২০০৮ সালের আগে ও Pendrive বললে এর কাজটা কি তা আগে বলতে হত সবাইকে।কিন্তু সেই Pendrive যেন আজ কম্পিউটারের একটি গুরুত্বপুর্ণ অংশ।এটি ছাড়া আজকাল কম্পিউটারের কাজ হয়না বললেই চলে।কিন্তু এটি যেমন উপকারী তেমনি আবার উজারের মাথাব্যাথার কারণ ও হয়।কারণ এটির বিরুদ্ধে ২ টি অভিযোগ প্রায় সবাই করে।যেমন:১.এটি নস্ট হয়ে যায় বা সাইজ কমে যায় ২.ভাইরাস ছড়াই। ১ম অভিযোগটা কম হলেও ২য় সমস্যায় পড়েনি এরকম ব্যবহারকারী মনে হয় খুব কম।একজন ইউজার সতর্ক হলে কিন্তু এই সমস্যাগুলো থেকে পরিত্রাণ পাওয়া মোটেও অসম্ভব নয়।সমস্যা ২টি নিয়ে নিচে আলোচনা করছি।
১.সমস্যা:এই সমস্যাটা কিছুটা কারিগরি ত্রুটির কারণে হয়,বাকিটা ইউজারের অসতর্কতার কারণে হয়। Pendrive পিসিতে ঢুকালে ডানপাশের নিচের কোণায় একটি চিহ্ন আসে এবং Pendrive এর লাইটটি জ্বলে উঠে এটি সবাই জানে। কম্পিউটার ও মেসেজ দিয়ে জানিয়ে দেয় সে একটি USB পেয়েছে।কাজ শেষ করার পর আবার সেই ডানপাশের নিচের কোণার চিহ্নটিতে ক্লিক করলে safely remove USB mass storage device লেখাটি আসে এবং এতে ক্লিক করলে safe to remove hardware লেখার আরেকটি মেসেজ আসে। Pendrive এর লাইটটি ও তখন নিভে যায়।আপনি তখন Pendrive টিও নিরাপদে পিসি থেকে খুলে নিতে পারেন।(অবশ্য right button করে properties এ গিয়ে ও খুলতে পারেন। কিন্তু‘ safe to remove hardware লেখাটি না এসে যদি The device Generic volume cannot be stopped right now.Try stopping the device again later এরকম সতর্ক মেসেজ আসে তাহলে সতর্ক হোন।ভুলে ও তখন Pendrive টি খুলতে যাবেননা।তাহলে ১ম সমস্যাটা ঘটতে পারে আপনার ভুলের জন্য।এই অবস্থায় দেখুন আপনার কম্পিউটার Pendrive এর কোন ফাইল ব্যাবহার করছে কিনা।প্রয়োজনে সব প্রোগ্রাম বন্ধ করে আবার চেস্টা করুন।আবার ও যদি কম্পিউটার ঐধরনের মেসেজ দেয় তাহলে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন আপনার Pendrive এ কোন ভাইরাস ঢুকার চেষ্টা করছে কিংবা তাতে আগে থেকে ভাইরাস ঢুকে আছে এবং তা কম্পিউটারে কাজ করছে ।তাই আপনি Pendrive টি খুলতে চাইলে আপনাকে ভাইরাসটিই stop করতে হবে 1My Computer এ গিয়ে Pendrive টি খুলুন।ভাইরাসটি চিহ্নিত করুন।(ভাইরাস সম্পর্কে ২নং সমস্যায় আলোচনা হবে)এখনTask Manager>Processএ গিয়ে দেখুন ঐ নামটি আছে কিনা যেটি আপনি ভাইরাস হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।থাকলে তার Processe বন্ধ করে দেন।যতটা পাবেন ততটাই বন্ধ করে দিন।প্রয়োজনে Explorer.exe বন্ধ করে আবার File>New Task এ গিয়ে Explorer লেখে ওকে করুন।
এসব চেস্টা করার পরও যদি ঐ মেসেজটি আসে তাহলে কম্পিউটার বন্ধ করেই Pendrive টি পিসি থেকে খুলুন।কারণ ঐ মেসেজটি অমান্য করা মানে আপনার Pendrive টি ১ নং সমস্যায় পড়া।সুজা কথা Pendrive এর লাইট বন্ধ না হলে আপনার Pendrive টি পিসি থেকে খুলা মোটেও নিরাপদ নয়।অনেক সময় পিসির USB পোর্টের সমস্যা থাকলেও Pendrive এর লাইট বন্ধ হয়না।সেক্ষেত্রে ও আপনাকে শেষ প্রচেষ্টা হিসেবে কম্পিউটার বন্ধ করে Pendrive টি খুলতে হবে।আপনার একটু সতর্কতা যদি আপনার ডিভাইসটি বাঁচিয়ে দেয় তাহলে অহেতুক রিস্ক নিবেন কেন?
