Sunday, April 4, 2010

র‌্যাম এর ইতিবৃত্ত





তথ্যপ্রযুক্তির বর্তমান বিশ্বে মানুষের জীবনে কম্পিউটার প্রয়োজনীয় একটি যন্ত্র হিসেবে বিবেচিত৷ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের স্বাভাবিক কর্মকান্ড থেকে শুরু করে সর্বাধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রতিটি ক্ষেত্রে কম্পিউটারের বিকল্প নেই৷ কম্পিউটারের অন্যতম প্রধান অংশ হচ্ছে মেইন মেমোরি৷ মেইন মেমোরি হিসেবে র‌্যামের গুরুত্ব অপরিসীম৷
র‌্যান্ডম এক্সসে মেমোরি বা র‌্যাম হচ্ছে সবচেয়ে পরিচিত কম্পিউটার মেমোরি৷ র‌্যাম'কে 'র‌্যান্ডম এক্সসে' বলা হয়, কারণ ইহা কোন মেমোরি সেলকে কোন রো এবং কলাম ছেদ করেছে জানতে পারলে, সরাসরি উক্ত সেলকে ব্যবহার করতে পারে৷
সিরিয়াল এক্সসে মেমোরি বা স্যাম যা র‌্যামের বিপরীত৷ ইহা ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি সেলে ডাটা স্টোর করে এবং ধারাবাহিকভাবে উক্ত ডাটাগুলোকে এক্সসে করে৷ যদি কোন ডাটা উল্লেখিত জায়গাতে না পাওয়া যায়, তাহলে প্রত্যেকটি মেমোরি সেলকে ধারাবাহিকভাবে খোঁজা হয়৷ মেমোরি বাফার, (যেখানে ডাটাকে ব্যবহারের ক্রমানুসারে রাখা হয় যেমন- ভিডিও কার্ডের টেক্সার বাফার) হিসাবে স্যাম খুবই কার্যকর৷ বিপরীতক্রমে র‌্যাম যেকোনো সেল থেকে ডাটা এক্সসে করতে পারে৷
মাইক্রোপ্রসেসরের মত মেমোরি চিপ ও কোটি কোটি ট্রানজিস্টর ও ক্যাপাসিটর নিয়ে গঠিত একটি ইন্টগ্রেটেড সার্কিট৷ বহুল ব্যবহৃত কম্পিউটার মেমোরি হচ্ছে ডাইনামিক র‌্যান্ডম এক্সসে মেমোরি, যার প্রতিটি মেমোরি সেল একটি ট্রানজিস্টর ও একটি ক্যাপাসিটর এর জোড়া দ্বারা গঠিত৷ একটি মেমোরি সেল এক বিট ডাটা স্টোর করতে পারে৷ ক্যাপাসিটর একটি '০' এবং '১' এক বিট ডাটা স্টোর করে৷ ট্রানজিস্টর একটি সুইচ হিসেবে কাজ করে, যা মেমোরি চিপের কন্ট্রোল সার্কিটের মাধ্যমে ক্যাপাসিটরের ডাটা রিড করে বা এর অবস্থার পরিবর্তন সাধন করে৷
ক্যাপাসিটর একটি ছোট ঝুড়ির মত যা ইলেকট্রন স্টোর করতে পারে৷ মেমোরি সেলে একটি '১' স্টোর করার জন্য উক্ত ঝুড়িতে ইলেকট্রন রাখতে হয়৷ তবে সমস্যা হল ক্যাপাসিটরের ঝুড়িতে একটি ছিদ্র আছে, ফলে কয়েক মিলিসেকেন্ড পরে পূর্ণ ঝুড়ি ফাঁকা হয়ে যায়৷ এ কারণে ডাইনামিক মেমোরিকে কর্মপযোগী করার জন্য সিপিইউ বা মেমোরি কন্ট্রোলারকে সবগুলো ক্যাপাসিটরকে ১ ধরে রাখার জন্য চার্জ ফুরানোর পূর্বেই রিচার্জ করতে হয়৷ এই লক্ষ্যে মেমোরি কন্ট্রোলার মেমোরি রিড করে এবং পূনরায় তা রাইট করে৷ এই রিফ্রেস কর্মকান্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেকেন্ডে কয়েক হাজার বার ঘটে৷ ডাইনামিক র‌্যামে এই রিফ্রেস কার্যক্রম ডাইনামিকালি কিছুক্ষণ পর পর ঘটে না হলে রক্ষিত ডাটাগুলো মুছে যাবে৷ এই রিফ্রেস কার্যক্রমের একটি অসুবিধা হল ইহা মেমোরিকে খুব ধীরগতির করে দেয়৷

মেমোরি সেল ও ডির‌্যাম
মেমোরি সেলগুলো কলাম (বিটলাইন) এবং রো (ওয়ার্ডলাইন) আকারে সিলিকন ওয়েফার এর মত একে আপরের সাথে লাগানো থাকে৷ বিটলাইন ও ওয়ার্ডলাইন যে স্থানে মিলিত হয়, সেটাই ঐ মেমোরি সেল এর এড্রেস৷
ডির‌্যাম উপযুক্ত কলামের মধ্য দিয়ে চার্জ পাঠিয়ে কলামের প্রতিটি বিটের ট্রানজিস্টরকে সক্রিয় করে৷ রাইট করার সময় রো লাইনে ক্যাপাসিটরের বর্তমান অবস্থাকে বিবেচনায় নেওয়া হয়৷ রিড করার সময় সেন্স এপ্লিফায়ার ক্যাপাসিটরের চার্জের মাত্রা পরিমাণ করে৷ যদি মাত্রাটা ৫০ শতাংশের বেশি হয় তবে ইহা '১' রিড করে, না হলে '০' রিড করে৷ একটি কাউন্টার কোন রো কিভাবে এক্সসে করা হল সেই রিফ্রেস সিকোয়েন্স মনে রাখে৷ এই কাজটি সম্পূর্ণ করতে কয়েক ন্যানো সেকেন্ড সময় লাগে৷ ৭০ ন্যানো সেকেন্ড রেটিং এর একটি মেমোরি চিপ প্রতিটি সেল অসম্পূর্ণ রিড ও রিচার্জ করতে ৭০ ন্যানো সেকেন্ড সময় নেয়৷
মেমোরি সেলগুলো ইনফরমেশন গ্রহণ করা ও প্রদান করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না৷ তাই এর কাজ হচ্ছে আরেকটি স্পেশাল সার্কিটকে সাপোর্ট দেয়া৷ উক্ত সার্কিটের কাজগুলো নিম্নরূপ :
* প্রত্যেকটি রো এবং কলাম চিহ্নিত করা (রো অ্যাড্রেস ও কলাম অ্যাড্রেস)
* রিফ্রেস সিকোয়েন্স ধারণ করা (কাউন্টার)
* প্রতিটি সেল এর সিগনাল রিড করা এবং রিস্টোর করা (সেন্স এম্প্লিফায়ার)
* কোন সেল-এর চার্জ লাগবে কিনা সেটা জানানো (রাইট)৷
মেমোরি কন্ট্রোলারের অন্যান্য কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে : মেমোরির ধরণ, স্পিড ও পরিমাণ নির্ণয় করা এবং এরর নির্ণয় করা৷

স্ট্যাটিক র‌্যাম
স্ট্যাটিক র‌্যাম পুরোপুরি আলাদা ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে৷ এতে মেমোরি হিসেবে ফ্লিপ-ফ্লপ ব্যবহার করা হয়৷ ফ্লিপ-ফ্লপ প্রতিটি মেমোরি সেলের জন্য চারটি বা ছয়টি ট্রানজিস্টর ব্যবহার করে তবে রিফ্রেস করার দরকার হয় না৷ এ কারণে স্ট্যাটিক র‌্যাম ডাইনামিক র‌্যাম এর তুলনায় দ্রুততর৷ স্ট্যাটিক মেমোরি সেলে অনেকগুলো অংশ থাকার কারণে এর চিপ ডাইনামিক মেমোরি সেল এর তুলনায় অধিক স্পেস লাগে৷ ফলে প্রতিটি চিপে কম মেমোরি থাকে এবং ইহা অনেক ব্যয়বহুল হয়৷
স্ট্যাটিক র‌্যাম দ্রুততর ও ব্যয়বহুল কিন্তু ডাইনামিক র‌্যাম কম ব্যয়বহুল ও ধীরগতির, তাই স্ট্যাটিক র‌্যাম সিপিইউ'র দ্রুতগতির ক্যাশ মেমোরি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়৷ আর ডাইনামিক র‌্যাম বড় সিস্টেমের র‌্যাম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়৷
ডেক্সটপ কম্পিউটারের মেমোরি চিপগুলোতে ডুয়াল-ইনলাইন-প্যাকেজ নামক পিন কনফিগারেশন ব্যবহৃত হয়৷ এই পিন কনফিগারেশন কম্পিউটারের মাদারবোর্ডের একটি সকেটে লাগানো থাকে৷ র‌্যাম যদি কয়েক মেগাবাইট হয় তাহলে পদ্ধতিটি খুবই উপযোগী৷ তবে মেমোরি বাড়তে থাকলে মাদারবোর্ডের চিপের সংখ্যাও বাড়াতে হবে৷ আমরা যদি মেমোরি চিপকে অন্যান্য সকল উপকরণের সাথে একটি প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ডে লাগিয়ে মাদারবোর্ডের একটি স্পেশাল কানেক্টরে (মেমোরি ব্যাংক)-এ লাগাই তাহলে আর কোন সমস্যা থাকে না৷ অধিকাংশ চিপ স্মল-আউটলাইন-জে-লিড (এসওজে) পিন কনফিগারেশন ব্যবহার করে৷ তবে কিছু উত্‍পাদনকারী থিন-স্মল-আউটলাইন-প্যাকেজ সারফেস-মাউন্টেড অর্থাত্‍ পিনগুলো বোর্ডের গায়ে লাগানো থাকে৷
মেমোরি চিপগুলো কার্ডের অংশ বা মডিউল আকারে পাওয়া যায়৷ মেমোরি ৮*৩২ বা ৪*১৬ সংখ্যাগুলো দ্বারা তালিকা করা হয়৷ এই সংখ্যাগুলোর প্রথমটি চিপের সংখ্যা এবং দ্বিতীয়টি প্রত্যেকটি চিপের ধারণক্ষমতা বুঝায় (মেগাবিট)৷ এই সংখ্যা দুটি গুণ করে ৮ দিয়ে ভাগ করলে প্রত্যেকটি মডিউলের ধারণক্ষমতা মেগাবাইটে পাওয়া যাবে৷ উদাহরণস্বরূপ ৪*৩২ অর্থ হচ্ছে মডিউলে ৩২ মেগাবিটের ৪টি চিপ রয়েছে৷ মডিউলটির মোট ধারণক্ষমতা ৪*৩২=১২৮ মেগাবিট = ১৬ মেগাবাইট৷

র‌্যামের প্রকারভেদ
বিভিন্ন প্রকারের র‌্যামগুলো নিম্নরূপ:
এস র‌্যাম : স্ট্যাটিক র‌্যান্ডম একসেস মেমোরি প্রতিটি সেলে বহুসংখ্যক ট্রানজিস্টর ব্যবহার করে কিন্তু কোনো ক্যাপাসিটর লাগে না৷ এটা সাধারণত ক্যাশ-এ ব্যবহৃত হয়৷
ডির‌্যাম : ডাইনামিক র‌্যান্ডম এক্সসে মেমোরির মেমোরি সেলগুলো ট্রানজিস্টর ও ক্যাপাসিটরের জোড়া দ্বারা গঠিত৷ এতে নিয়মিত রিফ্রেসিং এর প্রয়োজন হয়৷
এফপিএম ডির‌্যাম : ফাস্ট পেজ মোড ডাইনামিক র‌্যান্ডম এক্সসে মেমোরি হচ্ছে আসল ডির‌্যাম৷ ইহা কলাম ও রো এক্সিেসং-এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ প্রসেস লোড করে৷ তারপর উক্ত বিট রিড করে৷ এল-২ ক্যাশ এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ট্রান্সফার রেট প্রতি সেকেন্ডে ১৭৬ মেগাবাইট৷
ইডিও ডির‌্যাম : এক্সটেন্ডেড ডাটা-আউট ডাইনামিক র‌্যান্ডম এক্সসে মেমোরি পরবর্তী বিটগুলো রিড করার জন্য প্রথম বিটের জন্য অপেক্ষা করে না৷ প্রথম বিটের এড্রেস চিহ্নিত হওয়ার পরই পরবর্তী বিটের খোঁজ করে৷ এটা এফপিএমের চেয়ে পাঁচ শতাংশ দ্রুততর৷ এল-২ ক্যাশ-এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ট্রান্সফার রেট প্রতি সেকেন্ডে ২৬৪ মোগাবাইট৷
এসডি র‌্যাম : সিনক্রোনাস ডাইনামিক র‌্যান্ডম এক্সসে মেমোরি বার্স্ট মোড এর ধারণা করে এর কার্যক্ষমতা অনেক বাড়ায়৷ ইহা নির্ধারিত রো-এর প্রতিটি কলামের বিটকে ধারাবাহিকভাবে রিড করে৷ ইহার ধারণা হচ্ছে সিপিইউ যে ডাটা ব্যবহার করে তা ধারাবাহিকভাবে স্টোর থাকে৷ এসডি র‌্যাম ইডিও র‌্যামের তুলনায় পাঁচ ভাগ দ্রততর৷ এল-২ ক্যাশ'র সর্বোচ্চ ট্রান্সফার রেট প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৫২৮ মেগাবাইট৷
ডিডিআর এসডির‌্যাম : ডাবল ডাটা রেট সিক্রোনাস ডাইনামিক র‌্যান্ডস এক্সসে মেমোরি এসডি র‌্যামের মতই তবে এর ব্যান্ডউইডথ অনেক বেশি৷ অর্থাত্‍ ইহা অনেক দ্রতগতির৷ এল-২ ক্যাশ-এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ট্রান্সফার রেট প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১০৬৪ মেগাবাইট (ডিডিআর এসডি র‌্যাম-এর ক্ষেত্রে ১৩৩ মেগাহার্জ)৷
আরডি র‌্যাম : র‌্যাম্বাস ডাইনামিক র‌্যান্ডম এক্সসে মেমোরি র‌্যাম্বাস-ইনলাইন-মেমোরি মডিউল (আরআইএমএম) ব্যবহার করে, যা আবার অনেক ছোট এবং ডিআইএমএম এর স্ট্যান্ডার্ড পিন কনফিগারেশন ব্যবহার করে৷ আরডি র‌্যাম র‌্যাম্বাস চ্যানেল নামক উচ্চগতির ডাটা বাস ব্যবহার করে৷ ইহার মেমোরি চিপগুলো এক যোগে কাজ করে ফলে ডাটা রেট ৮০০ মেগাহার্জ বা প্রতি সেকেন্ড ১৬০০ মেগাবাইট হয়৷ এর উচ্চগতির জন্য কাজ করার সময় অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়৷ এই অতিরিক্ত তাপ কমানোর জন্য র‌্যাম্বাস চিপগুলো লম্বা, সরু ওয়েফারের মত হিট স্প্রেডারের সাথে লাগানো হয়৷
ক্রেডিট কার্ড মেমোরি : ক্রেডিট কার্ড মেমোরি হচ্ছে ব্যক্তি মালিকানাধীন ডির‌্যাম মেমোরি মডিউল, যা নোটবুক কম্পিউটরের ব্যবহারের জন্য একটি স্পেশাল টে বসানো থাকে৷
পিসিএমসিআইএ মেমোরি কার্ড : এটাও নোটবুক কম্পিউটারে ব্যবহারের জন্য একটি ডির‌্যাম মডিউল৷ তবে এটি ব্যক্তি মালিকানাধীন নয়৷ ইহার মেমোরি কার্ডের কনফিগারেশন যে নোটবুক কম্পিউটারের সিস্টেম বাসের সঙ্গে মিলবে সেই কম্পিউটারেই এটি ব্যবহার করা যাবে৷
সিএমওএস র‌্যাম : সিএমওএস র‌্যাম খুবই ক্ষুদ্র আকারের মেমোরি যা কম্পিউটার ও অন্যান্য যন্ত্রে কিছু ইনফরমেশন স্টোর করে রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়৷ এই মেমোরি জন্য এর মেমোরি কনটেন্টগুলো রক্ষণাবেক্ষণের ছোট ব্যাটারী ব্যবহার করে৷
ভি র‌্যাম : ভিডিও র‌্যাম বা মাল্টিপোর্ট ডাইনামিক র‌্যান্ডম এক্সসে মেমোরি এমপি ডির‌্যাম এক প্রকার র‌্যাম যা শুধুমাত্র ভিডিও এডাপ্টার বা থ্রিডি এক্সিলারেটরে ব্যবহৃত হয়৷ ভির‌্যামের সাধারণত দুটি এক্সসে পোর্ট থাকে, যা দ্বারা সিপিইউ ও গ্রাফিক্স প্রসেসর একই সঙ্গে র‌্যাম ব্যবহার করতে পারে৷ ভির‌্যাম সাধারণত গ্রাফিক্স কার্ডে লাগানো থাকে৷ র‌্যামের আকারের উপর নির্ভর করে ডিসপ্লের রেজু্যলেশন ও কালার ডেপথ কত হবে৷ ভির‌্যাম গ্রাফিক্স সম্পর্কিত তথ্য যেমন- থ্রিডি জিওমেট্রি ডাটা ও টেক্সার ম্যাপ রাখতে ও ব্যবহৃত হয়৷ আসল অনেক পোর্ট সম্বলিত ভির‌্যাম অনেক ব্যয়বহুল৷ তাই বর্তমানে অধিকাংশ গ্রাফিক্স কার্ড এসজি র‌্যাম (সিনক্রোনাস গ্রাফিক্স র‌্যাম) ব্যবহার করে৷ দুইটার কার্যক্ষমতা প্রায় সমান তবে এসজি র‌্যাম তুলনামূলক সস্তা৷

মেমোরি মডিউল
গত কয়েক বছরে ডেস্কটপ কম্পিউটারে ব্যবহৃত র‌্যামের বোর্ড ও কানেক্টরের ধরনে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে৷ প্রথম প্রকার হচ্ছে মালিকানাধীন, অর্থাত্‍ বিভিন্ন কম্পিউটার নির্মাতারা বিভিন্ন রকমের মেমোরি বোর্ড তৈরি করেছেন যা বিশেষ কিছু সিস্টেম-এ সাপোর্ট করে৷ পরবর্তীতে আসে এসআইএমএম (সিঙ্গেল ইন লাইন মেমোরি মডিউল)৷ ইহা ৩০ পিনের কানেক্টর ব্যবহার করে এবং আকারে ৩.৫*.৭৫ ইঞ্চি (প্রায় ৯*২ সে.মি.) অধিকাংশ কম্পিউটারে একই ধারণক্ষমতা ও গতির এসআইএমএস জোড়ায় জোড়ায় ব্যবহার করা যায়৷ যেমন দুটি মেগাবাইটের এসআইএমএম ব্যবহার করে ১৬ মেগাবাইট র‌্যাম পাওয়া যায়৷ প্রতিটি এসআইএমএস আলাদাভাবে একই সময়ে ৮বিট ডাটা পাঠাতে পারবে এবং সিস্টেম বাস ১৬বিট ডাটা হ্যান্ডেল করতে পারবে৷ পরবর্তীতে এসআইএমএম বোর্ড, একটু বড় সাইজের ৪.২৫*১ ইঞ্চি (প্রায় ১১*২.৫ সেমি), ৭২-পিন কানেক্টর ব্যবহার করে৷ ফলে এর ব্যান্ডউইডথ বৃদ্ধি পায় এবং ২৫৬ মেগাবাইট পর্যন্ত র‌্যাম সাপোর্ট করে৷
প্রসেসরের গতি ও ব্যান্ডউইডথ বৃদ্ধির সাথে সাথে নতুন স্ট্যান্ডার্ড ডুয়াল ইন মেমোরি মডিউল (ডিআইএমএম) এর ব্যবহার শুরু হয়৷ ১৬৮-পিন বা ১৮৪ পিন এর এবং ৫.৪*১ ইঞ্চি (প্রায় ১৪*২.৫ সেমি) ডিআইএমএম এর প্রতিটি মডিউলে ৪ মেগাবাইট থেকে ১ গিগাবাইট পর্যন্ত হয় এবং জোড়ায় জোড়ায় নয়, প্রতিটি আলাদা আলাদভাবে ইন্সটল করা যায়৷ অধিকাংশ পিসি মেমোরি মডিউল ও ম্যাক জি-৫ সিস্টেম-এ ২.৫ ভোল্ট দরকার হয় আরেকটি স্ট্যান্ডার্ড হচ্ছে র‌্যাম্বাস ইন-লাইন মেমোরি মডিউল (আরআইএমএম) এর সাইজ ও পিন কনফিগারেশন ডিআইএমএম-এর মতই তবে এটা স্পেশাল মেমোরি বাস ব্যবহার করে ফলে স্পিড বহুগুণে বৃদ্ধি পায়৷
নোটবুক কম্পিউটারের অনেক ব্র্যান্ড প্রোপাইটরি-মেমোরি-মডিউল ব্যবহার করে৷ তবে অনেক অন্যান্য ব্র্যান্ডের নির্মাতারা স্মল-আউটলাইন-ডুয়াল-ইন-লাইন-মেমোরি মডিউল (এসওডিআইএমএম) কনফিগারেশনের মেমোরি মডিউল বা র‌্যাম ব্যবহার করে৷ এসওডিআইএমএম কার্ডগুলো ছোট আকারের (প্রায় ২*১ ইঞ্জি ৫*২.৫ সেমি) এবং ১৪৪ বা ২০০টি পিন আছে৷ প্রতিটি মেমোরি মডিউলের ধারণক্ষমতা ১৬ মেগাবাইট থেকে ১ গিগাবাইট পর্যন্ত হয়৷ অ্যাপলের আইম্যাক ডেস্কটপ কম্পিউটার স্পেস কমানোর জন্য গতানুগতিক ডিআইএমএম এর পরিবর্তে এসওডিআইএমএম ব্যবহার করে৷ সাব-নেটবুক কম্পিউটার ১৪৪ বা ১৭২ পিনের মাইক্রোডিআইএমএম নামের ছোট সাইজের ডিআইএমএম ব্যবহার করে৷
বর্তমানে ব্যবহৃত অধিকাংশ মেমোরি খুবই নির্ভরযোগ্য৷ অধিকাংশ সিস্টেমের মেমোরি কন্ট্রোলার স্টার্ট-আপ এর সময় এরর চেক করে৷ বিল্ট-ইন এরর চেকিং সুবিধা সম্বলিত মেমোরি চিপগুলো এরর চেক কারার জন্য প্যারিটি পদ্ধতি ব্যবহার করে৷ প্যারিটি চিপগুলোতে প্রতি ৮ বিট ডাটার জন্য একটি অতিরিক্ত বিট আছে৷ প্যারিটি এর কর্মপদ্ধতি খুবই সাধারণ৷ প্যারিটি পদ্ধতি দুই প্রকার৷
ইভেন/জোড় প্যারিটি : ডাটার একটি বাইটের ৮টি বিট গ্রহণ করার পর চিপ মোট কতটি ১ আছে তা গণনা করে৷ যদি মোট ১ এর সংখ্যা বিজোড় হয় তাহলে প্যারিটি বিটটি ১ হবে৷ আর যদি মোট ১ এর মোট সংখ্যা জোড় হয় তবে প্যারিটি বিটটি ০ হবে৷ যখন ডাটা বিটগুলোকে আবার রিড করা হবে তখন ১ বিটের সংখ্যা গণনা করা হবে৷ যদি মোট ১ বিজোড় হয় এবং প্যারিটি বিট ১ হয়, তাহলে ডাটা ঠিক আছে ধরে নেওয়া হয় এবং সিপিইউ এর কাছে পাঠানো হয়৷ কিন্তু যদি মোট সংখ্যা বিজোড় হয় এবং প্যারিটি বিট ০ হয়, তবে চিপ ধরে নেয় উক্ত ৮ বিটের কোন একটি বিটে এরর আছে, ফলে ডাটা গ্রহণযোগ্য হয় না৷
অড/বিজোড় প্যারিটি : ইহা ইভেন প্যারিটি এর মতই তবে প্যারিটি বিট ১ হবে যখন বাইটে ১ বিটের সংখ্যা জোড় হবে৷ অন্যথায় প্যারিটি বিট ০ হবে৷ প্যারিটি পদ্ধতি এর একটি অসুবিধা হল এটা শুধু এরর চেক করতে পারে কিন্তু এরর কারেক্ট করতে পারে না৷ এক বাইট ডাটা যদি প্যারিটি এর সঙ্গে না মিলে তাহলে ডাটাকে বাতিল করে এবং সিস্টেম আবার চেষ্টা করে৷ কম্পিউটার এর সঙ্কটপূর্ণ মুহূর্তে উচ্চ মানের ফল্ট টলারেন্স এর দরকার হয়৷ উচ্চমানের সার্ভারগুলোতে এরর কারেকশন কোড (ইসিসি)-এর মত এরর চেকিংও দরকার হয়৷ প্যারিটি এর মত ইসিসিও প্রতি বাইট ডাটাতে অতিরিক্ত বিট ব্যবহার করে৷ তবে পার্থক্য হচ্ছে এরর চেকিং-এর জন্য একাধিক বিট ব্যবহার করে কতগুলো বিট ব্যবহার করে তা নির্ভর করে ডাটার দৈর্ঘ্যের উপর৷ ইসিসি মেমোরি একটি স্পেশাল এলগরিদম ব্যবহার করে শুধু এরর চেক নয়, এরর কারেক্টও করে৷ ইসিসি মেমোরি একাধিক বিটের এররও ধরতে পারে৷ এ ধরনের এরর খুবই কম ঘটে এবং এগুলো ইসিসি দ্বারাও কারেক্ট করা যায় না৷
এখনকার বহুল বিক্রিত কম্পিউটারগুলো ননপ্যারিটি মেমোরি চিপ ব্যবহার করে এই চিপগুলো কোন বিল্ট-ইন এরর চেকিং সুবিধা দেয় না, বরং এরর নির্ণয়ের জন্য মেমোরি কন্ট্রোলারের উপর নির্ভর করে৷

র‌্যাম কি পরিমাণ দরকার?
অনেকের মতে বড় আকারের গ্রাফিক্স সম্পর্কিত কাজ বা গেম খেলা ছাড়া র‌্যাম বেশি নেওয়ার কোন দরকার নেই৷ কিন্তু সিপিইউ এর পরে র‌্যামই কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ৷ আপনার সামর্থ কম হলে স্বল্প মানের সিপিইউ নিয়ে, অধিক র‌্যাম নিয়ে অনেক ভাল আউটপুট পাবেন৷ যদি আপনার সিস্টেম খুব ধীরগতির হয় বা প্রতিনিয়ত হার্ডড্রাইভ এক্সসে করে, তাহলে আপনাকে অতিরিক্ত র‌্যাম নিতে হবে৷ আপনি যদি উইন্ডোজ এক্সপি ব্যবহার করেন, মাইক্রোসফটের মতে আপনাকে কমপক্ষে ১২৮ মেগাবাইট র‌্যাম ব্যবহার করতে হবে৷ তবে স্ট্যান্ডার্ড ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশনগুলো ভালভাবে চালানোর জন্য ২৫৬ মেগাবাইট র‌্যাম নেওয়া ভাল৷ আপনি যদি উইন্ডোজ ৯৫/৯৮ ব্যবহার করেন, তাহলে কমপক্ষে ৩২ মেগাবাইট র‌্যাম লাগবে এবং ভালভাবে অ্যাপ্লিকেশন চালানোর জন্য ৬৪ মেগাবাইট র‌্যাম হলে ভাল হয়৷ উইন্ডোজ এনটি/২০০০ এ কমপক্ষে ৬৪ মেগাবাইট র‌্যাম প্রয়োজন কিন্তু ভালভাবে অ্যাপ্লিকেশন চালানোর জন্য ১২৮ মেগাবাইট র‌্যাম হলে সুবিধা হয়৷
লিনাক্স ৪ মেগাবাইট র‌্যাম হলেই চলে তবে এক্স-উইন্ডোজ বা অন্যান্য কাজের জন্য ৬৪ মেগাবাইট র‌্যাম দরকার৷ সর্বশেষ ফেডোরা বা রেডহ্যাট এন্টারপ্রাইজ লিনাক্স চালানোর জন্য ২৫৬ মেগাবাইট র‌্যাম দরকার হয়৷ ম্যাক ওএস সিস্টেম এ কমপক্ষে ১২৮ মেগাবাইট তবে উন্নত সুবিধার জন্য ৫১২ মেগাবাইট র‌্যাম দরকার৷
উপরোলি্লখিত র‌্যামের পরিমাণগুলো প্রতিটি সিস্টেমের স্বাভাবিক ব্যবহারের জন্য যেমন ইন্টারনেট ব্যবহার করা, ওয়ার্ড প্রসেসিং স্ট্যান্ডার্ড হোম/ অফিস অ্যাপ্লিকেশন এবং ছোট বিনোদন৷ আপনি যদি কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন (ক্যাড), থ্রিডি মডেলিং/এনিকেশন বা বড় ডাটা প্রসেসিং করতে চান বা আপনি যদি খুবই গ্রেমপ্রিয় হন তাহলে আপনার আরও অধিক র‌্যাম লাগবে৷ আপনার কম্পিউটারটি যদি সার্ভার (ওয়েব পেজ, ডাটাবেজ, অ্যাপ্লিকেশন, এফটিপি বা নেটওয়ার্ক) হয়, তবুও আপনাকে বেশি র‌্যাম নিতে হবে৷
আরেকটি বিষয় হচ্ছে, আপনার ভিডিও কার্ডে কতটুকু ভির‌্যাম নেবেন৷ এখানকার ব্যবহৃত কম্পিউটারগুলোতে ৬৪ মেগাবাইট ভির‌্যাম থাকে৷ এই পরিমাণই যথেষ্ট তবে আপনার সিস্টেমে আরো ভির‌্যাম লাগবে যদি আপনি নিম্নোক্ত কোন কাজ করতে চান-
* রিয়েলিস্টিক গেম খেলা
* ভিডিও গ্রহণ ও সম্পাদন করা
* থ্রিডি গ্রাফিক্স নির্মাণ করা
* হাই-রেজু্যলেশন ও ফুল-কালার পরিবেশে কাজ করা
* ফুল-কালার ইলাস্ট্রেশন ডিজাইন করা
মনে রাখবেন, আপনি যে ভিডিও কার্ডটি কিনতে চাচ্ছেন, সেটা আপনার কম্পিউটার ও মনিটর সাপোর্ট করবে কিনা যাচাই করে নিন৷

র‌্যাম ইন্সটল পদ্ধতি
র‌্যাম ইনস্টল পদ্ধতি খুবই সহজ ও সাবলীল৷ আসল ব্যাপার হচ্ছে পদ্ধতিটি সম্পর্কে জানা৷ আপনাকে কিছু বিষয় জানতে হবে-
* কতটুকু/ কি পরিমাণে র‌্যাম আপনার সিস্টেমে আছে
* কি পরিমাণ র‌্যাম আপনার দরকার
* ফর্ম ফ্যাক্টর
* র‌্যামের প্রকার টাইপ
* প্রয়োজনীয় টুলস
* ওয়ারেন্টি
* কোথায় লাগাতে হবে৷
র‌্যাম সাধারণত ১৬ মেগাবাইট এর গুণিতক আকারে বিক্রি হয় : ১৬, ৩২, ৬৪, ১২৮, ২৫৬, ৫১২, ১০২৪ (১ গিগাবাইট) অর্থাত্‍ আপনি আপনার সিস্টেমের র‌্যাম ৬৪ মেগাবাইট থেকে ১০০ মেগাবাইট করতে চান তাহলে আপনাকে আরও একটি ৬৪ মেগাবাইট র‌্যাম যোগ করতে হবে৷
আপনার কতটুকু র‌্যাম লাগবে তা নিশ্চিত হওয়ার পর কি ধরনের কর্ম ফ্যাক্টর (কার্ড টাইপ) কিনতে চাচ্ছেন তি নিশ্চিত করতে হবে৷ কম্পিউটারের সাথে যে ম্যানুয়েল পাওয়া যায় সেটা দেখে বা নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে আপনি এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেন৷ তবে মনে রাখতে হবে, আপনি যে অপশনটি নির্বাচন করবেন, সেটা অবশ্যই আপনার কম্পিউটারের ডিজাইনের সাথে সমাঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে৷ এখনকার কম্পিউটারগুলোতে ডিআইএমএম ট ব্যবহৃত হয়৷ তবে অত্যাধুনিক কম্পিউটারগুলোতে আরআইএমএম টেকনোলজি ব্যবহৃত হয়৷ ডিআইএমএম ও আরআইএমএম টগুলো দেখতে প্রায় একইরকম তাই আপনার কম্পিউটার কোনটি ব্যবাহর করছে তা নিশ্চিত হতে হবে৷ এ ধরনের টে ভিন্ন ধরনের কার্ড প্রবেশ করালে সিস্টেম বিকল হয়ে যেতে পারে, এমনকি কার্ডটি পুড়ে যেতে পারে৷
কি ধরনের র‌্যাম দরকার সেটাও আপনাকে জানতে হবে৷ কিছু কিছু কম্পিউটারে নির্দিষ্ট ধরনের র‌্যাম প্রয়োজন হয়, যেমন ৬০-৭০ ন্যানো সেকেন্ড ইডিও র‌্যাম৷ তবে অধিকাংশ কম্পিউটারে এ ধরনের কোন বাধ্যবাধকতা নেই তবে কিছু সীমাবদ্ধতা আছে৷ সর্বোত্তম সুবিধা পাওয়ার জন্য, আপনি যে র‌্যাম নেবেন তা বর্তমান র‌্যামের স্পিড, প্যারিটি ও টাইপের সঙ্গে মিলতে হবে৷
কিছু কম্পিউটার ডুয়াল চ্যানেল র‌্যাম সাপোর্ট করে, যা আলাদা অপশন হিসেবেও থাকতে পারে৷ ডুয়াল চ্যানেল বলতে একই ধরনের র‌্যাম মডিউল জোড়ায় জোড়ায় ব্যবহার করাকে বোঝায়৷ যেমন একটি ৫১২ মেগাবাইট র‌্যাম থাকলে আরেকটি ৫১২ মেগাবাইট র‌্যাম লাগাতে হবে৷ ডুয়াল চ্যানেল যদি আলাদা অপশন হিসেবে থাকে তবে জোড়ায় জোড়ায় র‌্যাম লাগালে কিছু অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারে সুবিধা পাওয়া যায়৷ কিন্তু এটা যদি দরকারি হয় (যেমন ম্যাক জি-৫ চিপ) সেক্ষেত্রে র‌্যাম চিপ যদি জোড়ায় জোড়ায় না থাকে তাহলে সিস্টেম ঠিকমত কাজ করে না৷
কম্পিউটার খোলার পূর্বে ভালভাবে দেখে নেবেন যেন আপনার ওয়ারেন্টি নষ্ট না হয়ে যায়৷ কিছু নির্মাতা কম্পিউটারের কেসটাকে সিল করে দেয় এবং ক্রেতাকে বলে দেয ভাল টেকনিশিয়ান ছাড়া র‌্যাম লাগাবেন না৷ যদি আপনি কম্পিউটার কেস খুলতে চান তাহলে কম্পিউটারটি বন্ধ করুন এবং প্লাগগুলো খুলে দিন৷ এন্টি স্ট্যাটিক প্যাড বা রিস্ট স্ট্রাপ ব্যবহার করে গ্রাউন্ড করে স্ট্যাটিক কারেন্ট ডিসচার্জ করতে হবে৷ এরপর স্ক্রু ড্রাইভার বা নাট-ড্রাইভার করে আপনার কম্পিউটারের কেসটি খুলুন৷ মেমোরি মডিউল ইনস্টল করার জন্য কোন টুলসের দরকার হয় না৷ মাদারবোর্ডের মেমোরি ব্যাংক নামের টগুলোতে র‌্যাম ইনস্টল করতে হয়৷ মেমোরি মডিউল-এর এক প্রান্তে খাঁজ কাটা থাকে যেন লাগানোর সময় প্রান্ত অদলবদল না হয়৷ এসআইএমএম ও কিছু ডিআইএমএম-এ মডিউলগুলো টের উপর ৪৫ ডিগ্রি কোনে বসাতে হয়৷ তারপর সামনের দিকে চাপ দিতে হয় যেন এটা মাদারবোর্ডের সাথে লম্বালম্বিভাবে অবস্থান করে এবং ছোট দুটি ধাতব ক্লিপ দুই প্রান্তে আটকে যায়৷ যথাযথভাবে পরীক্ষা করুন মডিউলটি ঠিকমত আটকে আছে কিনা৷
মডিউলটি ইনস্টল করার পর, কেসটি বন্ধ করে, প্লাগ লাগিয়ে কম্পিউটারটি চালু করুন৷ যখন পোস্ট (পাওয়ার অন সেলফ টেস্ট) শুরু করবে, তখন ইহা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেমোরি রিকগনাইজ করবে৷ 



সূত্র: ই-বিজ

No comments:

Post a Comment