রাইভারম্যাক্সের মূল স্ক্রিনে Import drivers অপশন সিলেক্ট করে পরবর্তী স্ক্রিনে নেক্সট-এ ক্লিক করুন৷ ব্যাকআপ কোথায় সেভ হবে পরবর্তী স্ক্রিনে তার পাথ জানতে চাইলে সেই পাথ এন্টার করে নেক্সট-এ ক্লিক করুন৷

ড্রাইভার সেই নির্দিষ্ট পাথে স্টোর হয়ে ফলাফল প্রদর্শন করবে৷ এবার রিকভারির জন্য ড্রাইভার সিলেক্ট করে নেক্সট-এ ক্লিক করুন এবং নিশ্চিত হবার জন্য আবার নেক্সট-এ ক্লিক করুন৷ এবার ইনস্টলেশন সম্পন্ন হবার জন্য অপেক্ষা করুন৷ পরবর্তী স্ক্রিনে একটি রিপোর্ট দেবে এবং কমপিউটার রিস্টার্ট করতে বলবে৷ ড্রাইভার ইনস্টল করার পর কমপিউটার অবশ্যই রিবুট করতে হবে৷

উপরোল্লিখিত কার্যাবলী সম্পন্ন হবার পর আপনার কমপিউটার আগের মতো স্বাভাবিকভাবে কাজ করবে৷ ড্রাইভারম্যাক্স আরো কিছু ফিচার অফার করে, যেমন-আপডেটিং ড্রাইভারস, আইডেন্টিফায়িং আননোন ডিভাইসেস ইত্যাদি৷ যাইহোক সেগুলো ব্যবহার করতে চাইলে আপনাকে ড্রইভারম্যাক্সসহ ইউজার অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে৷

ড্রাইভার ম্যাজিশিয়ান

এই প্রোগ্রামও ডিভাইস ড্রাইভার ব্যাকআপ করে এবং রিস্টোর করে ড্রাইভারম্যাক্সের মতো৷ তবে ড্রাইভার ম্যাজিশিয়ানের মূল্যায়ন কপির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা শুধু ডিসপ্লে এবং নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টারকে রিস্টোর করতে পারবেন৷ যেভাবে এ কাজগুলো সম্পন্ন করা যায় তা নিচে ধাপে ধাপে তুলে ধরা হয়েছে (চিত্র-২)৷

ইনস্টলেশন ফাইলে ডবল ক্লিক করে খুব সহজেই কয়েক মিনিটের মধ্যে ইনস্টল করা যায়৷

ধাপ-১ :

মূল অ্যাপ্লিকেশন উইন্ডোতে গিয়ে সব ডিভাইস ড্রাইভারের (অনবোর্ডও পৃথক) ব্যাকআপ তৈরি করুন৷ সাধারণত উইন্ডোজ এসব ডিভাইসের মধ্যে কোনো কোনো ডিভাইস সাপোর্ট করে৷ সুতরাং আপনি শুধু থার্ডপার্টি হার্ডওয়্যার ড্রাইভার অথবা সব ড্রাইভারের ব্যাকআপ তৈরি করার অপশন পাবেন৷

ধাপ-২ :

এই অ্যাপ্লিকেশনের মূল্যায়ন ভার্সন ব্যবহার করলে এর রেসট্রিকটেড ইউটিলিটি সংক্রান্ত একটি মেসেজ আসবে৷ আরো এগিয়ে গেলে আরেকটি মেসেজ পপআপ হবে এবং ড্রাইভার রিস্টোরেশন প্রসেস শুরু হবে৷ এ প্রসেসের সময় মনে হবে কমপিউটার কোনোরকম সাড়া দিচ্ছে না৷ এ অবস্থায় কোনোরকম ইন্টারাপ্ট করা যাবে না৷ Do you wish to continue? মেসেজ আসলে Yes করুন৷

এই অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম স্ক্যান করবে এবং কোনো ড্রাইভ আপডেট করতে হবে, তা জানাবে৷ যদিও মূল্যায়ন ভার্সনে ড্রাইভার আপডেটিং অপশন ডিজাবল৷

টিপ : ইচ্ছে করলে সিস্টেম থেকে ড্রাইভার আনইনস্টল করতে পারবেন ড্রাইভার ম্যাজিশিয়ান ব্যবহার করে৷

ড্রাইভার কনফ্লিক্ট


কখনো কখনো ড্রাইভার ইনস্টল করার পরও ডিভাইস ম্যালফাংশন হতে পারে অথবা মোটেও কাজ নাও করতে পারে৷ এক্ষেত্রে নিচে বর্ণিত টিপ আপনার এ সমস্যার সমাধানে সহায়ক হতে পারে৷ ড্রাইভার ইনস্টল করার পর সিস্টেম রিবুট করা উচিত যাতে করে ড্রাইভার কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে৷ এরপরও যদি ডিভাইস কাজ না করে, তাহলে মাই কমপিউটার-এ রাইট ক্লিক করে Properties>Hardware>Devise Manager-এ যান৷ এক্ষেত্রে হলুদ বর্ণের বিস্ময়কর চিহ্ন ইঙ্গিত দেয় যে, সংশ্লিষ্ট ডিভাইস যথাযথভাবে কাজ করছে না৷ এর কারণ হচ্ছে হয় ড্রাইভার মিশিং, করাপ্ট করেছে অথবা সঙ্গতিপূর্ণ নয়৷

সমাধান :

হলুদ বর্ণে চিহ্নিত একটি ডিভাইসকে আনইনস্টল করুন৷ রিবুট করবেন না৷ ফ্রেশ ড্রাইভার ইনস্টল করে সিস্টেম রিবুট করবেন৷ এতে সমস্যার সমাধান হতে পারে৷ নিশ্চিত হয়ে নিন যে, আপনি সঠিক ড্রাইভার ডাউনলোড করেছেন কি-না৷ কেননা, থার্ডপার্টি ডিভাইসগুলো এবং পেরিফেরালের মধ্যে তারতম্য থাকতে পারে৷ এগুলোর জন্য দরকার সুনির্দিষ্ট ড্রাইভার৷

সুতরাং ড্রাইভার ইনস্টল করার আগে ডিভাইস প্রস্তুতকারকের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে ড্রাইভার সংক্রান্ত সঠিক তথ্য জেনে নিন৷ অন্যথায় ঝামেলায় পড়তে পারেন৷

শেষ কথা

সিস্টেমের সব সমস্যাই যে অপারেটিং সিস্টেম বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম বা হার্ডওয়্যারের কারণ হয়, তা নয়৷ এমন অনেক সমস্যা উদ্ভব হয়, যার জন্য এককভাবে দায়ী বিভিন্ন ডিভাইস ড্রাইভার৷ বিস্ময়কর হলেও সত্য, এ ব্যাপারটি আমরা অনেকেই গুরুত্ব দেই না৷ সুতরাং কমপিউটারের সমস্যা দেখা দিলে ডিভাইস ড্রাইভারের ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হবে৷
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ

গ্রাফিক্স কার্ডের টুকিটাকি



গ্রাফিক্স কার্ড কয়েক নামে পরিচিত, যেমন - ভিডিও কার্ড, ডিসপ্লে কার্ড, গ্রাফিক্স এক্সেলারেটর কার্ড৷ গ্রাফিক্স কার্ডের কাজ কোনো ছবিকে জেনারেট করা এবং তা আউটপুট ইমেজ আকারে মনিটরে প্রদর্শন করা৷ গ্রাফিক্স কার্ড যে শুধু গেমারদের জন্য বেশি প্রয়োজনীয় তা ঠিক নয়৷ গ্রাফিক্স ডিজাইনিংয়ের ক্ষেত্রে, হাই ডেফিনেশন ভিডিও দেখার জন্য এবং ভিডিও কোয়ালিটি ভালো করার জন্যও গ্রাফিক্স কার্ডের ব্যবহার হয়৷ এমনকি গ্রাফিক্স কার্ড উইন্ডোজ ভিসতার কাজ করার দক্ষতা ও সৌন্দর্যবর্ধনে খুবই সহায়ক৷ নতুন গ্রাফিক্স কার্ডগুলো আরো কিছু চমত্কার সুযোগসুবিধা দেয়, যেমন- ভিডিও ক্যাপচারিং, টিভি টিউনার এডাপ্টার, MPEG-2 ও MPEG -4 ডিকোডিং৷ এছাড়াও ফায়ারওয়্যার, মাউস, লাইট পেন, জয়স্টিক যুক্ত করার পোর্ট এমনকি দুইটি মনিটরে কানেকশন দেয়ার সুবিধাও দিয়ে থাকে এসব গ্রাফিক্স কার্ড৷

গ্রাফিক্স কার্ডের কার্যপদ্ধতি

আমরা যে ইমেজ মনিটরে দেখি তা খুবই ছোট ছোট কণার সমন্বয়ে গঠিত যা পিক্সেল নামে পরিচিত৷ যেকোনো একটি সাধারণ রেজ্যুলেশন সেটিংয়ে এক মিলিয়নেরও বেশি পিক্সেল থাকে এবং কমপিউটার প্রতিটি পিক্সেল অনুযায়ী ইমেজটি সৃষ্টি করে থাকে৷ এই কাজটি সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজন হয় একটি অনুবাদক বা ট্রান্সলেটরের৷ অনুবাদকের কাজ হচ্ছে সিপিইউ থেকে বাইনারি ডাটা নিয়ে তা ছবিতে রূপান্তর করা যাতে আমরা তা দেখতে পারি৷ অনুবাদকের এই কাজটি সম্পন্ন করে গ্রাফিক্স কার্ড৷ গ্রাফিক্স কার্ডের কাজ করার প্রক্রিয়া জটিল কিন্তু এর অন্যান্য বিষয় এবং অংশগুলো সহজেই বোধোগম্য৷

গ্রাফিক্স কার্ডের অংশ

গ্রাফিক্স কার্ডে একটি প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ডের উপরে এর প্রয়োজনীয় অংশগুলো বসানো থাকে৷ এগুলো হচ্ছে :

১. গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট (GPU) :

একটি গ্রাফিক্স কার্ডের গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট হচ্ছে একটি গ্রাফিক্স মাইক্রোপ্রসেসর, যা ফ্লোটিং পয়েন্ট গণনা করে৷ এটি 3D গ্রাফিক্স রেন্ডারিংয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ জিপিইউয়ের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর ক্লক রেট৷ সাধারণত বর্তমানের গ্রাফিক্স কার্ডগুলোর ক্লক রেট ২৫০ মে. হা. থেকে ১২০০ মে.হা. পর্যন্ত হয়ে থাকে৷

২.ভিডিও মেমরি :

সাধারণত যখন গ্রাফিক্স কার্ড মাদারবোর্ডের সাথে ইন্ট্রিগ্রেটেড থাকে তখন ৠাম থেকে মেমরি শেয়ার করার প্রয়োজন পরে, কিন্তু যদি মাদারবোর্ডের সাথে ইন্ট্রিগ্রেটেড না হয় তবে গ্রাফিক্স কার্ডের নিজস্ব ভিডিও মেমরি ব্যবহার করে থাকে৷ যখন জিপিইউ কোনো ছবি তৈরি করে তখন ছবি তৈরির প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো (যেমন- প্রতিটি পিক্সেলের মান, রং এবং স্ক্রিনে পিক্সেলের অবস্থান ইত্যাদি) কোথাও না কোথাও রাখার প্রয়োজন পড়ে৷ তখন ভিডিও মেমরির একটি অংশ ফ্রেম বাফার হিসেবে কাজ করে৷ এর মানে হলো মূল ছবিটি স্ক্রিনে প্রদর্শিত হওয়ার আগ পর্যন্ত সব তথ্য এটি ধারণ করে৷ ২০০৩ সাল পর্যন্ত গ্রাফিক্স কার্ডগুলোর ভিডিও মেমরি ডিডিআর প্রযুক্তিতে বানানো হতো৷ বর্তমানে ডিডিআর-২, জিডিডিআর-৩, এমনকি জিডিডিআর-৪ প্রযুক্তিতেও বানানো হচ্ছে৷ এর ফলে গ্রাফিক্স কার্ডের ক্লক রেটের মান অনেক গুণে বেড়েছে৷



নিচে বিভিন্ন মেমরির ক্লক রেট ও ব্যান্ডউইডথ উল্লেখ করা হলো পার্থক্য বুঝানোর সুবিধার্থে :

৩. ভিডিও বায়োস :

ভিডিও বায়োস ফার্মওয়্যার চিপ নামেও পরিচিত৷ এই চিপ মূল প্রোগ্রাম ধারণ করে যা ভিডিও কার্ডের কাজ নিয়ন্ত্রণ করে এবং কমপিউটার ও সফটওয়্যারের মাঝে যোগসূত্র রক্ষা করে৷

৪. RAMDAC :

RAMDAC (Random Access memory Digital to Anolog Converter) দিয়ে ৠানডম এক্সেস মেমরিকে ডিজিটাল থেকে এনালগে রূপান্তর করাকে বুঝায়৷ এটি গ্রাফিক্স কার্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ৷ সিআরটি ডিসপ্লে মনিটরের ক্ষেত্রে রিফ্রেশ রেট ৭৫ হার্টজ হলে তা ভালো হয় কিন্তু যদি তা ৬০ হার্টজ হয় তবে স্ক্রিন হাল্কা কাঁপবে৷ RAMDAC এই রিফ্রেশ রেট নিয়ে কাজ করে৷ LCD ডিসপ্লে মনিটরে RAMDAC অতটা জরুরি নয়৷

৫. আউটপুট :

কমপিউটারের ডিসপ্লের সাথে ভিডিও কার্ডের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সংযোগ ব্যবস্থা হচ্ছে-

SVGA :
এটি সাধারণ সিআরটি মনিটর সংযোগ করার কাজে লাগে৷

DVI :
ডিজিটাল ডিসপ্লেভিত্তিক অর্থাৎ এলসিডি, প্লাজমা স্ক্রিন ও প্রজেক্টর ইত্যাদি সংযোগ দিতে কাজে লাগে৷

S-Video :
এটি দিয়ে ডিভিডি প্লেয়ার, ভিডিও রেকর্ডিং ডিভাইস, ভিডিও গেম কন্সোল ইত্যাদি সংযোগের কাজে ব্যবহার করা হয়৷ এছাড়াও আরো কিছু কানেকশন পোর্ট হলো- কম্পোজিট ভিডিও, কম্পোনেট ভিডিও, এইচডিএমআই, ডিসপ্লে পোর্ট ইত্যাদি৷ ৬. মাদারবোর্ড ইন্টারফেস : গ্রাফিক্স কার্ড মাদারবোর্ডের একটি টের সাথে লাগানো থাকে, এই স্লট কয়েক প্রকার হতে পারে৷ যেমন- ISA, MCA, EISA, VESA, PCI, AGP, PCI Express ইত্যাদি৷ শেষ তিনটি বহুল ব্যবহৃত ট বা বাস৷ নিচে ছকে এদের পার্থক্য দেখা হলো :

৭. তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা :

গ্রাফিক্স কার্ডের তাপমাত্রা বেড়ে যায় যখন সেটি কাজ করে৷ তাই গ্রাফিক্স কার্ডের কাজ চলাকালীন তাপমাত্রা কমানোর জন্য কিছু ঠাণ্ডাকরণ যন্ত্র বা কুলিং ডিভাইস ব্যবহার করা হয়ে থাকে৷ এগুলো হলো :

হিট সিঙ্ক :

কপার বা অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি হিট সিঙ্কটি জিপিইউয়ের তাপমাত্রা কমায় কোনো প্রকার শব্দ না করে৷

কুলিং ফ্যান :

গ্রাফিক্স কার্ডের ওপরে ছোট আকারের ফ্যান ব্যবহার করা হয় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য৷ এটি হিট সিঙ্কের চেয়ে বেশি কার্যকর কিন্তু হাল্কা শব্দ করে৷

ওয়াটার ব্লক বা লিকুইড কুলিং :

এক্ষেত্রে জিপিইউ ঠাণ্ডা করতে হিট সিঙ্কের পাশাপাশি তরল পদার্থ ব্যবহার করা হয়৷ এটি সবচেয়ে বেশি কার্যকর গ্রাফিক্স কার্ড ঠাণ্ডা করার ক্ষেত্রে৷

৮. পাওয়ার সাপ্লাই :

গ্রাফিক্স কার্ড যত বেশি শক্তিশালী হবে তার তত বেশি পাওয়ারের প্রয়োজন হবে৷ পিসিআই এক্সপ্রেস পোর্টগুলো সাধারণত ১৫০ ওয়াট পাওয়ার প্রদান করে থাকে৷ নতুন গ্রাফিক্স কার্ডে পাওয়ার কনজাম্পশন টেকনোলজি ব্যবহারের ফলে তা কম বিদ্যুৎ খরচ করে৷

গ্রাফিক্স অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস

দুইটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রাফিক্স অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস হচ্ছে- মাইক্রোসফটের ডাইরেক্ট থ্রিডি এবং সিলিকন গ্রাফিক্সের ওপেনজিএল৷ বেশিরভাগ উইন্ডোজভিত্তিক গেমগুলো ডাইরেক্ট থ্রিডি-এর ডাইরেক্টএক্স সাপোর্ট করে৷ ডাইরেক্টএক্সের নতুন ভার্সন হচ্ছে ডাইরেক্টএক্স ১০৷ বাজারের নতুন গ্রাফিক্স কার্ডগুলো ডাইরেক্টএক্স ৯.০সি ও ডাইরেক্টএক্স ১০ সাপোর্ট করে৷

ওপেনজিএল হচ্ছে ফ্রি, ওপেন, মাল্টি-ল্যাঙ্গুয়েজ ও মাল্টি-প্লাটফরম অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস৷ এটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, সায়েন্টিফিক ভিজ্যুয়ালাইজেশন, ফ্লাইট সিম্যুলেশন, কিছু গেম এবং লিনআক্স ও ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহার করা হয়৷ এর সর্বশেষ ভার্সন হচ্ছে ওপেনজিএল ২.১৷

গ্রাফিক্স টেকনিক্স

গ্রাফিক্স কার্ডগুলোর গ্রাফিক্স আউটপুট কোয়ালিটি বাড়ানোর জন্য কিছু ইফেক্ট ব্যবহার করা হয়৷ এই টেকনিক বা ইফেক্টগুলো নিচে দেয়া হলো :

এন্টি-এলাইসিং, শেডার, হাই ডাইনামিক রেঞ্জ রেন্ডারিং, টেক্সটচার ম্যাপিং, মোশন ব্লার, ডেপথ অফ ফিল্ড, লেন্স ফ্লেয়ার, ফ্রেসনেল ইফেক্ট, এনিসোট্রপিক ফিল্টারিং, ওভারক্লকিং৷

গ্রাফিক্স কার্ডের গতি সরাসরি এর হার্ডওয়্যারগুলোর ওপর নির্ভরশীল৷ যেসব হার্ডওয়্যার গ্রাফিক্স কার্ডের গতির ওপর প্রভাব বিস্তার করে সেগুলোর নাম ও তাদের পরিমাপের একক নিম্নরূপ :

জিপিইউ ক্লক স্পিড (মেগাহার্টজ),মেমরি বাসের আকার (বিটস),মেমরির পরিমাণ (মেগাবাইট),মেমরি ক্লক রেট (মেগাহার্টজ),মেমরি ব্যান্ডউইডথ (গিগাবাইট/সেকেন্ড), Ramdac -এর গতি (মেগাহার্টজ)৷

ওভারক্লকিং :

গ্রাফিক্স কার্ডের পারফরমেন্স বাড়ানোর জন্য ম্যানুয়ালি এর ক্লক স্পিডের মান বাড়িয়ে দেয়া যায়, একে ওভারক্লকিং বলা হয়৷ মেমরি ওভারক্লকিংয়ের ফলে পারফরমেন্সের উন্নতি হয় ঠিকই কিন্তু এর ফলে জিপিইউর ওপর চাপ পড়ে যা গ্রাফিক্স কার্ডের জন্য ক্ষতিকর৷ ওভার হিটিংয়ের ফলে গ্রাফিক্স কার্ড নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷

এন্টিএলাইসিং :

ফুল স্কিন এন্টিএলাইসিং বা FSAA দিয়ে ত্রিমাত্রিক কোনো বস্তুর অসমান ধার বা কোণাগুলোকে মসৃণ করা হয়৷ ইদানিং উচ্চমানের ভিডিও গেমগুলোতে 2X থেকে 8X পর্যন্ত এন্টিএলাইসিং করার অপশন থাকে যাতে গেমের গ্রাফিক্স মসৃণ ও বাস্তব মনে হয়৷ তবে এন্টিএলাইসিং চালু করলে গেমের গতির ওপর সামান্য প্রভাব পড়বে, যদি ভিডিও মেমরি কম হয়৷ গ্রাফিক্স কার্ড কেনার আগে যা যা দেখা উচিত

চিপসেট :

বাজারে দুই ধরনের চিপসেটের গ্রাফিক্স কার্ড পাওয়া যায়৷ তার একটি হলো এনভিডিয়া ও আরেকটি এটিআই৷ কিছু গেম কোম্পানি চিপসেটের ওপর ভিত্তি করে গেম রিলিজ করে৷ এক চিপসেট সাপোর্টেড গেম অন্য চিপসেটে ভালো চলে না৷ তাই চিপসেট নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷

কানেকশন পোর্ট :

গ্রাফিক্স কার্ড পোর্ট হিসেবে বহুল ব্যবহৃত দুইটি পোর্টের একটি এজিপি, আরেকটি পিসিআই এক্সপ্রেস৷ এজিপি-এর ডাটা ট্রান্সফারের গতি 8X কিন্তু পিসিআই এক্সপেসের 16X, যা এজিপি-এর দ্বিগুণ৷ তাই দাম বেশি হলেও পিসিআই এক্সপ্রেস ভালো৷ মেমরি : গেমের রেজ্যুলেশন বাড়িয়ে খেলতে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য বেশি মেমরিযুক্ত ভিডিও কার্ড কেনা উচিত৷ ১২৮ মেগাবাইট মেমরির গ্রাফিক্স কার্ডগুলো দিয়ে এখনকার প্রায় সব গেমই ভালো চলে৷ কিন্তু যারা আরো ভালো পারফরমেন্স আশা করেন তারা ২৫৬ বা ৫১২ মেগাবাইট মেমরির গ্রাফিক্স কার্ডের দিকে আগ্রহ দেখাতে পারেন৷

ফ্রেম রেট :

ফ্রেম রেট হচ্ছে প্রতি সেকেন্ডে সিস্টেম কতটি ডিসপ্লে দেখাতে পারে তার হিসেব৷ সব গেমের ফ্রেম রেট এক নয়৷ মানুষের চোখের ফ্রেম রেট হলো প্রতি সেকেন্ডে ২৫টি ফ্রেম৷ আর ভালো মানের একটি অ্যাকশন গেমের ফ্রেম রেট হলো ৬০টি ফ্রেম প্রতি সেকেন্ডে৷ ফ্রেম রেটের মান যত বেশি হবে গেমের গ্রাফিক্স কোয়ালিটি তত সুন্দর হবে৷

ডাইরেক্টএক্স :

গেম চালানোর জন্য এটি অপরিহার্য৷ বাজারের বেশিরভাগ গ্রাফিক্স কার্ডই ডাইরেক্টএক্স ৯.০সি সাপোর্টেড৷ ডাইরেক্টএক্স ১০ সাপোর্টেড গ্রাফিক্স কার্ডগুলোর দাম অনেক বেশি৷ কয়েকটি ডাইরেক্টএক্স ১০ সাপোর্টেড গ্রাফিক্স কার্ড হলো- -এর GeForce 8800 series, 8500GT এবং ATI-Fr Radeon HD2900XT ও HD2400 series ইত্যাদি৷

ডবল ডিসপ্লে পোর্ট :

নতুন কিছু গ্রাফিক্স কার্ডের ডিভিআই আউটপুটের পাশাপাশি ভিজিএ পোর্টও দেয়া থাকে৷ যার ফলে পুরনো মডেলের মনিটর সংযোগ দেয়া যায় এবং একসাথে দুটি মনিটরও সংযোগ দেয়া যায়৷

ইনহ্যান্স ভিডিও প্লেব্যাক :

নতুন গ্রাফিক্স কার্ডগুলোতে ভিডিও প্লেব্যাক বর্ধিতকরণের জন্য কিছু সুবিধা রয়েছে৷ ATI -এর Avivo এবং nVIDIA -এর Pure Video ডিভিডি প্লেব্যাকের পারফরমেন্স বাড়াতে সাহায্য করে৷

এইচডিসিপি :

এইচডি ডিভিডি (হাইডেফিনেশনডিজিটালভিডিওডিস্ক) বা ব্লু রে ডিস্ক চালানোর জন্য এবং এর উচ্চমান অক্ষুণ্ন রাখতে এটি ব্যবহার হয়৷

টিভি টিউনার :

পিসিতে টিভি দেখা ও পছন্দমতো অনুষ্ঠান কেটে রাখার জন্য কিছু কিছু ভিডিও কার্ড টিভি টিউনার ব্যবহার করে থাকে৷ এই কার্ডগুলো টিভি কার্ডের বিকল্প৷

ডুয়াল কার্ড সাপোর্ট :

দুটি ভিডিও কার্ড একটি মাদারবোর্ডের সাথে যুক্ত করার জন্য মাদারবোর্ডটি ভগঅঊঅই-এর nVIDIA-এর SLI (Scalable Link Interface)অথবা ATI -এর Crossfire dual board technology সমর্থন করে কিনা দেখে নিতে হবে৷

কোয়াড সিএলআই :

এটি nVIDIA -এর একটি টেকনোলজি যা ৪টি গ্রাফিক্স চিপকে একত্র করতে পারে৷ এর ফলে 1920x1200 থেকে 2560x1600 রেজ্যুলেশনে গেম খেলা সম্ভব৷ যারা পিসিতে ওয়ার্ড প্রসেসিং, ওয়েব ব্রাউজিং, ই-মেইল ইত্যাদি কাজ করেন তাদের জন্য মাদারবোর্ডের বিল্ট ইন গ্রাফিক্স কার্ডই যথেষ্ট৷ সিনেমা দেখা ও ছোটখাটো গেম খেলা যাদের অভ্যাস তাদের জন্য মধ্যম মানের গ্রাফিক্স কার্ড হলেই যথেষ্ট৷ কিন্তু যারা হার্ডকোর গেমার এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করেন তাদের জন্য প্রয়োজন খুব ভালো মানের গ্রাফিক্স কার্ড৷

প্রকার ক্লক রেট ব্যান্ডউইডথ (মে.হা.) (গি.বা./সে.)) ডিডিআর ১৬৬-৯৫০ ১.২-৩০.৪ ডিডিআর-২ ৫৩৩-১০০০ ৮.৫-১৬ জিডিডিআর-৩ ৭০০-১৮০০ ৫.৬-৫৪.৪ জিডিডিআর-৪ ১৬০০-২৪০০ ৬৪-১৫৬.৬ বাস বা ট ডাটা রেঞ্জ (বিটস) ক্লক রেট (মে.হা.) পিসিআই ৩১-৬৪ ৩৩-১০০ এজিপি ৩২ ৬৬-৫৩৩ পিসিআই এক্সপ্রেস ১-১৬ ২৫০০-৫০০০

তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ

ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক সেটআপ

আমাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে প্রযুক্তি নানা ধরনের পণ্য উপহার দিয়ে৷ প্রাত্যহিক কাজগুলো সহজ করে দিচ্ছে৷ ফলে কমপিউটার এখন অতি প্রয়োজনীয় এক মাধ্যমে রূপান্তরিত হয়েছে, যা আমাদের সব ধরনের কাজকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে৷ নিজের প্রয়োজনে অনেক সময় দরকারী ফাইল, ফটো, গেমস, ভিডিও এক কমপিউটার থেকে অন্য কমপিউটারে পাঠানোর দরকার পড়ে, সেই ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার৷

দুই বা ততোধিক কমপিউটার একে অপরের সাথে যুক্ত হওয়াকে বলে নেটওয়ার্ক৷ এই নেটওয়ার্ক করা যায় পাশাপাশি অথবা একই বাড়ি/অফিসের কমপিউটারগুলোর মাঝে৷ কমপিউটারের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলি অনেকেই৷ এই নেটওয়ার্কে আমরা দুভাবে উপস্থাপন করতে পারি৷ তারযুক্ত অথবা তারবিহীন নেটওয়ার্ক৷ তারযুক্ত নেটওয়ার্ককে বলে ওয়্যারড নেটওয়ার্ক এবং তারবিহীন নেটওয়ার্ককে বলে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক৷ জুন ২০০৭ সংখ্যায় রাউটারবিহীন ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক সেটআপ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছিল৷ এই সংখ্যায় আলোচনা করা হয়েছে রাউটার দিয়ে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক সেটআপ, ফাইল ও প্রিন্টার শেয়ার এবং ইন্টারনেট শেয়ার নিয়ে৷ তারবিহীন নেটওয়ার্ক করে আপনি নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে ফাইল, ডকুমেন্ট, প্রিন্টার শেয়ার করতে পারবেন৷ আর নির্দিষ্ট দূরত্বে বসে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন৷ আপনার অফিস অথবা বাসাকে নেটওয়ার্কের মাঝে আনতে হলে দরকার হবে ওয়্যারলেস রাউটার এবং যতগুলো কমপিউটার ততগুলো ওয়্যারলেস কার্ড৷


চিত্র-১ : রাউটারের মাধ্যমে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক সেটআপ

তারবিহীন নেটওয়ার্ক সেটআপ করার আগে কিছু বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান থাকা দরকার৷ যদিও নেটওয়ার্ক সেটআপ করা খুব কঠিন কিছু নয়, তবুও এ সম্পর্কে ধারণা থাকা দরকার৷ ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক করার সুবিধা হচ্ছে এখানে কোনো তারের প্রয়োজন হয় না৷ যেসব ডিভাইসের দরকার পড়বে তা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো :

ওয়্যারলেস ল্যানকার্ড

প্রতিটি কমপিউটারের জন্য প্রয়োজন একটি করে ওয়্যারলেস ল্যানকার্ড৷ এই ল্যানকার্ডের স্লট মাদারবোর্ডে থাকে৷ আর এর এন্টেনা থাকবে কেসিংয়ের বাইরে৷

ওয়্যারলেস রাউটার

আপনার কানেকশনের ওপর এই রাউটার নির্ভর করবে৷ রাউটারের পোর্ট অনুযায়ী কমপিউটার যুক্ত করতে পারবেন৷ আর এসব কিছু আপনার রাউটারের কনফিগারেশনের ওপর নির্ভর করবে৷

সেটআপ

প্রথমে আপনার কমপিউটার শাটডাউন করুন৷ ব্রডব্যান্ড মডেমের তার পাওয়ার সাপ্লাই হতে আলাদা করে নিন৷ মডেম এবং কমপিউটার যে ইথারনেট ক্যাবল দিয়ে সংযুক্ত আছে তা থেকে কমপিউটার প্রান্তটি আলাদা করে নিয়ে রাউটারের WAN পোর্টে সংযুক্ত করুন৷ মডেমের সুইচ অন করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন প্রাথমিক কনফিগারেশনটি সেটআপ হওয়ার জন্য৷ রাউটারের পাওয়ার অন করে সামনের লাইটের দিকে খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন কানেকশন ঠিক আছে কিনা৷ যদি কানেকশন ঠিক না থাকে তাহলে ক্যাবল ঠিক আছে কিনা দেখে নিন৷

এবার রাউটারের সাথে দেয়া সফটওয়্যারটি সেটআপ করতে হবে৷ একটি অপশনে কনফিগারেশন পেজ এবং সেটআপ উইজার্ড ওপেন হবে৷ এই উইজার্ড প্রথমে একটি এডমিনিস্ট্রেশন পাসওয়ার্ড চাইবে এবং একটি টাইম জোন জানতে চাইবে৷ এখন ইন্টারনেট কানেকশন টাইপ সিলেক্ট করুন৷ আর একটি উইজার্ড জানতে চাইবে উইজার নেম এবং পাসওয়ার্ড৷ এই ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড না জানলে আপনার আইএসপির কাছ থেকে জেনে নিন৷ এখন আপনাকে এসএসআইডির নাম এবং চ্যানেল ঠিক করতে হবে৷ আপনি ইচ্ছে করলে ডিফল্ট চ্যানেলটি ব্যবহার করতে পারেন৷ তবে আপনাকে এসএসআইডির নামটি ইউনিক হিসেবে ব্যবহার করতে হবে৷ সিকিউরিটির জন্য সর্বোচ্চ WPA অথবা সিলেক্ট করতে হবে৷ এই অপশনের জন্যই আপনাকে ইউনিক নাম ব্যবহার করতে হবে৷ আর এই নামটি মনে রাখতে হবে, কারণ এই নাম দিয়ে ওয়্যারলেস ল্যানকার্ডের মাধ্যমে ওয়্যারলেস রাউটারের সাথে যুক্ত হতে হবে৷ ভুল নাম দিয়ে থাকলে কানেকশন পাবেন না৷

ওয়্যারলেস রাউটার কনফিগার হয়ে গেলে ওয়্যারলেস এডাপ্টারটি বা ওয়্যারলেস ল্যানকার্ড সেটআপ করতে হবে৷ প্রথমে ল্যানকার্ডটি মাদারবোর্ডের পিসিআই টে বসিয়ে স্ক্রু দিয়ে লাগিয়ে দিন৷ কেসিংয়ের ঢাকনাটি লাগিয়ে দিন৷ ল্যানকার্ডের সাথে দেয়া সফটওয়্যারটি সেটআপ করলে একটি সিকিউরিটি কনফিগারেশন খুলবে, যেখানে আপনার দেয়া WEP বা WPA -এ যে এসএসআইডি ইউনিক কোডটির প্রয়োজন পড়বে৷

কমপিউটারের আইপি অ্যাড্রেস হিসেবে আপনি ডিএইচসিপি ব্যবহার করতে পারেন৷ এতে আপনাকে আলাদা করে আইপি অ্যাড্রেস দিতে হবে না৷ আশপাশের সব পিসি যেগুলোতে ওয়্যারলেস ল্যানকার্ড লাগানো হবে এবং একই সিকিউরিটি কোড ব্যবহার করা হবে ওইগুলো নেটওয়ার্কের মাঝে চলে আসবে৷

ডিএইচসিপি সেটআপ করতে প্রথমে স্টার্ট থেকে সেটিংসের মাধ্যমে কন্ট্রোল প্যানেলে ঢুকতে হবে৷ ওখান থেকে নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট কানেকশনে এক্সেস করতে হবে৷ নেটওয়ার্ক কানেকশনের ভেতরে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক কানেকশনের ওপর রাইট ক্লিক করে প্রোপার্টিজে এক্সেস করতে হবে৷ জেনারেল ট্যাবের কানেক্ট ইউজিংয়ে ওয়্যারলেস ল্যানকার্ডটি সিলেক্ট করতে হবে৷ ইন্টারনেট প্রটোকল (টিসিপি/আইপি)সিলেক্ট করে প্রোপার্টিজে এক্সেস করতে হবে৷ যে উইন্ডো ওপেন হবে এখানে Obtain an IP address automatically এবং Obtain DNS server address automatically সিলেক্ট করে ওকেতে ক্লিক করতে হবে৷

সবকিছু সিলেক্ট করা হয়ে গেলে আপনার আইএসপির কাছ থেকে ইন্টারনেট কনফিগারেশন জেনে নিয়ে রাউটারে কানেক্ট করুন এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করুন৷

ফাইল এবং প্রিন্টার শেয়ার

এডাপ্টারটি যদি ঠিকমতো সেটআপ এবং কনফিগার করা হয়ে থাকে, তাহলে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন৷ আর সাথে পুরো নেটওয়ার্কের ফাইল এবং প্রিন্টার শেয়ার করতে পারবেন৷ উইন্ডোজ এক্সপিতে প্রিন্টার শেয়ার করতে চাইলে শুরুতে স্টার্ট থেকে সেটিংসের মাধ্যমে কন্ট্রোল প্যানেলে এক্সেস করুন৷ কন্ট্রোল প্যানেল থেকে প্রিন্টার অ্যান্ড আদার হার্ডওয়্যারে ক্লিক করে প্রিন্টার অ্যান্ড ফ্যাক্সে ক্লিক করতে হবে৷ প্রিন্টার অ্যান্ড ফ্যাক্স ফোল্ডারের ভেতরে প্রিন্টারে আইকনের ওপর ক্লিক করতে হবে৷ এখানে শেয়ার দিস প্রিন্টারে ডবল ক্লিক করতে হবে৷ যখন প্রিন্টারের প্রোপার্টিজ বক্স ওপেন হবে, তখন থেকে শেয়ারিং ট্যাবে ক্লিক করতে হবে৷ শেয়ার নেম দেয়া হয়ে গেলে ওকেতে ক্লিক করে বের হয়ে আসতে হবে৷

ক্লাইন্ট সাইডে প্রিন্টার শেয়ার

প্রথমে স্টার্ট থেকে সেটিংসের মাধ্যমে কন্ট্রোল প্যানেলে এক্সেস করতে হবে৷ কন্ট্রোল প্যানেল থেকে প্রিন্টার অ্যান্ড আদার হার্ডওয়্যারে ক্লিক করে ভেতরে প্রবেশ করুন৷ এখান থেকে এড এ প্রিন্টার অপশনে ক্লিক করতে হবে৷ প্রিন্টার কানেকশন থেকে নেটওয়ার্কের প্রিন্টারের পথ দেখিয়ে দিন৷ এরপর আপনার ডকুমেন্ট ওপেন করে প্রিন্ট করুন৷ উইন্ডোজ এক্সপি ছাড়া অন্য কোনো অপারেটিং সিস্টেমে আলাদা ড্রাইভারের প্রয়োজন পড়বে৷ তার জন্য প্রিন্টারের সাথে দেয়া ড্রাইভারটি ব্যবহার করতে পারেন৷ অন্য কমপিউটারের প্রিন্টার ব্যবহার করার জন্য প্রিন্টার অপশনে এক্সেস করুন৷ এখানে বাম পাশ হতে এড এ প্রিন্টার সিলেক্ট করুন৷ নেক্সট নেক্সট করে আপনার কাঙিক্ষত প্রিন্টারটি সিলেক্ট করুন৷

টিপস

আমাদের কিছু ব্যাপার জেনে রাখতে হবে৷ কানেকশনের কোনো সমস্যা থাকলে ক্যাবলগুলো চেক করতে হবে৷ আর আপনাকে অবশ্যই রাউটারকে সব কমিপউটারের মাঝে বসাতে হবে৷ তা না হলে কিছু কিছু পিসি ঠিকমতো সাপোর্ট নাও পেতে পারে৷
বি:দ্র: রাউটার সেটআপ করার সময় কোনো সমস্যায় পড়লে রাউটারের সাথে দেয়া ম্যানুয়ালটি পড়ে নিতে পারেন৷ রাউটারের কনফিগারেশনের ব্যাপারে ম্যানুয়ালে সব ধরনের টিপস দেয়া থাকে৷ বিভিন্ন ভেন্ডর যেমন: সিসকো, ডিলিংক এবং অন্যান্য পণ্যসমূহের সেটআপ কনফিগারেশন ভিন্ন হতে পারে৷ সেক্ষেত্রে আপনি যে রাউটার কিনবেন তার ম্যানুয়ালটি পড়ে নিয়ে রাউটার সেটআপ করলে আপনার সুবিধা হবে৷

তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ

কমপিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ

তথ্যপ্রযুক্তিতে কমপিউটারের ব্যবহার অপরিসীম৷ আর এই তথ্যপ্রযুক্তির সাথে খাপ খেয়ে চলার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি৷ ইন্টারনেট অনেকেই ব্যবহার করেন কিন্তু খুব কম লোকই আছেন যারা ইন্টারনেট সংযোগের জন্য প্রয়োজনীয় ধারণা রাখেন৷ তাছাড়া কমপিউটারে অপারেটিং সিস্টেম নতুন করে সেটআপ করলে আগের ইন্টারনেট কনফিগারেশন যে সেই অবস্থায় থাকেনা সেসম্পের্কেও ধারণা রাখেন না৷ সেক্ষেত্রে আমাদেরকে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অথবা যাদের কাছ থেকে ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে থাকি তাদের শরণাপন্ন হতে হয়৷ অথচ সামান্য কিছু ব্যাপার জানা থাকলে আমরা সহজেই কমপিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ পেতে পারি অথবা আগের কনফিগারেশনে ফিরে যেতে পারি৷ যারা আগে থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন কিন্তু ইন্টারনেট কনফিগারেশন সেটআপ করতে পারেননি অথবা নতুন করে ইন্টারনেট কানেকশন নিতে চান তারা এই লেখাটি পড়ে উপকৃত হবেন৷

যারা ব্রডব্যান্ড কানেকশন নিতে চান তাদের যা যা লাগবে : ০১. কমপিউটার, ০২. ল্যানকার্ড, ০৩. ইন্টারনেট সংযোগ ও ০৪. ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানকারী কর্তৃক প্রাপ্ত আইপি অ্যাড্রেস৷

ল্যানকার্ড ও ড্রাইভার সেটআপ

যারা নতুন ইন্টারনেট সংযোগ নিতে চাচ্ছেন, তাদেরকে একটি ল্যানকার্ড কমপিউটারের মাদারবোর্ডে লাগাতে হবে৷ যাদের কমপিউটারে আগে থেকে বিল্ট-ইন ল্যানকার্ড থাকবে তাদের আলাদা কোনো ল্যানকার্ড লাগানোর প্রয়োজন নেই৷ ল্যানকার্ড লাগানোর জন্য প্রথমে কেসিংয়ের ঢাকনাটি খুলুন৷ মাদারবোর্ডের এজিপি কার্ডের পাশে ল্যানকার্ডের যে ট আছে সেখানে ল্যানকার্ডটি বসিয়ে স্ক্রু দিয়ে আটকে দিন৷ ল্যানকার্ড ঠিকমতো বসানো হয়ে গেলে কেসিংয়ের ঢাকনাটি আগের মতো করে লাগিয়ে দিন৷ এখন ড্রাইভার সেটআপ করতে হবে৷ ড্রাইভার সেটআপ করার জন্য প্রথমে ল্যানকার্ডের সাথে দেয়া ফ্লপি ডিস্কটি ফ্লপি ড্রাইভে প্রবেশ করাতে হবে৷

উইন্ডোজ ২০০০-এ ড্রাইভার সেটআপ

উইন্ডোজ ২০০০-এর ক্ষেত্রে স্টার্টে ক্লিক করে সেটিংসের মাধ্যমে কন্ট্রোল প্যানেলে যান৷ অ্যাড/রিমুভ হার্ডওয়্যারে ডবল ক্লিক করে নেক্সট নেক্সট করে নিউ হার্ডওয়্যার সার্চ করুন৷ চুজে নিউ হার্ডওয়্যার থেকে ল্যানকার্ডটি সিলেক্ট করে নেক্সটে, ক্লিক করে ড্রাইভারের পাথটি চিনিয়ে দিয়ে নেক্সট নেক্সট করে প্রসিডিউরটি শেষ করুন৷

উইন্ডোজ এক্সপিতে- ড্রাইভার সেটআপ

উইন্ডোজ এক্সপির ক্ষেত্রে প্রথমে স্টার্ট থেকে সেটিংসের মাধ্যমে কন্ট্রোল প্যানেলে যান৷ কন্ট্রোল প্যানেলে নেটওয়ার্ক অ্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশনে ডবল ক্লিক করুন৷ নেটওয়ার্ক সেটআপ উইজার্ডে ক্লিক করে নেক্সট, নেক্সট করে কম্পোনেন্টস লিস্টে যেতে হবে৷ এখানে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক সিলেক্ট করে নেক্সট নেক্সট করে প্রসিডিউরটি সম্পন্ন করুন৷ এই প্রসিডিউরটি অন্যভাবেও করা যাবে৷ মাই নেটওয়ার্ক প্লেসেস-এ রাইট ক্লিক করে প্রোপার্টিজে যান৷ যে উইন্ডো ওপেন হবে ওখান থেকে সেটআপে হোম অর স্মল অফিস নেটওয়ার্ক সিলেক্ট করে নেক্সট, নেক্সট করে প্রসিডিউরটি সম্পন্ন করুন৷ প্রসিডিউরটি সম্পন্ন করার সময় ড্রাইভারের লোকেশন চাইলে লোকেশনটি দেখিয়ে দিন৷

ল্যানকার্ডটি সেটআপ হয়ে গেলে এখন আমাদেরকে আইপি অ্যাড্রেস বসাতে হবে৷

আইপি অ্যাড্রেস কনফিগারেশন

আইপি অ্যাড্রেস হলো ইন্টারনেট প্রটোকলের সংক্ষিপ্ত রূপ৷ আইপি অ্যাড্রেস কনফিগারেশন করার জন্য প্রথমে যা লাগবে তাহলো আইপি অ্যাড্রেস সাবনেট মাস্ক এবং ডিফল্ট গেটওয়ে৷ আর এসব পাওয়া যাবে ইন্টারনেট কানেকশন প্রোভাইডারদের কাছ থেকে৷ আর যারা পুরনো ইউজার তারা ইন্টারনেট কানেকশন প্রোভাইডারের কাছ থেকে আইপি অ্যাড্রেস, সাবনেট মাস্ক এবং ডিফল্ট গেটওয়ে জেনে নিতে পারেন অথবা প্রথমবার কানেকশন নেয়ার সময় লিখে রাখতে পারেন৷



যাদের কাছে ইন্টারনেট কানেকশনের আইপি অ্যাড্রেসগুলো আছে তারা নিচের পদ্ধতিতে আইপি অ্যাড্রেস সেটআপ করুন৷ ডেস্কটপের মাই নেটওয়ার্ক প্লেসেস-এ রাইট ক্লিক করে প্রোপার্টিজে যান৷ এখানে লোকাল এরিয়া কানেকশন নামের একটি আইকন পাবেন৷ এই আইকনের ওপর রাইট ক্লিক করে প্রোপার্টিজে যান৷ জেনারেল ট্যাবে কম্পোনেন্টস চেকড আর ইউজড বাই দিস কানেকশন অপশন হতে ইন্টারনেট প্রটোকল (টিসিপি/আইপি)-এর বাম পাশে টিক দিয়ে অপশনটি সিলেক্ট করুন৷ এখন এই অপশনটিকে সিলেক্ট করে প্রোপার্টিজে ক্লিক করুন৷

এখন একটি উইন্ডো ওপেন হবে৷ এখানে অবটেইন এন আইপি অ্যাড্রেস অটোমেটিক্যালি অপশনটি সিলেক্ট করা থাকবে৷ আইপি অ্যাড্রেসগুলো বসানোর জন্য ইউজ দ্য ফলোয়িং আইপি অ্যাড্রেসে ক্লিক করে এই অপশনটি সিলেক্ট করুন৷ আইপি অ্যাড্রেস, সাবনেট মাস্ক, ডিফল্ট গেটওয়ের খালি ঘরে আপনাকে দেয়া আইপি অ্যাড্রেস, সাবনেট মাস্ক, ডিফল্ট গেটওয়েগুলো বসিয়ে ওকেতে ক্লিক করুন৷ আইএসপি অথবা যারা ইন্টারনেট কানেকশন দেবে তারা যদি ডিএনএস নম্বর দিয়ে থাকে তবে তা প্রিফারড ডিএনএস সার্ভারে বসান৷ আর যদি না দিয়ে থাকে, তাহলে ডিএনএস অপশনটি খালি রেখে ওকেতে ক্লিক করুন৷ জেনারেল ট্যাবের শো আইকন ইন টাস্কবার হয়েন কানেকটেডে ক্লিক করে অপশনটি সিলেক্ট করুন৷ এবার ওকেতে ক্লিক করে প্রসিডিউরটি সম্পন্ন করুন৷ আপনার মনিটরের টাস্কবারে একটি মনিটরের আইকন দেখা যাবে৷ এখন ইন্টারনেটের ক্যাবলটি RJ45 কানেক্টর দিয়ে ল্যানকার্ডে সংযুক্ত করুন৷
আইপি অ্যাড্রেস যদি ঠিকমতো বসানো হয়ে থাকে তা পরীক্ষা করতে অথবা পুরনো ব্যবহারকারীরা নিচের পদ্ধতির মাধ্যমে আইপি

অ্যাড্রেস জেনে নিতে পারেন

যাদের কমপিউটারে ইন্টারনেট কানেকশন আছে তারা নিচের পদ্ধতিতে কমপিউটার হতে আইপি অ্যাড্রেস, সাবনেট মাস্ক এবং ডিফল্ট গেটওয়েগুলো জেনে নিতে পারেন অথবা লিখে রাখতে পারেন৷ যদি কখনো অপারেটিং সিস্টেম নতুন করে সেটআপ দিতে হয়, তাহলে প্রথমে আইপি অ্যাড্রেসগুলো লিখে নিন৷

আইপি অ্যাড্রেস জানতে স্টার্ট>রান>সিএমডি টাইপ করে এন্টার দিন৷ তাহলে কমান্ড প্রম্পট ওপেন হবে৷ যাদের কমপিউটারে উইন্ডোজ এক্সপি রয়েছে তাদেরকে স্টার্ট>রান>কমান্ড টাইপ করে এন্টার দিতে হবে৷ এন্টার দেয়ার পর যে কমান্ড প্রম্পট ওপেন হবে ওখানে ipconfig/all টাইপ করে এন্টার দিন৷ এখান থেকে আইপি অ্যাড্রেস, সাবনেট মাস্ক এবং ডিফল্ট গেটওয়ে জেনে নিতে পারবেন৷ এই আইপি অ্যাড্রেসগুলো লিখে রাখুন, যা পরে আপনার দরকার হবে৷

ইন্টারনেট ব্যবহার

সবকিছু ঠিকমতো কনফিগার করা হয়ে থাকলে আপনার কমপিউটারের টাস্কবারে ইন্টারনেট কানেকশনের আইকনটি ক্লিক করতে থাকবে৷ এখন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ওপেন করে আপনার কাঙিক্ষত ওয়েব অ্যাড্রেস ব্রাউজ করুন৷

উইন্ডোজ সেভেন



কমপিউটার শব্দটির আভিধানিক অর্থ হচ্ছে যে গণনা করে বা গণনাযন্ত্র। গ্রিক Compute শব্দ থেকে এর উৎপত্তি, যার অর্থ গণনা করা। প্রাথমিকভাবে কমপিউটার বানানোর মূল উদ্দেশ্যই ছিলো হিসেব নিকেশ করার কাজ করা। কিন্তু এখনকার যুগে কমপিউটার শব্দটি তার আভিধানিক অর্থের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। কমপিউটার শব্দটি এখন অনেক কিছুর সাথে জড়িত। কমপিউটার নামের যন্ত্রটি এখন নানারকম জটিল হিসেব নিকেশ করা, তথ্য সংরক্ষণ করা, গ্রাফিক্স ডিজাইন করা, প্রতিরক্ষার কাজে ব্যবহার করা এবং বিনোদন ছাড়াও আরো নানারকম কাজের সাথে সম্পৃক্ত। আগের দিনে কমপিউটার ব্যবহারকারীকে কমপিউটিংয়ে অত্যন্ত দক্ষ হতে হতো। কারণ কমপিউটারকে নির্দেশ দেয়ার জন্য তারা ব্যবহার করতেন কঠিন সব কমপিউটার ল্যাঙ্গুয়েজ, যা সাধারণ মানুষের আয়ত্তের বাইরে ছিলো। তখনকার অপারেটিং সিস্টেমগুলো ব্যবহার করা ছিলো বেশ কঠিন। কমপিউটার অপারেট সহজ করার লক্ষ্যে মাইক্রোসফট গ্রাফিক্যাল ইউজার ইটারফেস সহযোগে বাজারে প্রথম আবির্ভাব ঘটায় MS-DOS (MicroSoft-Disk Operating System) নামের অপারেটিং সিস্টেমের। ১৯৮৫ সালের নভেম্বরে বের হওয়া এই সিস্টেমটির জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে তা তখনকার বাজারে চলমান অপারেটিং সিস্টেম ম্যাক ওএস-এর একক আধিপত্যের বাঁধ ভেঙ্গে দিয়েছিল। মাইক্রোসফটের এই অপারেটিং সিস্টেম সবার সামনে নতুন এক জানালা খুলে কমপিউটিংয়ের জগতের দৃশ্য অবলোকনে সহায়তা করায় মাইক্রোসফটের কর্ণধার বিল গেটস তাদের বানানো অপারেটিং সিস্টেমের নাম রাখলেন উইন্ডোজ। ধীরে ধীরে মাইক্রোসফটের এই সফল অগ্রযাত্রায় মাইলফলক হিসেবে আমরা উপহার পেলাম অনেকগুলো অপারেটিং সিস্টেমের। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হচ্ছে- উইন্ডোজ ৯৫, উইন্ডোজ ৯৮, উইন্ডোজ ২০০০, উইন্ডোজ মিলেনিয়াম (এমই), উইন্ডোজ নিউ টেকনোলজি (এনটি), উইন্ডোজ এক্সপি (এক্সপেরিয়েন্স) ও উইন্ডোজ ভিসতা।



বিশ্বব্যাপী বেশিরভাগ কমপিউটার ব্যবহারকারীর পিসিতে যে অপারেটিং সিস্টেমটি পাওয়া যাবে তা হচ্ছে উইন্ডোজ। তাই বলে লিনআক্স নামের মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম ও ম্যাক ওএস-এর চাহিদাও যে বাজারে কম তা বলা যাবে না। সাধারণ কমপিউটার ব্যবহারকারীদের বেশিরভাগেরই পছন্দের তালিকায় রয়েছে উইন্ডোজের নাম। উইন্ডোজ ৯৮ ও উইন্ডোজ এক্সপি হচ্ছে দুই সময়ের দুই সফল অপারেটিং সিস্টেম। উইন্ডোজ ৯৮-এর ব্যবহার এখন কিছুটা কমই বলা চলে কিন্তু উইন্ডোজ এক্সপির চল এখনো বেশ চাঙ্গা। এক্সপির পর বাজারে এসেছে ভিসতা। কিন্তু তা তেমন একটা সাফল্য লাভ করতে পারেনি। ভিসতা চালানোর জন্য হাই রিকোয়ারমেন্টের পিসির প্রয়োজনীয়তা এবং সফটওয়্যার সাপোর্টের দুর্বলতা ছাড়াও আরো অনেক কারণ ছিলো যা ভিসতার সাফল্যের পথে বাধা ছিলো। ভিসতার সব দুর্বলতা কাটিয়ে একে আরো হাল্কা, সুন্দর ও সাবলীল করে কমপিউটার ব্যবহারকারীদের হাতে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে মাইক্রোসফট একটি উদ্যোগ নেয় এবং তা হচ্ছে তাদের নতুন উইন্ডোজ, যার নাম উইন্ডোজ সেভেন। নতুন এই উইন্ডোজটিকে তারা ভিসতার সফল রূপ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এবং চিন্তা করছেন এই উইন্ডোজের ফলে তারা আবার তাদের আগের সুনাম ধরে রাখতে সফলকাম হবেন। ভিসতার কারণে উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের মাঝে যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল, উইন্ডোজ সেভেন সেই অসন্তোষ সন্তোষে পরিবর্তন করে দেবে বলে মাইক্রোসফটের কর্মকর্তাদের বিশ্বাস। এখন দেখা যাক কিসের ভিত্তিতে তারা এই কথা ভাবছেন অর্থাৎ তারা এমন কি নতুন সুবিধা যোগ করেছেন উইন্ডোজ সেভেনে, যা ব্যবহারকারীদের মনকে আকৃষ্ট করবে। উইন্ডোজ সেভেনে নতুন কি কি যোগ করা হয়েছে আর কি কি ফিচার বাদ দেয়া হয়েছে তা হচ্ছে আমাদের আজকের আলোচনার মূল বিষয়।

নামকরণ

‘উইন্ডোজ সেভেন নামটা কেমন যেনো, তাই না? কেনো এরকম একটা নাম বেছে নিলো মাইক্রোসফট? এই প্রশ্নটা সবার মনে জাগাটাই স্বাভাবিক। অনেকেই হয়তো ভাবছেন এটি মাইক্রোসফটের রিলিজ দেয়া ৭ম উইন্ডোজ, তাই তার নাম রাখা হয়েছে উইন্ডোজ সেভেন। তাই কি? আসুন দেখা যাক, আসলে কিসের ভিত্তিতে উইন্ডোজটির এই নাম রাখা হয়েছে। যদি উইন্ডোজের সিরিজের কথা চিন্তা করে সাজানো হয় তবে তালিকাটি হবে- ১. উইন্ডোজ, ২. উইন্ডোজ ২, ৩. উইন্ডোজ ৩, ৪. উইন্ডোজ ৯৫, ৫. উইন্ডোজ ৯৮, ৬. উইন্ডোজ এমই, ৭. উইন্ডোজ এক্সপি, ৮. উইন্ডোজ ভিসতা ও ৯. উইন্ডোজ সেভেন। নাহ! তাহলে তো এই আদলে নামকরণটা ঠিক হচ্ছে না। কারণ এই তালিকা অনুযায়ী উইন্ডোজ সেভেনের নাম উইন্ডোজ নাইন হবার কথা, তাই নয় কি? আসলে উইন্ডোজের ভার্সনের তালিকা করা হয়েছে তাদের NT Kernel-এর ভার্সনের ওপরে ভিত্তি করে। এই তালিকা অনুযায়ী সাজালে- ১. NT ৩.৫১, ২. NT ৪.০, ৩. ২০০০ = NT ৫.০, ৪. XP = NT ৫.১, ৫. Vista = NT ৬.০ এবং ৬. ৭ = NT ৭.০। নিউ টেকনোলজি কারনেল ভার্সন ৭-এর কারণে এর নাম দেয়া হয়েছে উইন্ডোজ সেভেন।

উইন্ডোজ সেভেনের আগমন

মাইক্রোসফটের একটি অপারেটিং সিস্টেমভিত্তিক প্রজেক্ট যার নাম ব্ল্যাককম্ব। এই উইন্ডোজটির উন্নতি করা হচ্ছিল তৎকালীন বাজারে বিদ্যমান উইন্ডোজ এক্সপি ও উইন্ডোজ সার্ভার ২০০৩ কে আরো ভালো রূপ দিতে। ব্ল্যাককম্বের কাজ বেশ ভালোই এগিয়ে ছিলো কিন্তু তার মাঝে রিলিজ করা হয় নতুন আরেকটি উইন্ডোজ, যার নাম ছিলো লংহর্ন। লংহর্নকে বলা হয় ভিসতার প্রি-রিলিজ ভার্সন। এতে ব্ল্যাককম্বের বেশ কিছু ফিচার ছিলো। কিন্তু এই প্রজেক্ট পুরোপুরি বাস্তবে পরিণত হবার আগেই উইন্ডোজ কিছু ভাইরাস আক্রমণের শিকার হয়, ফলে ভিসতার রিলিজের সময়কাল পিছিয়ে যায়। ২০০৬ সালে ব্ল্যাককম্ব প্রজেক্টটির কোডনেম বদলে রাখা হয় ভিয়েন্না এবং ২০০৭ সালে ভিয়েন্নার নাম রাখা হয় উইন্ডোজ সেভেন। উইন্ডোজ সেভেনের প্রথম রিলিজ হয় ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে যার বিল্ড (Build) নম্বর ছিলো ৬৫১৯। এখন বাজারে উইন্ডোজ সেভেনের বিল্ড ৭০২২ ভার্সনটি পাওয়া যাচ্ছে। মূল উইন্ডোজ সেভেন ২০০৯ সালের মাঝামাঝি বা ২০১০ সালের প্রথম দিকে বাজারে আসতে পারে বলে এর নির্মাতারা ঘোষণা দিয়েছেন।



উইন্ডোজ সেভেনে বাদ দেয়া ফিচারসমূহ

নববর্ষের প্রথম দিনে দোকানিরা চালু করে হালখাতা। তাতে পুরনো সব হিসেব নিকেশ চুকিয়ে নেয় বা বাকির তালিকায় থাকা ছোটখাটো হিসেব বাদ দিয়ে আবার নতুন করে খাতা লেখা হয়। তাই বলে ভারি রকমের বাকির বোঝা কিন্তু বাদ দেয়া হয় না। ঠিক সেরকমভাবেই উইন্ডোজ সেভেনে পুরনো কিছু ছোটখাটো অপশন বাদ দিয়ে দেয়া হয়েছে এবং তার স্থানে নতুন কিছু অপশন যোগ করা হয়েছে। এখানে কিছু প্রোগ্রামের তালিকা দেয়া হলো যেগুলো উইন্ডোজ ভিসতায় ছিল কিন্তু উইন্ডোজ সেভেনে তা বাদ দেয়া হয়েছে। বাদ দেয়া শেল (Shell) ফিচারগুলোর মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে- ক্ল্যাসিক স্টার্ট মেনু ইউজার ইন্টারফেস, মিডিয়া প্লেয়ারের মিনি প্লেয়ার অপশন, স্টার্ট মেনুতে ডিফল্ট হিসেবে থাকা ইন্টারনেট ব্রাউজার ও ই-মেইল ক্লায়েন্ট পিনআপ আইকন, টাস্কবারে প্রোগ্রামগুলো একের পর এক সাজিয়ে গ্রুপিং করা, আগে টাস্কবার বাটনে গ্রুপিংয়ের ক্ষেত্রে কয়টি উইন্ডো খোলা আছে তার সংখ্যা দেখাতো, এখন তা দেখাবে না, টাস্কবারের নেটওয়ার্ক অ্যাক্টিভেশন অ্যানিমেশন আইকন, অ্যাডভান্সড সার্চ বিল্ডার ইউজার ইন্টারফেস ইত্যাদি। মিডিয়া প্লেয়ারে বাদ দেয়া কিছু অপশনের তালিকায় রয়েছে- অ্যাডভান্সড ট্যাগ এডিটর, অ্যালবাম আর্ট পেস্টিং, সদ্য যোগ করা অটো প্লেলিস্ট। চোখে পড়ার মতো বাদ দেয়া প্রোগ্রামের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হচ্ছে- উইন্ডোজ ফটো গ্যালারি, উইন্ডোজ মুভি মেকার, উইন্ডোজ মেইল, উইন্ডোজ ক্যালেন্ডার, উইন্ডোজ সাইডবার ইত্যাদি। এগুলো মাইক্রোসফটের ওয়েবসাইট থেকে উইন্ডোজ এডিশনাল প্রোগ্রাম হিসেবে ডাউনলোড করা যাবে। এছাড়াও আরো কিছু বাতিলের তালিকায় থাকা প্রোগ্রামের মধ্যে রয়েছে- অরোরা, উইন্ডোজ এনার্জি ও উইন্ডোজ লোগো নামের স্ক্রিনসেভার, উইন্ডোজ ডিফেন্ডারের সফটওয়্যার এক্সপ্লোরার, উইন্ডোজ মিটিং স্পেস, রিমুভেবল স্টোরেজ মিডিয়া, ইঙ্কবল নামের গেমস, অনস্ক্রিন কীবোর্ডের নিউমেরিক কীপ্যাড, মাইক্রোসফট এজেন্ট ২.০ টেকনোলজি, উইন্ডোজ আল্টিমেট এক্সট্রাসসহ আরো অনেক কিছু।

নতুন যোগ করা অপশনসমূহ : উইন্ডোজ সেভেনে সংযোজিত উল্লেখযোগ্য নতুন কিছু প্রোগ্রামের মাঝে রয়েছে- টাচ, স্পিচ ও হ্যান্ড রাইটিং রিকগনিশন বা শনাক্তকরণ ব্যবস্থা, ভার্চুয়াল হার্ডড্রাইভ সমর্থন, নতুন কিছু ফাইল ফরম্যাট সাপোর্ট, মাল্টি কোরের প্রসেসরের পারফরমেন্স বৃদ্ধির জন্য উন্নত ব্যবস্থা, দ্রুত বুট করা, কারনেলের উন্নতিকরণ ইত্যাদি সুবিধা।

বাকি নতুন অপশনগুলো আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হলো-

ইউজার ইন্টারফেস :

উইন্ডোজ সেভেনে রাখা হয়েছে ভিসতার উইন্ডোজ অ্যারো নামের ইউজার ইন্টারফেস ও ভিজ্যুয়াল স্টাইল। কিন্তু উইন্ডোজ অ্যারোর বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে যা আরো বেশি ইউজার ফ্রেন্ডলি। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় যে সুবিধাটি দেয়া হয়েছে তা হচ্ছে নিম্নমানের হার্ডওয়্যার কনফিগারেশনেও এই ইউজার ইন্টারফেসটি চলবে, যা কিনা ভিসতার ক্ষেত্রে হতো না। এমনকি পুরনো ইন্টেল জিএমএ (Intel GMA) চিপেও অ্যারোর থ্রিডি ডেস্কটপের ডিসপ্লে হবে কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই।

উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার :

উইন্ডোজ সেভেনে উইন্ডোজ এক্সপ্লোরারে যুক্ত করা হয়েছে কিছু নতুন ফিচার। তার মধ্যে লাইব্রেরি নামের ফিচারটি অন্যতম। লাইব্রেরি নামের ফিচারটি হচ্ছে একপ্রকার ভার্চুয়াল ফোল্ডার, যাতে নানা জায়গা থেকে আলাদা আলাদা ফাইল, যেমন- ডকুমেন্ট, মিউজিক, পিকচারস, ভিডিও ইত্যাদি এনে তা তালিকা করে রাখা যায়। এই লাইব্রেরি স্টার্ট মেনুতে রাখা যাবে। এই লাইব্রেরির জন্য রয়েছে আলাদা সার্চ করার ব্যবস্থা। এছাড়া উইন্ডোজ সেভেনের উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার উইন্ডোজ ভিসতার চেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন।

টাস্কবার :

উইন্ডোজে টাস্কবারের প্রথম আবির্ভাব ঘটে উইন্ডোজ ৯৫-এর মধ্য দিয়ে। উইন্ডোজে টাস্কবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উইন্ডোজ সেভেনের টাস্কবারে তাই আনা হয়েছে নতুন বৈচিত্র্য। ভিসতার টাস্কবারের চেয়ে এটি দেখতে অনেক সুন্দর ও ভিসতার টাস্কবারের চেয়ে সেভেনের টাস্কবার ১০ পিক্সেল লম্বা। টাস্কবার একটু লম্বা রাখার কারণ হচ্ছে যাতে টাচ স্ক্রিন কমান্ড দিতে কোনো সমস্যা না হয়। টাস্কবারের একেবারে বামে রয়েছে গোলাকার স্টার্ট বাটন, তার পাশে পর্যায়ক্রমে রয়েছে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার ও মিডিয়া প্লেয়ারের আইকন। এতে সিঙ্গেল কলামের ক্ল্যাসিক স্টার্ট মেনু আনার ব্যবস্থা রাখা হয়নি। নতুন এই টাস্কবারে ক্যুইক লঞ্চ অপশনটি ও মিডিয়া প্লেয়ারকে স্টার্টবারের সাথে সংযুক্ত করার ব্যবস্থাটি বাদ দেয়া হয়েছে। তার বদলে টাস্কবারে নিজের ইচ্ছেমতো প্রোগ্রাম পিন করে রাখা যাবে। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার দিয়ে কোনো কিছু ডাউনলোড করলে বা কোনো কিছু কপি করতে কি হারে ডাটা ট্রান্সফার হচ্ছে তা টাস্কবারের ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার বা উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার আইকনে দেখা যাবে।

কোনো প্রোগ্রাম চালালে যেমন কোনো ওয়ার্ড ফাইলে কাজ করার সময় তা টাস্কবারে লম্বা আকারে ফাইলটির নামসহ দেখাতো কিন্তু উইন্ডোজ সেভেনে তা স্কয়ার বক্সে ওয়ার্ড ফাইলের আইকন হিসেবে দেখাবে। টাস্কবারে রাখা আইকনগুলোতে মাউসে কার্সর নিলে থাম্বনেইলস ভিউতে একটি বক্সে দেখাবে। একইরকমের অর্থাৎ যদি ৩টি ওয়ার্ড ডকুমেন্ট একসাথে খুলে রাখেন তবে থাম্বনেইলস ভিউতে ৩টি ফাইল আলাদাভাবে দেখাবে এবং যার ওপরে ক্লিক করা হবে সেই ডকুমেন্টটি খুলবে। এমনকি মিডিয়া প্লেয়ারে চলমান কোনো গানকে থাম্বনেইলস ভিউ থেকে কন্ট্রোল করা যাবে।

টাস্কবারে থাকা কোনো আইকনের ওপরে রাইট ক্লিক করলে জাম্প লিস্ট পাওয়া যাবে। ওয়ার্ড ডকুমেন্টের জাম্প লিস্টের ক্ষেত্রে পুরনো আর কোন কোন ডকুমেন্ট নিয়ে কাজ করা হয়েছে তা দেখাবে। উইন্ডোজ এক্সপ্লোরারের ক্ষেত্রে যেসব ফোল্ডার আপনি বেশি ব্যবহার করে থাকেন তার একটি তালিকা দেখাবে। মিডিয়া প্লেয়ারের ক্ষেত্রে পছন্দের গানগুলোর তালিকা এবং প্লেলিস্ট দেখাবে, এতে করে খুব দ্রুততার সাথে আপনি আপনার কাজগুলো সম্পাদন করতে পারবেন। ইন্টারনেট এক্সপ্লোয়ারে রাইট ক্লিক করে আপনি সম্প্রতি ভিজিট করা ওয়েবসাইটগুলোর হিস্টরি দেখতে পারবেন। উইন্ডোজ লাইভ মেসেঞ্জারের জাম্প লিস্টে আপনি পাবেন ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং, সাইনিং অফ ও চেঞ্জিং অনলাইন স্ট্যাটাস অপশনগুলো।

উইন্ডোজের আগের ভার্সনগুলোতে টাস্কবারে শো ডেস্কটপ নামের আইকনটি থাকতো ক্যুইক লঞ্চে। কিন্তু উইন্ডোজ সেভেনে তা রাখা হয়েছে একেবারে ডানপাশে, যা হঠাৎ করে দেখে বোঝার উপায় নেই যে তা একটি আইকন। টাস্কবারের একেবারে ডানে শো ডেস্কটপে মাউস কার্সর নিলে ডিসপ্লেতে যত প্রোগ্রাম রয়েছে তার সব ট্রান্সপারেন্ট হয়ে ডেস্কটপটি দেখাবে এবং ক্লিক করলে ডেস্কটপে চলে যাবে। টাস্কবারের ডান পাশে রয়েছে নোটিফিকেশন এরিয়া যাতে উইন্ডোজের নানারকম সমস্যা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ মেসেজগুলো দেখাবে।

উইন্ডো ম্যানেজমেন্ট :

উইন্ডোর টাইটেলবারে মাউস ক্লিক করে তা কাঁপিয়ে বড়-ছোট করা যাবে অথবা আগের মতো ডবল ক্লিক করেও ছোট-বড় করা যাবে। টাইটেল বার বানানো হয়েছে খুবই স্বচ্ছ করে তাই পেছনের ব্যাকগ্রাউড স্পষ্ট দেখা যাবে। বেটা ভার্সনে প্রতিটি উইন্ডোর টাইটেল বারে ডান কোনায় মিনিমাইজ, ম্যাক্সিমাইজ ও ক্লোজ বাটনের পাশে ফিডব্যাক লিঙ্ক রয়েছে। এতে ক্লিক করে উইন্ডোজের নতুন প্রোগ্রাম, ভিজ্যুয়াল স্টাইল, গেমস ইত্যাদির ব্যাপারে আপনার মতামত লিখে বা তারকা চিহ্ন দিয়ে রেটিং করে তা মাইক্রোসফটের কাছে পাঠাতে পারবেন।

অন্যান্য সুবিধা :

ডেস্কটপে ওয়ালপেপার স্লাইড শো করার ব্যবস্থা রয়েছে, এতে নির্দিষ্ট সময় পর পর ওয়ালপেপার বদলে যাবে। উইন্ডোজ মিডিয়া সেন্টারে যোগ করা হয়েছে আরো নতুন কিছু অপশন যা আগে ছিল না। উইন্ডোজ সেভেন আরো অনেক রকমের ফাইল ফরম্যাট সাপোর্ট করবে তার মধ্যে অন্যতম কয়েকটি হচ্ছে- MP4, MOV, 3GP, AVCHD, ADTS, M4A ও WTV মাল্টিমিডিয়া কন্টেনার ইত্যাদি। এতে আলাদা করে কোনো কোডেক ইনস্টল করা প্রয়োজন পড়বে না, কারণ এতে H.264, MPEG4-SP, ASP, DivX, Xvid, MJPEG, DV, AAC-LC, LPCM, AAC-HE ইত্যাদি কোডেক দেয়া আছে। এতে দেয়া হয়েছে নতুন ফন্ট গ্র্যাব্রিওলা। ওয়ার্ডপ্যাডে অফিস ওপেন এক্সএমএল (XML) ও ওডিএফ (ODF) ফরম্যাটেও ফাইল সেভ করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

উইন্ডোজ সেভেনকে মূলত বানানো হয়েছে পারসোনাল কমপিউটারে ব্যবহার করার জন্য অর্থাৎ ঘরের বা অফিসের ডেস্কটপে, ল্যাপটপে, ট্যাবলেট পিসিতে, নেটবুকে বা মিডিয়া সেন্টার পিসিতে ব্যবহার করার জন্য। মজার ব্যাপার হচ্ছে উইন্ডোজ সেভেন চালাতে ভিসতা চালানোর মতো হাই কনফিগারেশনের পিসির দরকার নেই। ১ গিগাহার্টজের প্রসেসর ও ৫১২ মেগাবাইট র্যানম হলেই চালানো যাবে উইন্ডোজ সেভেন। বেটা ভার্সনটি ব্যবহার করে যাচাই করে দেখতে পারেন নতুন এই উইন্ডোজটি।

তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