২.ভাইরাস: প্রথমে ভাইরাস নিয়ে একটু আলোচনা।ভাইরাসের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হল *এটি প্রায় হিডেন থাকে,*এগুলো সবসময় .exe এক্সেটেন্শনযুক্ত হয়,(Autorun.inf কিন্তু ভাইরাস নয়।ভাইরাস এবং ইউজার ২ জনই একে নিজেদের কাজে ব্যাবহার করে।ভাইরাস যখন নিজের কাজে ব্যাবহার করে তখন হয়ত একে ভাইরাসের সাহায্যকারী বলা যাবে)*এগুলো অনেক সময় কম্পিউটারের সিস্টেম ফাইলের মত বা অতি পরিচিত নাম ব্যাবহার করে যাতে আপনি একে ভাইরাস মনে না করেন।যেমন:explore.exe,svchost32.exe।(সিস্টেম ফাইলগুলোর নাম হল explorer.exe,svchost.exe)*এটি কম্পিউটারে নিজে নিজে কপি ও সেটআপ হতে পারে।(অবশ্য এটা ঘটে যদি কম্পিউটারে Autorun অন করা থাকে আর Pendrive দেওয়ার সাথে সাথে Pendrive অটোরান হয় কিংবা কম্পিউটার বুট হওয়ার সময় Pendrive পিসিতে লাগানো থাকে।সুতরাং এ২টা কাজ এড়িয়ে চলুন) (আজকাল কিছু কিছু ভাইরাস কোন এক্সটেনশন ছাড়াই হয় এবং তা হিডেন থাকে ফোল্ডারের মত হয়ে)।মূল আলোচনায় আসি।
ধরে নিলাম আপনার পেন্ড্রাইভে ভাইরাস আছে।অনেকে তখন ফরমেট করে।আজ থেকে ফরমেট করা বন্ধ করে দিন।পারলে কেনার পর (যদি ফরমেট করা না থাকে)একবার ছাড়া পেন্ড্রাইভকে কখনো ফরমেট করবেননা।এতে ১নং সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন,ডিভাইসটি ও স্পিড হারাবেনা। Pendrivটি ঢুকানোর আগে অটোরান বন্ধ করে দিন।এজন্য রান এ গিয়ে gpedit.msc লেখে ওকে করুন।যে উইন্ডোটি আসবে তার বাম পাশে User Configurationএর+চিহ্নটিতেclick করুন।এরপরadministrative>system এর উপর।তখন ডানপাশে Turn off Autoplayলেখাটি দেখা যাবে।ওখানে ডাবল ক্লিক করে Enable optionটি দিন এবার drop down menuথেকেAll Drives select করে OKদিন।এবারMy Computer>Tools>Folder Option>Vew>Show hidden files and folder এ চেক মার্ক দিন।অনেক সময় এই অপশনটি ভাইরাসের কারণে কাজ করেনা।তাই ওকে করার পর প্রয়োজনে আবার দেখুন ওকে আছে কিনা।তারপর Hide extension for known file types এবং Hide protected operating system fileএর টিক চিহ্নটি তুলে দিন(Yes,No কমান্ড আসলেYesদিন।)
কাজগুলো করার পর Pendriveঢুকান।এরপর Explorerথেকে My Computerএ যান এবংPendriveটি খুলুন।কখনো ডাবল ক্লিক বা অপেন থেকে Pendriveখুলবেন না।Drop down Menu বা প্রয়োজনে Explorer থেকে খুলুন।এখন দেখুন .exe এক্সেটেন্শনযুক্ত কোন ফাইল আছে কিনা।থাকলে ওটাই ভাইরাস।কারণ আপনি .exe এক্সেটেন্শনযুক্ত কোন ফাইল আপনি ওখানে ঢুকাননি।তাই এটি থাকার কথা নয়।আর ঢুকালে তার নাম নিশ্চয় আপনি জানেন।তাই আপনারটা ছাড়া অর্থাৎ আপনি যেগুলো পেনড্রাইভে ঢুকাননি সেসবগুলো ভাইরাস।এগুলোর সাথে Autorun.inf ফাইলটাও থাকতে পারে।এইটা সহ সব ভাইরাস একটা একটা করে ডিলিট করে দিন।ভুলেও ওগুলো ওপেন করবেননা।যদি ডিলিট হয় তাহলে ভাল আর যদি ডিলিট হবেনা বা হচ্ছেনা এরকম মেসেজ আপনি পান তাহলে ১ নং এর নিয়মগুলো ফলো করে ভাইরাসটা স্টপ করে তারপর ডিলিট করার চেস্টা করুন।ব্যর্থ হলে ১ নং এর নিয়ম ফলো করে Pendrive টি খুলে ফেলুন এবং যথানিয়মে অন্য একটি কম্পিউটারে ভাইরাসগুলো আপনি ডিলিট করতে পারেন।এই কম্পিউটারে হচ্ছেনা কারণ ভাইরাসগুলো দ্বারা আপনার উইন্ডোজটি আক্রান্ত হয়েছে এবং তা একটিভ আছে।আর যদি.exe এক্সেটেন্শনযুক্ত কোন ফাইল আপনি না দেখেন তাহলে আপনার ডিভাইসটিতে কোন ভাইরাস নেই।
এভাবে ভাইরাস দূর করা গেলে ফরমেট বা এন্টিভাইরাস কি জন্য দরকার? তবে উইন্ডোজে ভাইরাস থাকলে (প্লাগ এন্ড প্লে হওয়ায়)পেনড্রাইভে তা ঢুকতে পারে।
শুধু পেনড্রাইভ নয় মেমোরিকার্ড বা এরকম সব ডিভাইসের জন্য লেখাটি কাজে আসবে।আমি নিশ্চিন্তে পেনড্রাইভ ব্যবহার করি এভাবে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment